মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে অভিযান শুরুর পর পিছু হটতে শুরু করেছে আরাকান আর্মি। বুধবার বিকেলে থানচি উপজেলা অংশে অভিযান শুরু করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা। বিজিবির ২৬ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল জাহাঙ্গীর হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সন্ত্রাসীরা যাতে পালিয়ে যেতে না পারে, সেজন্য বিজিবির পক্ষ থেকে মিয়ানমার সেনাবাহিনীকেও একই সময় তাদের অংশে অভিযান পরিচালনার অনুরোধ করা হয়েছিল। কিন্তু তারা অভিযান পরিচালনা করেননি। লে. কর্নেল জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, অভিযান শুরুর পর আরাকান আর্মির সদস্যরা পিছু হটতে শুরু করেছে। সেনাবাহিনী ও বিজিবি সদস্যদের হেলিকপ্টারে এবং অন্যান্য মাধ্যমে বান্দরবানের থানচি এলাকায় পৌঁছে দেওয়া হয়।
এর আগে বিজিবির সদর দফতর পিলখানায় বুধবার বিকেল ৪টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেন, ‘জায়গাটি এতই দুর্গম যে, সেখানে অতিরিক্ত ফোর্স পৌঁছানো সম্ভব হলেও অভিযান শুরু করতে একটু সময় লাগছে। বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ অভিযান শুরু করা যাবে বলে আশা করছি।’
দুর্গম ওই এলাকায় আরাকান আর্মির গুলিতে আহত নায়েক জাকিরকে চট্টগ্রামের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সকালে বান্দরবানের থানচির বড়মদক এলাকায় বিজিবির টহল দলের ওপর বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সদস্যরা হামলা করলে বিজিবির সদস্যরা পাল্টা গুলি চালায়। সে সময় বিজিবির নায়েক জাকির আহত হন। এর আগে মঙ্গলবার বিজিবির দুটি দল সন্ত্রাসী গ্রুপের ১০টি ঘোড়া আটক করে। এর সূত্র ধরে হামলা হয়েছে বলে বিজিবির মহাপরিচালক ধারণা করছেন।
বান্দরবানের থানচি এলাকা এতই দুর্গম যে, ৪৩৯ কিলোমিটার এলাকায় কিছু ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষ বাস করলেও সরকারিভাবে কোনো স্থাপনা নেই। গত বছর পর্যন্ত এ রকম অরক্ষিত সীমান্ত ছিল ৫৩৯ কিলোমিটার। তবে এক বছরে ১০০ কিলোমিটার এলাকায় বিজিবি তাদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছে।
বাংলাদেশেরপত্র/এডি/আর