প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে হেযবুত তওহীদের সদস্য-সদস্যাদের হুমকি প্রদানকারী এবং হেযবুত তওহীদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার, অপপ্রচার ও গুজব রটনাকারী গ্রেফতারকৃত সাইবার অপরাধী রিয়াজ সরদারকে(৩৫) রবিবার পুলিশ প্রথম শ্রেণীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, ঢাকা-২১ এর আদালতে দাখিল করে সাত দিনের রিমান্ড প্রার্থনা করলে আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। গ্রেফতারকৃত আসামী বরিসাল জেলার গৌরনদী উপজেলার দঃ সাকোকাঠি গ্রামের মুত লতিফ সরদারের ছেলে।
হেযবুত তওহীদের নারী সদস্যদের কটুক্তি ও ধর্ষণের হুমকি দিয়ে ফেসবুকে আপত্তিকর বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে গতকাল শনিবার রাজধানীর যাত্রাবাড়ি থানায় রিয়াজ সরদারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। ওই দিনই যাত্রবাড়ির একটি দোকান থেকে তাকে আটক করে পুলিশ। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়েরকৃত মামলায় গ্রেপ্তারকৃত আসামীকে গতকাল দুপুরে আদালতে হাজির করা হয়। আদালতে আসামির সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা যাত্রাবাড়ি থানার উপ পরিদর্শক জালাল। পরে উভয়পক্ষের শুনানিশেষে আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এসময় আসামির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জজ কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী সুলতান আহমেদ ও বাদী পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট শেখ মোহাম্মদ সাব্বির আহমেদ সহ আরো বেশ কয়েকজন আইনজীবী।
এবিষয়ে হেযবুত তওহীদের সাধারন সম্পাদক মসিউর রহমান বলেন, আইনের যথাযথ প্রয়োগ হলে এভাবে সকল অপরাধীই আইনের আওতায় আসবে। হেযবুত তওহীদ কোন অন্যায় বা আইনভঙ্গ করে না, সুতরাং যারা আমাদেও বিরুদ্ধে মিথ্যাচার কওে বা করবে, হুমকী দিচ্ছে বা দিবে. তারা অবশ্যই অপরাধী। সকল অপরাধীরাই পর্যায়ক্রমে আইনের আওতায় আসবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন থেকে হেযবুত তওহীদেও বিরুদ্ধে ছদ্মনামে ফেইজবুক একাউন্ট খুলে রিয়াজ নানারকম মিথ্যাচার ও কুরুচীপূর্ণ পোস্ট দিয়ে আসছিল। এরমধ্যে গত ১৫ আগস্ট ২০১৯ তারিখে নিপা আক্তার বিদ্যুৎ গলি এলাকায় পত্রিকা বিক্রি করতে গেলে রিয়াজ সরদার নিপা আক্তারকে বাঁধা দেয় এবং অশ্লীল-অশ্রাব্য ভাষায় গালি-গালাজ করতে থাকে। এক পর্যায়ে নিপা আক্তার স্থানীয় কয়েকজনের সহায়তায় সেখান থেকে চলে আসতে সক্ষম হন। তবে ওই সময় কৌশলে ও গোপনে রিয়াজ সরদার নিপা আক্তারের ছবি তুলে রাখে এবং পরবর্তীতে তার ‘রিয়াজ রানা’ ছদ্মনামধারী ফেসবুক প্রোফাইল থেকে ওই ছবিসহ নিপা আক্তারকে ‘পতিতা’ উল্লেখ করে অশ্লীল ভাষায় পোস্ট দেয়।
অভিযোগের সংযুক্তি সূত্রে জানা যায়, রিয়াজ সরদার ওরফে রিয়াজ রানা তার ফেসবুক আইডি থেকে বিভিন্ন সময়ে হেযবুত তওহীদের সদস্যদেরকে হত্যা ও নারীদেরকে ধর্ষণের হুমকি দিয়ে আসছিল। এছাড়াও সে বিভিন্ন ধরণের নকল ও বিকৃত ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে হেযবুত তওহীদের প্রতিষ্ঠাতা ও টাঙ্গাইলের করটিয়ার পন্নী জমিদার বংশের সন্তান মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নীর মানহানী করার অপচেষ্টায় লিপ্ত ছিল। এছাড়া মুফতি রিজওয়ান রফিকী নামে এক ব্যক্তির সাথেও তার বেশ সখ্যতা পরিলক্ষিত হয়। উক্ত রেজওয়ান রফিকী বিভিন্ন সময় ওয়াজ-মাহফিলের নামে বে-আইনী সভা-সমাবেশ করে হেযবুত তওহীদের বিরুদ্ধে নানা ধরণের উস্কানীমূলক বক্তব্য প্রদান করেন। এর ফলে ইতোপূর্বে তার নামে দেশের বিভিন্ন জেলায় অভিযোগ পর্যন্ত দায়ের হয়েছে। হেযবুত তওহীদের বিরুদ্ধে হামলার উস্কানি ও হুমকি প্রদানে রিয়াজ সরদার ও রিজওয়ান রফিকী পরস্পরের যোগসাজসে কাজ করার প্রমাণও পাওয়া গেছে।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, রিয়াজ সরদার তার ফেসবুক আইডি থেকে হেযবুত তওহীদের ব্যাপারে মিথ্যা তথ্যপূর্ণ বক্তব্য ও ভিডিও পোস্ট করে থাকে। এসব ভিডিও ও ছবিতে হেযবুত তওহীদের ইমাম, সদস্য-সদস্যা ও সমর্থকদের ছবি বিকৃত করে অশ্লীলভাবে প্রকাশ ও প্রচার করা হয়। যার ফলে হেযবুত তওহীদের সদস্য ও সমর্থকগণকে অহেতুক বিভিন্ন ধরণের প্রশ্নের সম্মুখীন ও সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হতে হয়।