খুলনার ভৈরব নদের তীরে খোলা আকাশের নিচে পড়ে আছে নন ইউরিয়া সার।

 

খুলনার ভৈরব নদের তীরে রুজভেল্ট জেটি, খুলনা ওয়াসা ভবনের সামনে ও শিরোমনি এলাকায় খোলা আকাশের নিচে পড়ে আছে ৫০ হাজার মেট্রিক টন নন ইউরিয়া সার।
এদিকে মংলা বন্দর থেকে খুলনা নগরীতে আনা পরিবহন ঠিকাদারকে সার রাখা বাবদ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে মাসের পর মাস ভাড়া গুনতে হচ্ছে।
বৃহত্তর খুলনার বিএডিসি’র পাঁচটি গুদামে তিল ধারণের ঠাঁই নেই। তারপরও ধারণ ক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত সার আমদানি হয়েছে ছয় মাসে। সৌদি, মরক্কো, কানাডা, বেলরুশ ও তিউনিশিয়া থেকে এসব সার আমদানি করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বোরো আবাদ শেষ হয়েছে তিন মাস আগে। এক মাস পরে আমনের আবাদ শুরু হবে। চিংড়ি ঘের ছাড়া অন্য কোন ফসলে এখন নন ইউরিয়া সারের ব্যবহার নেই। চাহিদার চেয়ে বেশি সার আমদানি হয়েছে ছয় মাস আগে থেকে। আমদানি করা হয়েছে, মরক্কো ও তিউনিশিয়া থেকে টিএসপি, কানাডা ও বেলরুশ থেকে এমওপি, সৌদি ও মরক্কো থেকে ডিএপি সার।

বিএডিসি খুলনার সূত্র জানায়, বিএডিসি’র আমদানি করা সার মংলা বন্দর থেকে বাল্ক ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল, নবাব এন্ড কোম্পানি, এসএস শিপিং ও নওয়াপাড়া ট্রেডার্স পরিবহন ঠিকাদার হিসেবে খুলনা নগরীর রুজভেল্ট জেটিতে নিয়ে আসে। গুদামে স্থান না থাকায় মংলা বন্দর থেকে তাদের আনা সার মজুদ করা সম্ভব হয়নি। সে কারণেই তারা খোলা আকাশের নিচে সার ফেলে রেখেছেন।

Comments (0)
Add Comment