অনলাইন ডেস্ক: জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট ঝিনাইদহে এক ব্যক্তিকে হত্যার দায় স্বীকার করেছে বলে দাবি করছে ‘সাইট ইন্টেলিজেন্স’ নামের এক মার্কিন ওয়েবসাইট। সমির উদ্দিন নামের এই হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসককে গতকাল ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।
পুলিশ বলছে, ধর্মান্তরিত হওয়ার কারণে তাকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে বলে তারা সন্দেহ করছে। তবে নিহতের পরিবারের সদস্যরা দাবি করছেন, কয়েক বছর আগে খ্রিস্টধর্মে দীক্ষা নিলেও সমির উদ্দিন আবার ইসলাম ধর্মে ফিরে এসেছিলেন।
স্থানীয় একটি গির্জার কয়েকজন বলেছেন, ধর্মান্তরিত হওয়া ও খৃস্টান ধর্ম প্রচারের কারণেই তাকে হত্যা করা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে স্থানীয় বাজারে তার ছোট্ট একটি দোকানে তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
ঝিনাইদহে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাসান হাফিজুর রহমান বলেছেন, স্থানীয় একজন ভ্যান-চালক চিকিৎসার জন্যে সমির উদ্দিনের কাছে গিয়েছিলেন এবং সেখানে গিয়ে তিনি তাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। প্রথমে তিনি মনে করেছিলেন যে সমির উদ্দিন হৃদরোগে মারা গেছেন। কিন্তু পরে বুকের ওপর থেকে কাপড় সরিয়ে প্রথমে সেখানে রক্ত ও পরে ছুরিকাঘাতের দুটো চিহ্ন দেখতে পান। সমির উদ্দিনের বয়স ছিলো প্রায় ৮৫।
তিনি বলেন, নিহত সমির উদ্দিন ২০০১ সালে খৃস্টান ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন এবং সেকারণে তাকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। তবে তিনি বলেন যে গত এক বছর ধরে সমির ইসলাম ধর্মই পালন করে আসছিলেন। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তেন।
“অতীতে ধর্ম পরিবর্তনের কারণে তার উপর কেউ ক্ষিপ্ত হয়ে থাকতে পারে। পারিবারিক বিরোধ বা শত্রুতাও থাকতে পারে।” বলেন হাসান হাফিজুর রহমান।
ইসলামিক স্টেটের তৎপরতার ওপর নজর রাখে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এরকম একটি ওয়েবসাইট সাইট ইন্টেলিজেন্স দাবি করেছে, আই এস সমিরকে হত্যা করেছে। তবে ঝিনাইদহের পুলিশ তা মানতে রাজি নয়। তারা বলছে, সেখানে আই এস নামে কোনো সংগঠনের তৎপরতা নেই।
নিহতের ছেলে মনিরুল ইসলাম বলেছেন, তার পিতা কোনোদিন ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করেননি। তার ধর্মান্তরিত হওয়ার কথা তারা শুধু লোকের মুখেই শুনেছেন। বিবিসি বাংলা।