হরিপুরে চিকিৎসা সেবায় নিবেদিত প্রাণ ইয়াসিন আলী

রাণীশংকৈল সংবাদদাতা : হরিপুরে চিকিৎসা সেবায় নিবেদিত প্রাণ পল্লী চিকিৎসক ইয়াসিন আলী। উপজেলার কামার পুকুর পূর্বপাড়ারমৃত দালালউদ্দিনের ছেলে মোঃ ইয়াসিন আলী। তারা ৭ ভাই ৭ বোন। পল্লী চিকিৎসক ইয়াসিন আলীর ৫ মেয়ে ১ ছেলে। ছেলে ইমরান আলী মালয়েশিয়াতে ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়রিং বিষয়ে লেখাপড়া করছে বলে জানা যায়।
শিক্ষা, সংস্কৃতি, সাহিত্য, শিল্প, প্রযুক্তি নিয়ে বিশ্ব যখন এগিয়ে যাচ্ছে সীমাহীন গতিতে সামনের দিকে। প্রসারতা ঘটছে সভ্যতার কিন্তু মানবিক বিকাশ’র সততা কতটুকু ঘটেছে তা নিয়ে শংসয় থেকে যায়। সভ্যতার আবির্ভাব ঘটার সাথে সাথে হারিয়ে যাচ্ছে নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সুশিক্ষার প্রকৃত মান। সমাজের রন্দ্রে রন্দ্রে ভাইরাসের মত ছড়িয়ে যাচ্ছে অশিক্ষা, অপসংস্কৃতি-অনৈতিকতা ফলে ক্রমশই সামাজিক অবক্ষয় বাড়ছে। নষ্ট হচ্ছে সামাজিক শৃংখলা এতে সমাজ অস্থির হয়ে উঠছে। নৈতিকতা মূল্যবোধের চরম ক্রান্তিকালে সমাজ রক্ষার চিন্তায় চিন্তিত দেশের প্রত্যেক বিবেকবান মানুষ।
যে সময় কোন চিকিৎসক টাকা ছাড়া রোগীর ব্যবস্থা পত্র দেয়না, টাকা ছাড়া ঔষধ দেয়না দোকানদার। ঠিক এমন সময় উপজেলার গেঁয়ো মেঠো পথের অবহেলিত মানুষের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন পল্লী চিকিৎসক ইয়াসিন আলী। ইয়াসিন আলীর কাছে সেবা নিয়ে একদিকে পাচ্ছে ভাল চিকিৎসা আর অন্য দিকে ডাক্তারের ব্যবস্থাপত্র ফি দিতে হচ্ছেনা তাদের।
পল্লী চিকিৎসক ইয়াসিন আলী জানান, আমার বাবার আদেশে ১৯৭৯ সালে পঞ্চগড় থেকে পল্লী চিকিৎসক হিসেবে ট্রে্িনং গ্রহণ করি। আশির দশকে চিকিৎসা পেশা শুরু করি। রোগীরা টাকা পয়সা না দিলেও ব্যবস্থাপত্র ঔষধ দিতে কার্পন্যবোধ করিনা। বাকি বকেয়ার কোন খাতাপত্র আমার নাই। বাকি টাকা কেউ নিজের ইচ্ছায় দিলে আমি নিই আর না দিলে দাবি দাওয়া রাখিনা। বাবার আদেশের উপর ভর করে ছেড়ে দিই। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত এভাবে চলতে চাই আমি। যতদিন বেঁচে থাকব ততদিন এভাবে জনসেবা করে যাব ইনশাআল্লাহ।

Comments (0)
Add Comment