পিরোজপুরে জাতীয় শোক দিবস উদযাপন

রনজিত কুমার মিস্ত্রী, পিরোজপুর প্রতিনিধি: সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের ৪১ তম শাহদাৎ বার্ষিকী পালন উপলক্ষ্যে মনোহরপুর মাধ্যমিক ও ২১নং মনোহরপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে বিদ্যালয় মিলনায়তনে অদ্যকার ১৫ আগষ্ট আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
উক্ত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ৩নং দেউলবাড়ী দোবড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সম্মানিত সভাপতি বাবু অনিল চন্দ্র মিস্ত্রী। উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ৩নং দেউলবাড়ী দোবড়া ইউনিয়নের বারবার নির্বাচিত ও স্বর্ণপদক প্রাপ্ত চেয়ারম্যান মাষ্টার মোঃ ওয়ালী উল্লাহ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মনোহরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাবু অনিল চন্দ্র বড়াল। উক্ত অনুষ্ঠানের ১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস উদ্যাপন কমিটির আহবায়ক মোঃ বাবুল আকন ও সদস্য সচিব ডাঃ মোঃ জাকির হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ৩নং দেউলবাড়ী দোবড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সম্মানিত সম্পাদক এফ.এম রফিকুল আলম বাবুল, সহ-সভাপতি বাবু বিনয় ভূষন মজুমদার, সাংগঠনিক সম্পাদক জনাব শহিদুল আলম, নাজিরপুর উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জনাব সোহেল রানা, ৩নং দেউলবাড়ী দোবড়া ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি বাবু অরুন চন্দ্র হালদার, ৩নং দেউলবাড়ী দোবড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ, ৫নং ওয়ার্ড শাখার সাধারণ সম্পাদক বাবু শৈলেন্দ্র নাথ সুতার, ৩নং দেউলবাড়ী দোবড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ৬নং ওয়ার্ড শাখার সভাপতি বাবু রনজিত কুমার মিস্ত্রী সহ মনোহরপুর মাধ্যমিক ও ২১নং মনোহরপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মচারী ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।
আলোচকবৃন্দ বলেন,“তোমার মহাপ্রয়াণে নিঃস্ব হয়েছে জাতি; শোকার্ত এ লগ্নে শত শ্রদ্ধার্ঘ্য তোমার প্রতি।” দেশ স্বাধীন হয়েছে বলেই আজ স্বস্তির নিঃস্বাশ নিতে পারছি। ছেলে মেয়েদের লেখা পড়া শিখিয়ে চাকুরি করাতে পারছি। দেশ স্বাধীন না হলে কিছুই হতোনা। বাঙ্গালীরা যে স্বপ্ন নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছিল আজও তার পূর্ণ বাস্তবায়ন হয়নি। মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তি ও দূর্নীতিবাজরা স্বপ্ন পূরণ করতে দেয়নি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে সে স্বপ্ন ধুলিস্যাৎ হয়েছে। বঙ্গবন্ধু জাতির জীবেন বসন্ত এনেছিল ঠিকই কিন্তু তা সত্যি হতে দিল না। আমাদের একটি মাত্র চাওয়া সুশিক্ষা, শিক্ষার বিকল্প কিছুই নাই। সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে ক্ষুদ্র দারিদ্র, সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ মুক্ত দেশ গঠনে এগিয়ে আসা। মাঠ পর্যায়ে ধর্মের প্রকৃত শিক্ষা ছাড়া সুষম বন্টন ও অসম্প্রদায়িকতা কখনই সম্ভব নয়। প্রকৃত ধর্মীয় শিক্ষার মাধ্যমে কুসংস্কার ও বাধাবিপত্তিকে অতিক্রম করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বাস্তবায়ন করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।

Comments (0)
Add Comment