দিনাজপুর ৭ নং উপ-শহরের বাসিন্দা গ্রিল তৈরীর দোকানদার মাহবুব আলমের মেয়ে প্রথম শ্রেনীর ছাত্রী মিমি আক্তার (৭) গত ২৭ ডিসেম্বর রোববার সকাল ১১টায় বাড়ির পাশে খেলার সময় নিখোঁজ হয়। ওই দিন সন্ধায় মাহবুরের মোবাইল ফোনে অজ্ঞাত নাস্বার থেকে জানাানো হয় তার মেয়ে মিমি আক্তারকে অপহরণ করা হয়েছে। ৭ লাখ টাকা দিলে তার মেয়েছে ছেড়ে দেয়া হবে। এজন্য ৭ লাখ টাকা নিয়ে পার্বতীপর রেল স্টেশনে যেতে বলা হয়।
এই মোবাইল ফোন পাওয়ার পর মাহবুব দিনাজপুর কোতয়ালী থানায় একটি সাধারণ ডায়রি নথিভুক্ত করেন। পর দিন সকাল ১১টায় কোতয়ালী থানা পুলিশ ও পার্বতীপুর থানা পুলিশের সহায়তায় মাহবুব আলম পার্বতীপুর রেল ষ্টেশনে যায় সন্তান উদ্ধারের জন্য। কিন্তু অপহরণকারীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আর দেখা করেনি মাহবুরের সাথে। বাড়ি ফেরার পথে মাহবুবকে জানানো হয়, বেশী চালাকি করলে তার মেয়েকে হত্যা করা হবে। ৭ লাখ টাকা দিতে না পারলেও ৪ লাখ টাকা দিলে তারা মিমি আক্তারকে ছেড়ে দিবে বলে মোবাইল ফোনে জানায়।
এ গরিব মাহাবুব ৪ লাখ টাকা দিতে পারবে না বলে দর কষাকষি করে। শেষ পর্যন্ত ২ লাখ টাকা দিতে রাজি হয়। কিন্তু শুক্রবার সকালে ২ নং উপশহরের একটি ডোবার পাশে ময়লা গাড্ডায় বস্তাবন্দী অবস্থায় মিমি আক্তারের লাশ আবিস্কার করে এলাকাবাসী।
দিনাজপুর কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম খালেকুজ্জামান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানিয়েছেন, লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন ৫ জনকে আহক করা হয়েছে। জন্য মূল আসামীদের ধরতে তৎপরতা অব্যাহত আছে।
উল্লেখ্য,মাহবুব আলম দিনাজপুর ডায়াবেটিক মোড়ে গ্রিল তৈরীর দোকান করেন। তার ৩ সন্তান। বড় মেয়েটি প্রতিবন্ধী। ছেলে কাজন ৩য় শ্রেনীতে পড়ে। আর ছোট মেয়ে মিমি আক্তার পড়তো ইসলামিয়া স্কুলে। এ ঘটনার পর মিমি আক্তারের মা শিউলী আক্তার বার বার মূর্চা যাচ্ছেন। এঘটনায় এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।