ঠাকুরগাঁওয়ে প্রার্থীতা বাতিলের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

আব্দুল আউয়াল, ঠাকুরগাঁও: ঠাকুরগাঁওয়ে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের সহকারী পদে ফেরদৌসি আক্তারের প্রার্থীতা বাতিলের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার দুপুরে ঠাকুরগাঁও অনলাইন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার কারুয়া গ্রামের বাসিন্দা জিল­ুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, গত ২০১৭ সালের ২৬ জুলাই ঠাকুরগাঁও জেলা পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের সহকারী (মহিলা) পদে লোক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১ ও ৪ নম্বর প্রার্থীকে ঠাকুরগাঁও জেলার স্থায়ী বাসিন্দা, ২ নম্বর প্রার্থীকে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের স্থায়ী বাসিন্দা ও ৩ নম্বর প্রার্থীকে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড/ইউনিটের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে। আবেদনের ক্ষেত্রে প্রার্থীকে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বড়পলাশবাড়ী ইউনিয়নের দক্ষিণ দুয়ারী, জিয়াবাড়ী, করুয়া, ফতেপুর ও সোপড়া গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে। সেই স্থানীয় বাসিন্দারা এই সহকারী পদে আবেদন করতে পারবেন; এছাড়া কোন কোন গ্রামের বাসিন্দা আবেদন করতে পারবেন না। কিন্তু এই সহকারীর পদে ওই ৫টি গ্রাম ছাড়াও পাশ্ববর্তী কুইকুড়ী গ্রামের বাসিন্দা ফেরদৌসা আক্তার আবেদন করেন।

জিল­ুর রহমান বলেন, ২০১৮ সালের ২৫ মে ঠাকুরগাঁও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে পরিবার পরিকল্পনার সহকারী (মহিলা) পদের লিখিত পরীক্ষায় আলেয়ারা খাতুন, হাসিনা বেগম, আয়েসা সিদ্দিকা, রিক্তা আক্তার ও ফেরদৌসী অংশ নেয়।

তিনি বলেন, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি মোতাবেক ফেরদৌসি আক্তার যেহেতু স্থানীয় বাসিন্দা নয়; সেক্ষেত্রে তার প্রার্থীতা বাতিল করার জন্য আবেদন করছি।

ইতোমধ্যে সহকারী (মহিলা) পদের প্রার্থী ফেরদৌসি আক্তারের প্রার্থীতা বাতিলের জন্য ঢাকা পরিবার পরিকল্পনার মহা পরিচালক, রংপুর বিভাগীয় পরিচালক, ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক, ঠাকুরগাঁও সিভিল সার্জন, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা সহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ পাঠানো হয়েছে বলে জানান জিল­ুর রহমান।

সহকারী (মহিলা) পদের প্রার্থী ফেরদৌসি আক্তার বলেন, বিজ্ঞপ্তির নিয়ম মেনেই আমি চাকুরির জন্য আবেদন করেছি। কেউ যদি এখন সেটি অন্যদিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে তাহলে তো আমার কিছুই বলার নেই।

এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সাইফুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমরা অবগত হয়েছি; কেউ যদি সংশ্লিষ্ট ঠিকানার বাসিন্দা না হয়েও সহকারী পদে পরীক্ষা দিয়ে থাকেন; তাহলে বিষয়টি যাচাই বাছাইয়ের পর তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সংবাদ সম্মেলনে ঠাকুরগাঁও জেলার বিভিন্ন ইলেকট্রনিক, প্রিন্ট ও অনলাইন পত্রিকার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

Comments (0)
Add Comment