গত জুলাইয়ে ছয় বিশ্বশক্তির সঙ্গে ইরানের সই হওয়া ঐতিহাসিক পরমাণু চুক্তির আওতায় শনিবার থেকে দেশটির উপর আরোপিত আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর রোববার নতুন এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। পরমাণু চুক্তির আওতায় বন্দি বিনিময়ও করেছে যুক্তরাষ্ট্র-ইরান। একসঙ্গে চার ইরানি-আমেরিকান ও আলাদাভাবে অপর একজন মার্কিনিকে মুক্তি দেয় ইরান। এর বিনিময়ে নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে আটক সাত ইরানিকে মুক্তি দেয়া হয়।
ডিসেম্বরে এই বন্দিবিনিময় নিয়ে আলোচনা চলার কারণে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রকাণ্ডে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে সময় নেয় যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয়। প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানা গেছে, মুক্তি পাওয়া যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের বহনকারী বিমানটি ইরান ছাড়ার পর নতুন নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। অক্টোবরে ইরান সুনির্দিষ্টভাবে-নিয়ন্ত্রিত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা করে। এসব ক্ষেপণাস্ত্র পরমাণু ওয়ারহেড বহনে সক্ষম। এই পরীক্ষায় দেশটির ওপর জাতিসংঘের আরোপিত নিষেধাজ্ঞার লঙ্ঘন হয়। ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য একটি উল্লেখযোগ্য হুমকি, এটি আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার বিষয় হয়েই থাকবে, বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাস ও আর্থিক গোয়েন্দা সংক্রান্ত আন্ডার-সেক্রেটারি অ্যাডাম জে জুবিন।