ওই ঘটনার ত্রিশ বছর পর অবশেষে মঙ্গলবার প্রমাণ হয় ওই দুই ভাই নির্দোষ। ঘটনার সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই।
অবশ্য আটকাবস্থায় বরাবরই নির্দোষ দাবি করে আসছিলেন দুই ভাই। তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা ডিএনএ নমুনাও পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষায় দেখা যায় ডিএনএ নমুনার সঙ্গে দুই ভাইয়ের ডিএনএ’র কোনো মিল নেই। বরং সাদৃশ্য পাওয়া যায় একই ধরনের অপরাধে কারাগারে আটক থাকা অপর এক ব্যক্তির ডিএনএ’র সঙ্গে।
মঙ্গলবার অবশেষে ওই দুই ভাইকে মুক্তি দেয়ার আদেশ দেয় নর্থ ক্যারোলিনার একটি আদালত।এর মাঝে কেটে গেছে দীর্ঘ ৩০ বছর। বর্তমানে ম্যাককুলামের বয়স ৫০ আর ব্রাউনের বয়স ৪৬।
১৯৮৩ সালে নর্থ ক্যারোলিনার রেড স্প্রিংসে ১১ বছর বয়সী সাবরিনা বুয়ির নগ্ন মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। খুনের আগে ধর্ষণও করা হয় তাকে। ম্যাককুলাম আর ব্রাউনের দুর্ভাগ্যের সূত্রপাতও তখন থেকেই।
ঘটনার সঙ্গে তাদের জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট কোনো প্রমাণ না থাকা সত্ত্বেও কয়েক সপ্তাহ পর পুলিশ গ্রেফতার করে ১৯ বছর বয়সী ম্যাককুলাম ও ১৫ বছর বয়সী ব্রাউনকে।
জিজ্ঞাসাবাদে ম্যাককুলাম নাকি ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন এমনটাই দাবি করে পুলিশ। পরে পুলিশি চাপে লিখিত একটি স্বীকারোক্তিতে সই করেন তার ছোট ভাই ব্রাউন।
কিন্তু মামলাটি আদালতে তোলা হলে দুজনেই তাদের স্বীকারোক্তি অস্বীকার করে তা জোর করে আদায় করা হয়েছে বলে দাবি করেন। কিন্তু তাদের কথায় কান না দিয়ে আদালত তাদের দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড দেয়। পরে ব্রাউনের সাজা কমানো হলেও ম্যাককুলামের সাজা বহাল থাকে। অবশেষে ২০১০ সালে নর্থ ক্যারোলিনার নিরপরাধ তদন্ত কমিশন এই ঘটনার সঙ্গে দুই ভাই জড়িত নয় বলে প্রমাণ পায়।