দেয়ালে দেয়ালে লেখা রয়েছে এমন অনেক হতাশার কথা। কেউ ব্যাংকের দেনার ভারে নাজেহাল, কারো লেখায় বিচ্ছেদের বিষাদ, কেউ মাদকের নেশায় সব খুইয়েছেন, কেউবা চিরদিনের জন্য হারিয়েছেন প্রিয় মানুষটিকে। নিউইয়র্কের টাইম স্কয়ারের দেয়ালে সাঁটা এই কষ্টের কথাগুলো ভিন্ন ভিন্ন মানুষ লিখে গেলেও তারা সবাই এর সম্মুখীন হয়েছেন ২০১৫ সালেই।
এই লেখাগুলো সংগ্রহের প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে, বিগত সব হতাশা ও যন্ত্রণা ভুলে আসছে বছর সবাই যেন নতুন করে জীবনকে গুছিয়ে নিতে পারে। অতীতকে ঝেড়ে ফেলার লক্ষ্যে লেখাগুলো কিছু সময় দেয়ালে রাখার পর তা ছিঁড়ে ডাস্টবিনে ফেলে দেয়া হয়।
এক ব্যক্তি বলেন, ‘আমি ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই ছবিটা ছিঁড়ে ফেলব। কারণ সে মানুষে মানুষে বিভেদ করেছে।’
এক নারী বলেন, ‘এ বছর আমার ওজন অনেক বেড়ে গেছে। আমি চাই সামনের বছর একটা সুস্থ সুন্দর সময় কাটাতে।’
অপর এক নারী বলেন, ‘খামখেয়ালিপনায় পুরো বছরটা কাটিয়ে দিয়েছি। এখন ধীরস্থির হতে হবে। নিজের পরিবার আর পড়াশোনাকেই বেশি সময় দেব। দুটো বিষয়ই আমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’
ভালো-মন্দ মিলিয়েই জীবন, একে মেনে নিয়ে সবাই যেন জীবনকে উপভোগ করে সে কারণেই এমন উদ্যোগ টাইমস্কয়ার কর্তৃপক্ষের। ৯ম বারের মতো আয়োজিত এই ইভেন্টের নাম দেয়া হয়েছে গুড রিডড্যান্স ডে। এ ধরণের ইভেন্টের গোড়াপত্তন হয়েছে দক্ষিণ আমেরিকায়। সেখানে মানুষ একটি ফাপা পুতুলের ভেতর হতাশার বস্তু ভরে পুড়িয়ে ফেলে।
খোলা দৃষ্টিতে এ ধরণের উদ্যোগ অনেকটা হাস্যকর মনে হলেও হতাশাগ্রস্ত মানুষের মনে ছোট বিষয়গুলো আজও আশার আলো ছড়ায়।