https://www.youtube.com/watch?v=dJ0Y6h1N3HM
অনলাইন ডেস্ক:
বহুতল ভবনটি ছিল বন শহরের একটি ল্যান্ডমার্ক। ২৫০ কিলোগ্রাম বিস্ফোরক দিয়ে নিয়ন্ত্রিতভাবে ভবনটিকে উড়িয়ে দেওয়া হলো রবিবার। পড়ে থাকল ধুলোর মেঘের নীচে ভাঙাচোরা ইস্পাত আর কংক্রিট।
বন যখন জার্মানির রাজধানী, সে আমলে জার্মানিকে বলা হতো বনের প্রজাতন্ত্র। ১৯৬৯ সালে নির্মিত বন সেন্টার ছিল সেই বন প্রজাতন্ত্রের এক দৃশ্যমান প্রতীক। চ্যান্সেলরের দপ্তরের কাছে, রয়টার ব্রিজের পাশে, রেললাইনের ধারে ৬০ মিটার উঁচু একটি ১৮ তলা বাড়ি।
সেই ১৮ তলা বাড়ির মাথার উপরে ছিল মার্সিডিজ বেঞ্জ কোম্পানির প্রতীক সেই তারা, যা মিনিটে দু’বার করে ঘুরতো। বাড়ি ভাঙার আগে সবার আগে সরানো হয় বন শহরের সেই তারকা।
বন সেন্টার বাড়িটিতে ছিল নানা দূতাবাস ও সংবাদপত্রের অফিস, এছাড়া একটি হোটেল ও অ্যাম্বাস্যাডার নামের একটি রেস্টুরেন্ট যেখানে উইলি ব্রান্ড, হেলমুট স্মিট ও হেলমুট কোল, এই তিনজন সাবেক চ্যান্সেলর খানা খেয়েছেন।
রবিবার সকালে অকুস্থলের ২০০ মিটারের মধ্যে সব যানবাহন বন্ধ থাকে। বেলা এগারোটায় একটা চাপা বিস্ফোরণের শব্দ; তারপর কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে কাত হয়ে পড়ে বন শহরের ল্যান্ডমার্ক। ধুলোর মেঘে সব কিছু ঢেকে যায়। একটি নিখুঁত ব্লাস্টিং ও ডেমোলিশান। এখন তার জায়গায় আসবে একটি কমার্শিয়াল কমপ্লেক্স, যার কেন্দ্রে থাকবে একটি ১০০ মিটার উঁচু বাড়ি।
ইতিহাস গড়তে যা সময় লাগে, ভাঙতে ঠিক ততটা নয় – কে যেন মন্তব্য করছিলেন…?