রাসেল হাসান, হিলি প্রতিনিধি: হিলিস্থলবন্দরে চলতি ২০১৫-১৬ অর্থবছরের ডিসেম্বর মাসে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআর কতৃক নির্ধারিত রাজস্ব আহরনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। ৩কোটি ৪০ লাখ টাকা রাজস্ব আহরনে লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ২ কোটি ৮০ লাখ টাকা রাজস্ব আহরন হয়েছে। তবে অর্থবছরের গত ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৩০ কোটি ৯৪ লাখ ৯০ হাজার টাকা বেশী রাজস্ব আহরন হয়েছে।
হিলি স্থলবন্দরশুল্কষ্টেশন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, চলতি ২০১৫-১৬ অর্থবছরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) হিলিস্থলবন্দরের রাজস্ব আহরনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দেয় ৩৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা। ডিসেম্বর মাসে ৩কোটি ৪০ লাখ টাকা রাজস্ব আহরনে লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে মাস শেষে রাজস্ব আহরন হয়েছে ২ কোটি ৮০ লাখ টাকা। এর ফলে ডিসেম্বরে ৬০ লাখ টাকা কমপরিমান রাজস্ব আহরন হয়েছে। তবে এসময় নিলাম থেকে আহরনকৃত রাজস্ব সহ সর্বমোট রাজস্ব আহরন হয় ৩ কোটি ৪৮ লাখ ৩৬ হাজার ৮শ ৬৪ টাকা। এরুপভাবে গত ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) হিলিস্থলবন্দর থেকে সর্বমোট রাজস্ব আহরনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন ছিল ১৫ কোটি ২৫ লাখ টাকা এর বিপরীতে গত ছয় মাসে সর্বমোট আহরন হয়েছে ৪৬ কোটি ১৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা। এতে করে গত ছয় মাসে রাজস্ব আহরনে লক্ষ্যমাত্রার অধিক ৩০ কোটি ৯৪ লাখ ৯০ হাজার টাকা বেশি পরিমান রাজস্ব আহরন হয়েছে।
হিলিস্থলবন্দর শুল্কষ্টেশনের সহকারী কমিশনার (এসি) মো.মতিয়ার রহমান বলেন, বন্দর দিয়ে অধিক শুল্কযুক্ত পন্যের আমদানি কমে যাওয়ার কারনে হিলিস্থলবন্দর থেকে রাজস্ব আহরন কমে যাচ্ছে। হিলিস্থলবন্দর দিয়ে বর্তমানে আমদানি হওয়া পন্যগুলোর মধ্যে বেশীরভাগ পন্যই রয়েছে কমশুল্কযুক্ত পন্য এছাড়াও এর মাঝে বেশ কিছু পন্য শুল্কমুক্ত রয়েছে। অর্থবছরের প্রথম দিকে বন্দর দিয়ে বেশ পরিমান কাঁচামরিচ আমদানি হওয়ার ফলে লক্ষ্যমাত্রার অধিক রাজস্ব আহরন সম্ভব হয়েছে। গতমাসে বন্দর দিয়ে কাঁচামরিচ আমদানি বন্ধ হয়ে গেছে। এছাড়াও আমদনি পর্যায়ে চালের উপর নতুন করে শুল্ক আরোপ করায় চালের আমদানিও একবারে নেই। চলতি মাসেও যদি বন্দর দিয়ে শুল্কযুক্ত পন্যের আমদানি না হয় তাহলে মাসিক যে লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে সেটিও অর্জন করা সম্ভব হবেনা। তবে বিভিন্ন আইন প্রযোগকারী সংস্থা কতৃক হিলিশুল্কগুদামে জমা কৃত পন্যের সাধারন নিলাম দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে তা থেকে হয়তোবা রাজস্ব আহরনে লক্ষ্যমাত্রা পুরন হতে পারে।