Connecting You with the Truth

বিমানবন্দরের নিরাপত্তার জন্য বিশেষ ফোর্স গঠনের প্রস্তাব

bangladesh_airport_640x360_bbc

বাংলাদেশের বিমানবন্দরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার জন্য একটি বিশেষ বাহিনী গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বেসরকারি বিমান চলাচল ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘নতুন বাহিনী তৈরি করার আগে পরীক্ষামূলকভাবে বিভিন্ন বাহিনী থেকে লোকবল নিয়ে একটি নিরাপত্তা দল গঠন করা হবে। নতুন এ বাহিনীর নামকরণ হতে পারে এভিয়েশন সিকিউরিটি ফোর্স।

সম্প্রতি মিশরে একটি রাশিয়ান বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বেশ কিছু দেশে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে। তারই ফলশ্রুতিতে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।এই বাহিনী গঠন না করার আগ পর্যন্ত নিরাপত্তা বাড়নোর লক্ষ্যে ভিন্ন আরেকটি ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

পুলিশ, আনসার এবং বিমান বাহিনী থেকে লোকবলের সমন্বয়ে ১০০ সদস্যের একটি দল গঠন করা হচ্ছে। আগামী কয়েকমাস এই দলটির কার্যক্রম মূল্যায়ন করা হবে। তার উপর ভিত্তি করে এভিয়েশন সিকিউরিটি ফোর্স গঠনের চিন্তা করা হচ্ছে।

দেশের বিমানবন্দরগুলোতে বর্তমানে নিরাপত্তার দায়িত্বে যারা আছেন তার বাইরে এই টিম কিভাবে করে সেটি সরকার দেখতে চাইছে।

সম্প্রতি মিশরের শার্ম আল শেইখ-এ রাশিয়ান একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়। ধারণা করা হচ্ছে সেই বিমানের কার্গো হোল-এ বোমা রাখা ছিল।

এরপর থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিমানবন্দরের নিরাপত্তা পর্যালোচনা করে ব্রিটেনের বিশেষজ্ঞরা। সেই প্রেক্ষাপটে ব্রিটেনের বিশেষজ্ঞরা বাংলাদেশের বিমানবন্দরগুলোতে নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য সুপারিশ করে।

বিমানমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, বাংলাদেশের বিমানবন্দরগুলোতে কোথায় নিরাপত্তার ঘাটতি আছে ব্রিটেনের বিশেষজ্ঞরা সেটি বাংলাদেশকে জানিয়েছে।

এরপর জরুরী ভিত্তিতে বাংলাদেশের বিমানবন্দরগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বলে বিমানমন্ত্রী জানিয়েছেন।

বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিমান চলাচল এবং নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এখানকার রেকর্ড এখনো পর্যন্ত খুবই ভালো।

কিন্তু সম্প্রতি ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একজন নারী কোন বোর্ডিং পাস ছাড়াই অভ্যন্তরীণ রুটের একটি ফ্লাইটে উঠে বসে। এ ঘটনায় তুমুল শোরগোল শুরু হয়।

বাংলাদেশ সিভিল এভিয়েশন অথরিটির সাবেক প্রধান এবং এয়ার কমোডোর (অব.) ইকবাল হোসেন বলেন, যাত্রী এবং মালামাল তল্লাশির ক্ষেত্রে কিছু দুর্বলতা রয়েছে।

সেজন্য দক্ষ জনবলের সমন্বয়ে একটি বিশেষ বাহিনী গঠন যুক্তিযুক্ত বলে উল্লেখ করেন তিনি।

এদিকে বিমান মন্ত্রণালয় বলছে, ইতোমধ্যে বিমানবন্দরে নতুন স্ক্যানিং মেশিন বসানো, যাত্রী তল্লাশি জোরদার এবং দর্শনার্থীদের প্রবেশ সীমিত করা হয়েছে। সূত্র: বিবিসি

Comments