স্পোর্টস ডেস্ক: প্রিমিয়ার লিগে সোয়ানসি সিটির মাঠে ৩-১ গোলে হেরে আগামী মৌসুমে উয়েফা ইউরোপা লিগে খেলা নিয়ে শঙ্কায় পড়েছে লিভারপুল। ৩৫ ম্যাচে ৫৫ পয়েন্ট নিয়ে সপ্তম স্থানে আছে ‘অল রেডস’ নামে পরিচিত দলটি। ১ পয়েন্ট কম নিয়ে তাদের পরেই আছে সাউথ্যাম্পটন।
ইপিএলের পয়েন্ট তালিকায় পঞ্চম হওয়া দলটি পরের মৌসুমের ইউরোপা লিগে সরাসরি খেলার সুযোগ পায়। ষষ্ঠ ও সপ্তম স্থান পাওয়া দল দুটিরও সুযোগ থাকে। তবে এফএ কাপ ও লিগ কাপের চ্যাম্পিয়নরা যদি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের টিকেট পায়, শুধু সেক্ষেত্রেই ছয় ও সাত নম্বর দলগুলোর ইউরোপা লিগের সুযোগ থাকবে। ২০তম মিনিটে কর্নারে হেড করে সোয়ানসিকে এগিয়ে দেন ঘানার ফরোয়ার্ড আন্দ্রে আইয়ু।
ছয় মিনিট বাদে ব্যবধান দ্বিগুণ হতে পারতো; তবে সে যাত্রায় জ্যাক কর্কের নীচু শট কোনোমতে পা দিয়ে ঠেকান লিভারপুল গোলরক্ষক ড্যানি ওয়ার্ড।
দ্বিতীয় গোল খাওয়া থেকে দলকে অবশ্য বেশিক্ষণ বাঁচাতে পারেননি ওয়েলসের এই গোলরক্ষক। ৩৩তম মিনিটে প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে দারুণ বাঁকানো এক শটে স্কোরলাইন ২-০ করেন ইংলিশ ডিফেন্ডার কর্ক।
৩৫তম মিনিটে প্রথম সুযোগ পায় লিভারপুল, কিন্তু বাঁ-দিক দিয়ে ডি বক্সে ঢুকে নেওয়া ড্যানিয়েল স্টারিজের কোনাকুনি শট একটুর জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
৫৮তম মিনিটে ক্রস ছয় গজ বক্সের সামনে থেকে একটি ক্রসে বল বিপদমুক্ত করতে গিয়ে নিজেদের জালেই বল জড়াতে বসেছিলেন সোয়ানসির ইংলিশ মিডফিল্ডার লিওন ব্রিটন।
এর সাত মিনিট পর কর্নারে হেড করে ব্যবধান কমান দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে বদলি নামা বেলজিয়ামের ফরোয়ার্ড ক্রিস্তিয়ান বেনতেকে।
লিভারপুলের লড়াইয়ে ফেরার স্বস্তি অবশ্য পুরো দুই মিনিটও স্থায়ী হয়নি। ৬৭তম মিনিটে দুই ডিফেন্ডারের বাধা এড়িয়ে কর্কের দেওয়া ক্রস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে জটলার মধ্যে বাঁ-পায়ের নীচু শটে নিজের দ্বিতীয় ও দলের তৃতীয় গোলটি করেন আইয়ু। এ মৌসুমে এই প্রথম কোনো ম্যাচে তিন গোল করল গত দুই রাউন্ডে বড় ব্যবধানে হারা সোয়ানসি।
৭৬তম মিনিটে ইংলিশ ডিফেন্ডার ব্র্যাডলি স্মিথ দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখলে ১০ জনের দলে পরিণত হয় লিভারপুল। বাকি সময় লড়াই করে গেলেও এক জন কম নিয়ে পেরে ওঠেনি ইয়ুর্গেন ক্লপের দল।