গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: মিজানুর রহমান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাষ্ট, বন ও পরিবেশ মন্ত্রনালয়ের অর্থায়নে এবং গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি অফিসের সহায়তায় এ প্রদর্শনী প্রকল্পের কাজে কৃষক পর্যায়ে ভাসমান বেড স্থাপন করা হচ্ছে মুলত কচুরীপানা দিয়ে ধাপ বানিয়ে। সেই ধাপের উপর লাল শাক, পুই শাক, ডাটা শাক, গিমা কলমি, ঢেড়শ, সীম, লতিরাজ কচু, লাউ, হলুদ প্রভৃতি চাষ করা হচ্ছে।
প্রতিটি বেড বা ধাপ লম্বায় ২০ মিটার প্রস্থ এবং পুরু সোয়া মিটার করে তৈরী করা হয়েছে। ৩টি বেড বা ধাপ মিলে একটি প্রকল্প হিসাবে সদর উপজেলায় মোট ৪৫টি প্রকল্পে চাষাবাদ কাজ চলছে। প্রতিটি প্রকল্পের ব্যায় ধরা হয়েছে ৮ হাজার টাকা। কৃষি কর্মকর্তারা চাষাবাদের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরন ক্রয় করে দিচ্ছে চাষীদের। সদর উপজেলার ঘোনাপাড়া, গোবরা, চাপাইল পাড়া এবং চেচানিয়া কান্দি এলাকায় এ ধরনের ভাসমান বেড তৈরী করে সব্জি ও মসলার প্রদশর্নী চাষ এলাকাবাসীর মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। ভুমিহীন বা সহায় সম্বলহীন মানুষেরা পেয়েছে বেঁচে থাকার নতুন প্রেরনা।
গোবরা ইউনিয়নের বাবু রাম বিশ্বাস জানিয়েছেন ধাপের উপর সব্জি বা মসলা চাষ করে যে অর্থ উপার্জন করে সাবলম্বী হওয়া যায় তা তার জানা ছিলো না। কৃষি অফিসের কর্মকর্তারা তাকে অর্থ উপার্জনের জন্য এ ধরনের উপায় বাতলে দেয়ায় সে কৃতজ্ঞ।
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা সহকারী কৃষি কর্মকর্তা পার্বতী বৈরাগী জানিয়েছেন প্রকল্পের আওতায় ভাসমান বেডে সব্জি ও মসলা চাষ সার্বিক ভাবে সফল হওয়ায় বেকার মানুষেরা এখন এগিয়ে আসছে এই পদ্ধতিতে চাষ করে অর্থ উপার্জন করতে।