ক্ষুধার উন্নতি ঘটায়
এলাচি উষ্ণ পরিপাক টনিক হিসেবে কাজ করে বলে বদহজম, পেটফাঁপা এবং এসিডিটির সমস্যা মোকাবেলায় সাহায্য করে ক্ষুধামন্দা দূর করতে পারে। এছাড়াও এটি পরিপাক রসের নিঃসরণের উন্নতি ঘটায়।
যদি আপনার ক্ষুধা কমে যায় তাহলে সুপে এলাচির গুঁড়া মিশিয়ে নিতে পারেন অথবা কয়েকটি এলাচি চিবিয়ে খেতে পারেন।
পরিপাকের উন্নতি ঘটায়
এলাচির বায়ুনাশকারী গুণ আছে বলে পরিপাক প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে। এটি পেটফাঁপা কমায় এবং শূলবেদনা নিরাময়ে সাহায্য করে। এটি পিত্তরসের প্রবাহ বৃদ্ধি করে চর্বি ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদানের পরিপাকে সাহায্য করে। এজন্যই এলাচি পরিপাক তন্ত্রের সমস্যা যেমন- কোষ্ঠকাঠিন্য, আমাশয়, এসিডিটি, বদহজম এবং বিভিন্ন ধরণের পাকস্থলীর সংক্রমণ এর আদর্শ সমাধান হিসেবে কাজ করে।
পরিপাকের সমস্যা সমাধানে শুধু এলাচি খেতে পারেন, এলাচি গুঁড়া খাবারে ছিটিয়ে দিতে পারেন অথবা এলাচির চা পান করতে পারেন। এলাচির তীব্র মিষ্টি গন্ধ থাকে বলে বেশিরভাগ মানুষ এমনকি শিশুরাও পছন্দ করে এলাচি।
নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ দূর করে
যদি আপনার নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ থাকে এলাচি ব্যবহার করে দেখুন। এটি ব্যাকটেরিয়া নাশক উপাদানে ভরপুর থাকে বলে দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী জীবাণুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে পারে। এছাড়াও এর শক্তিশালী গন্ধ নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ দূর করতে পারে। এলাচি বীজের তেল ও নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে পারে। এলাচি চা পান করতে পারেন অথবা দিনে দুই বার উষ্ণ এলাচি চা দিয়ে কুলকুঁচি করে নিতে পারেন। এটি কার্যকরী মুখ পরিষ্কারক হিসেবে কাজ করবে।
এছাড়াও এলাচি পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়ামে পরিপূর্ণ থাকে। পটাসিয়াম রক্ত, দেহের তরল ও কোষের প্রধান উপাদান যা হৃৎস্পন্দন নিয়মিত রাখতে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এলাচি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ বলে অ্যানেমিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে সাহায্য করে, অ্যাজমা বা ব্রংকাইটিসের মত শ্বসনতন্ত্রের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে, ক্যান্সার বিশেষ করে কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে, হেঁচকি দূর করতে সাহায্য করে।