সৈয়দ মনির আহমদ, ফেনী: সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রুহুল আমিনের বাসভবনে বোমা হামলার প্রতিবাদে অবরোধ পালন করেছে স্থানীয় আ’লীগ ও সহযোগী সংগঠন। বুধবার দিবাগত রাত দেড় ঘটিকার সময় রুহুল আমিনের পৌরসভার তাকিয়া রোড়স্থ বাস ভবনে বোমা হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। খবর পেয়ে সোনাগাজী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মেজবাহ উদ্দিন রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। সংবাদটি জানাজানি হলে বৃহষ্পতিবার সকালে আ’লীগ ও সহযোগী সংগঠনের শতাধিক নেতা কর্মী সোনাগাজী বাজার সহ মতিগঞ্জ , ডাকবাংলা , নজরুল প্রাইমারী , ওলামা বাজার সড়কে গাছের গুড়ি পেলে , টায়ার জ্বালীয়ে অবরোধ করে এবং দুই শতাধিক পটকার বিস্ফোরন ঘটায়। আতংকে বাজার এলাকার দোকানপাট ও যান চলাচল বন্ধ থাকে। এ সময় রুহুল আমিনের ১০/১৫জন সমর্থক কলেজ রোড়স্থ উপজেলা আ’লীগের প্রচার সম্পাদক সৈয়দ দীন মোহাম্মদ এর বাসায় হামলার অভিযোগ উঠেছে। এদিকে সকাল ১০ টায় জিরোপয়েন্টে সংক্ষিপ্ত পথসভায় উপজেলা আ’লীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক জহিরুল আলম জহির বোমা হামলায় জড়িতদের ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতারের আল্টিমেটাম দিয়ে অবরোধ প্রত্যাহার করে নেয়। উপজেলা আ’লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রুহুল আমিন জানান, রাজনৈতিক বিরোধের জেরে ফেনী -৩ আসনের স্বতন্ত্র সাংসদ হাজী রহিম উল্যাহর সহযোগীরা তাকে হত্যার উদ্যেশে ওই সময় তার বাসভবনে হামলা চালায়। সোনাগাজীর বর্তমান সুস্থ্য রাজনৈতিক পরিবেশ বিনষ্ট করার জন্য সাংসদের নির্দেশে এ হামলা চালানো হয়েছে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে সাংসদ রহিম উল্যাহ বলেন , বিএনপি জামাতের চিহ্নিত এজেন্ট রুহুল আমিন রাজনৈতিক ভাবে দেউলিয়া হয়ে নিজেই নিজের বাসার দেয়ালে পটকা ফাটিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে। এঘটনায় রুহুল আমিনের ভাতিজা রানা বাদী হয়ে সাংসদ রহিম উল্যাহর সমর্থক তিন আ’লীগ নেতার নাম উল্যেখ করে থানায় অভিযোগ দায়ের করে। এ ব্যাপারে মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ হুমায়ুন কবির জানান, আ’লীগ নেতার বাসায় হামলার ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি । ঘটনার প্রকৃত ক্লু উদঘাটন করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যাবস্থা নেয়া হবে।