নিউজ ডেস্ক:
স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের সুযোগ রাখা হয়নি মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, আজকে স্বাধীনতা বিপন্ন। স্বাধীনতা দিবস আমরা অন্যান্য বছর যেভাবে উদযাপন করেছি, সেটুকু সুযোগও আমাদের জন্য রাখা হয়নি। সাধারণভাবে ২৬ মার্চ প্রতিবছর পালন করি, সেই সুযোগটাও রাখা হয়নি।
গতকাল সোমবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচে ঢাকা জেলা বিএনপি আয়োজিত এক মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে তিনি এ মন্তব্য করেন। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, বিএনপি নেতা বেগম সেলিমা রহমান, রুহুল কবির রিজভী, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, খোন্দকার মাশুকুর রহমান এবং ডা. দেওয়ান মো. সালাহউদ্দিনসহ দলটির অঙ্গসংগঠনের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের রোগমুক্তি কামনায় এ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
গয়েশ্বর বলেন, বিদেশীদের সার্টিফিকেট এখন বেশি প্রয়োজন হয়ে গেছে। কারণ মানুষের আস্থার জায়গাটা শেখ হাসিনার জন্য ক্ষীণ হয়ে গেছে। সকল দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা আসুক, ভালো কথা। এটা তো ভালো। সুবর্ণজয়ন্তীতে আসবেন, এটা আমরা স্বাগত জানাই। কিন্তু তাদের কারণে আমাদের ঘরে বন্দি থাকতে হবে, আমরা আমাদের উচ্ছ্বাস ও আনন্দ উপভোগ করতে পারবো না, এটা কিসের স্বাধীনতা? বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, প্রতিবেশী রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী আসবেন। আবার বলেন আসবেন না, আবার বলেন আসবেন। আবার সরকার না কি চায় না, তিনি আসুক। এমন একটা গুজব কিন্তু আছে। তিনি আসবেন ২৬-২৭ মার্চ, নিরাপত্তার প্রশ্ন। তিনি স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী দিবস পালন করতে আসবেন। তিনি মন্দির ভিজিট করবেন। জাতীয় মন্দির তো ঢাকেশ্বরী মন্দির, রমনা কালী মন্দির এখানে আছে। কিন্তু তিনি গোপালগঞ্জের মন্দিরে যাবেন।
তিনি সাতক্ষীরা মন্দিরে যাবেন। এর আশেপাশের লোক এখনই ঘর ছাড়া। নিরাপত্তা বলে একটা কথা আছে। যেখানে যাবেন ওড়াকান্দি ঠাকুরবাড়িতে। তার ভক্ত লক্ষ লক্ষ। একটা অনুষ্ঠান হয়, ৭ দিনব্যাপী। সেখানে ১০ থেকে ১৫ লাখ লোকের আগমন হয়। এই প্রধানমন্ত্রীর জন্য যদি এত লোকের আগমন হয় তাহলে স্বাস্থ্যবিধিটা কোথায় থাকবে? সেখানে স্বাস্থ্যবিধির বাধা নাই?
খালেদা জিয়া অসুস্থ জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, উনি কারাবন্দির জায়গায় গৃহবন্দি। কারাগারে থাকা অবস্থায় সরকারের যে আচরণ ছিল, গৃহে থাকা অবস্থায়ও সরকারের একই আচরণ আছে। তিনি মুক্ত নন। আয়োজক সংগঠনের সহ-সভাপতি আজগর হোসেনের সভাপতিত্বে দোয়া মাহফিলে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।