বর্ষবরণের রাতের ওই ঘটনা মোকাবেলায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে দেশটিতে তীব্র সমালোচনার মুখে এই সিদ্ধান্তের কথা জানালেন তিনি। পুলিশ প্রধান ভল্ফগ্যাং আলবার্সের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ওই ঘটনা সম্পর্কিত, বিশেষ করে সন্দেহভাজনদের পরিচয় সম্পর্কে তথ্য গোপন করছিলেন। ২০১৬ সালকে স্বাগত জানানোর রাতে কোলন সিটি সেন্টার ও আশপাশের এলাকায় প্রচুর মানুষ জড়ো হয়। ভিড়ের সুযোগে কোলন স্টেশন ও সিটি সেন্টারের মাঝামাঝি জায়গায় একদল তরুণ নারীদের যৌন নির্যাতন করে।
এ ঘটনায় জার্মানির পাশাপাশি বিশ্বজুড়ে ক্ষোভের ঝড় উঠেছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে এর আগে কোলন পুলিশ জানায়, ভিড়ের মধ্যে প্রায় এক হাজার পুরুষের একটি দল এ ঘটনার জন্য দায়ী। তাদের অনেকে মদ্যপ এবং দেখতে ‘আরব ও উত্তর আফ্রিকানদের মতো’ ছিল। এদিকে শুক্রবারই জার্মানির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নারীদের ওপর যৌন নিপীড়নে ওইসব ঘটনায় বেশ কয়েকজন আশ্রয়প্রার্থী জড়িত।
কোলন সিটি সেন্টারের বাইরে যৌন নিপীড়নের ঘটনায় জড়িত ৩১ জনের নাম-পরিচয় জানতে পেয়েছে কেন্দ্রীয় পুলিশ। তাদের মধ্যে ১৮ জন জার্মানিতে আশ্রয় প্রার্থনা করেছে। চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেল এদিন বলেছেন, নিপীড়নকারীদেরকে জার্মানি থেকে বিতাড়িত করা হবে। বিবিসি।