জানা গেছে, ওবায়দুল কাদের ও মির্জা ফখরওলের রবিবার ঢাকার হজরত শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে একটি বেসরকারি উড়োজাহাজ কোম্পানির ফ্লাইটে সৈয়দপুর যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে মির্জা ফখরুল পরের ফ্লাইটে যান। ফলে একই ফ্লাইটে দুই নেতার আর সৈয়দপুর যাওয়া হয়নি।
দুপুরে সৈয়দপুর থেকে ফেরার পথে বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে অপেক্ষা করছিলেন ওবায়দুল কাদের। পাশের আরেকটি কক্ষে মির্জা ফখরুল আছেন জেনে তার সঙ্গে দেখা করতে যান কাদের। ফখরুলের সঙ্গে কুশল বিনিময়ের সময় বলেন, ‘ঢাকা এয়ারপোর্টে আপনার জন্য অপেক্ষা করেছিলাম। কিন্তু শুনলাম আপনি আসছেন না। একসঙ্গে এলে ভালো হতো। কথা বলা যেত।’
এসময় ফখরুলকে কাদের আরও বলেন, ‘যেহেতু রাজনীতি করি, আলাপ-আলোচনার পথ খোলা রাখা ভালো। কথা হওয়াও দরকার।’ জবাবে ফখরুল বলেন, তিনি সকালের ফ্লাইটেই আসতেন। কিন্তু পারিবারিক কারণে একটু পরে আসতে হয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের কর্মকর্তা শায়রুল কবীর খান জানান, বিমানবন্দরে দুই নেতার মধ্যে কুশল বিনিময় হয়েছে। দুই নেতার আলাপের সময় ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে সেখানে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, ত্রাণবিষয়ক সম্পাদক সুজিত নন্দী, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক ও খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, উপদপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। ফ্লাইটের সময় হলে ওবায়দুল কাদের সেখান থেকে ঢাকায় চলে আসেন। তখনো মির্জা ফখরুল অন্য আরেকটি বেসরকারি বিমান সংস্থার ফ্লাইটের জন্য অপেক্ষা করছিলেন।
এর আগে ঢাকা থেকে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর ওবায়দুল কাদের সাংবাদকিদের বলেন, ‘শুনেছি বিএনপির মহাসচিবের একই ফ্লাইটে আসার কথা ছিল। একসঙ্গে আসতে পারলে ভালো লাগতো। আর কিছু না হোক, শুভেচ্ছা বিনিময়তো হতো। শুনেছি ওনার আসন আমার পিছনে ছিল।’