সৈয়দ মনির আহমদ, সোনাগাজী প্রতিনিধি: সোনাগাজীতে স্থানীয় সাংসদ হাজী রহিম উল্যাহর বাড়ীতে বোমা হামলা চালিয়েছে দুবর্ৃৃত্তরা। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে তিন টার সময় উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামে সাংসদের গ্রামের বাড়ীতে পর পর ৪টি বোমা নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা। গভীর রাতে নিক্ষিপ্ত বোমার মধ্যে ৩টি বিস্ফোরিত হলেও একটি বোমা অবিস্ফোরিত অবস্থায় শুক্রবার সকালেও পড়ে থাকতে দেখা যায়। বোমার আঘাতে বাসভবন ক্ষতিগ্রস্থ না হলেও মুল ফটক সামান্য ক্ষতিগ্রস্থ হয়। স্থানীয়রা জানান, বোমার বিকট বিস্ফোরনে গভীর রাতে সমগ্র এলাকায় জনসাধারনের মাঝে ব্যাপক আতংকের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে শুক্রবার সকালে সোনাগাজী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মেজবাহ উদ্দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অবিষ্ফোরিত বোমাসহ আলামত সংগ্রহ করে। বোমা হামলার সময় ফেনী-৩ (সোনাগাজী-দাগনভুঞা) আসনের সাংসদ রহিম উল্যাহ বাড়ীতে ছিলেন না। ঢাকায় অবস্থানরত সাংসদের সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি তার বাড়ীতে বোমা হামলার জন্য নিজাম হাজারী সমর্থিত রুহুল আমিন ও তার সহযোগীদের দায়ী করেন। তিনি আরো বলেন সোনাগাজী প্রশাসন কে ব্যার্থ প্রমান করে সরকারের ভাবমুর্তি নষ্ট করতে তারা একের পর এক অপ্রিতিকর ঘটনা ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাচ্ছে। তবে অভিযোগ অস্বিকার করে রুহুল আমিন বলেন , আগেরদিন তার বাসায় বোমা হামলার ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য রহিম উল্যাহ উ্েদ্দশ্যভাবে বোমা হামলার নাটক সাজিয়েছে। ২৪ ঘন্টার ব্যাবধানে সাংসদ ও আওয়ামীলীগ নেতার বাসভবনে বোমা হামলা ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক নেতা কর্মীদের মধ্যে আতংক ও সাধারন মানুষের মধ্যে অনেক আলোচনা সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। তারা বলেন গত দুই দিনের ঘটনা প্রবাহ কি সাংসদ ও স্থানীয় আওয়ামীলীগের দ্বন্ধের জের ? নাকি তৃতীয় পক্ষের দ্বারা পরিকল্পিত ঘটনা। সাংসদের এপিএস মাসুদ জানান, বাসভবনে বোমা হামলা ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। এ ব্যাপারে সোনাগাজী মডেল থানার ওসি হুমায়ুন কবির জানান, গত কয়েকদিনের পরিকল্পিত ঘটনা গুলো বিষয়ে পুলিশ প্রশাসন অবগত রয়েছে। কারা এসব ঘটনার সাথে জড়িত প্রশাসন গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে তাহা অনুসন্ধান করছে। এসব যাচাই বাছাই করে অপরাধী যত ক্ষমতাশালী হোক তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।।