অসহযোগ আন্দোলন: ১৪ জেলায় সংঘর্ষ ও গুলিতে নিহত অন্তত ৩৫
অনলাইন ডেস্ক:
সরকার পতনের এক দফা দাবিতে রোববার শুরু হয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলন। অসহযোগের প্রথম দিনে সারাদেশে অন্তত ৩৫ জন মারা গেছেন। সরকার পতনের এক দফা দাবিতে আন্দোলন করছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। আজ রোববার থেকে এ কর্মসূচিতে এখন পর্যন্ত (বিকেল ৪ টা পর্যন্ত) ফেনীতে ৫ জন, সিরাজগঞ্জে ৪ জন, মুন্সিগঞ্জে ৩ জন, বগুড়ায় ৩ জন, মাগুরায় ৩ জন, ভোলায় ৩ জন, রংপুরে ৩ জন, পাবনায় ২ জন, সিলেটে ২, কুমিল্লায় ১ জন, জয়পুরহাটে ১ জন ও বরিশালে ১ জন, ঢাকায় ২ জন,লক্ষ্মীপুরে ২ জনসহ ৩৫ জন নিহত হয়েছেন।
ফেনীতে ৫:
শিক্ষার্থীদের অসহযোগ আন্দোলনের প্রথম দিনে ফেনীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা করেছে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ-সংগঠনের সদস্যরা। এ সময় উভয় পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় তিন গণমাধ্যমকর্মীসহ অন্তত ১০জন আহত হয়েছেন। রবিবার দুপুরের পর মহিপাল এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এরপর ঘটনাস্থল থেকে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে পাঁচজনের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয়। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া আরও পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হন। তবে তাদের নাম জানা যায়নি। ফেনী জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক আসিফ ইকবাল বলেন, ‘হাসপাতালের মর্গে পাঁচজনের মরদেহ রাখা হয়েছে।’
সিরাজগঞ্জ ৪:
সিরাজগঞ্জে আন্দোলনকারী, আওয়ামী লীগ কর্মী ও পুলিশের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে অন্তত চারজন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে বেশ কয়েকজন। জেলায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে; যার মধ্যে থানা ও দুই সংসদ সদস্যের বাড়িও রয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের পরিচয় জানা যায়নি। মরদেহ উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
মুন্সীগঞ্জ ৩:
মুন্সীগঞ্জ শহরের থানারপুল চত্বরে আন্দোলনকারী ও আওয়ামী লীগ কর্মীদের মধ্যে রোববার সকাল ১০টার দিকে সংঘর্ষে ৩ জন নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন- রিয়াজুল ইসলাম (৩৫), মেহেদি হাসান (৩২), মো. সজল (২২)। এ সময় গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছেন অন্তত ৫০ জন। আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে কমপক্ষে পাঁচটি মোটরসাইকেল।
বগুড়ায় ৩:
বগুড়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আজ রোববার দুপুরে এ ঘটনা ঘটেছে। দুজনের মৃত্যুর বিষয় নিশ্চিত করেছেন শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের উপপরিচালক আবদুল ওয়াদুদ এবং অপরজনের বিষয় নিশ্চিত করেছেন বেসরকারি স্বদেশ হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক। তিনজনের মধ্য দুজনের লাশ শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও একজন বেসরকারি স্বদেশ হাসপাতালে রয়েছেন। নিহতের মধ্যে একজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাঁর নাম মনিরুল ইসলাম (২২)। তাঁর বাড়ি কাহালু উপজেলায়
ভোলায় নিহত ৩:
ভোলায় ছাত্রদের অসহযোগ আন্দোলনের প্রথমদিনে ছাত্ররা জেলা আওয়ামী লীগ অফিস, শ্রমিক লীগ অফিস ভাংচুর, পৌরসভা ভাঙচুর অগ্নিসংযোগ, শতাধিক মোটরসাইকেলে আগুন দেয়। ৩ জন নিহতসহ অন্তত অর্ধ শতাদিক আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের এক দফা দাবিতে অসহযোগ আন্দোলনের প্রথমদিনে বেলা সাড়ে ১০টায় শিক্ষার্থীরা ভোলা সরকারি বালক বিদ্যালয় সংলগ্ন ইলিশ ফোয়ারায় অবস্থান নেয়। অপরদিকে বাংলা স্কুল মোড়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অবস্থান নেয়। এসময় উভয়ের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছিল। বেলা ১১টার দিকে কয়েক হাজার কোটাবিরোধী বিক্ষুদ্ধরা লাঠিসোটা নিয়ে সদর রোড হয়ে বাংলা স্কুল মোড়ে এসে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ধাওয়া দিলে তারা স্থান ত্যাগ করে।
রংপুরে নিহত ৩:
রংপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীর সঙ্গে আওয়ামী লীগের ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় রংপুরের সিটি করপোরেশনের অফিসের সামনে সংঘর্ষে ওয়ার্ড কাউন্সিলর হারাধন নিহত হন। এছাড়া সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন আরও দুই জন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। রোববার (৪ আগস্ট) সকালে এ ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে নিহতের ঘটনা ঘটে। নিহত হারাধান রংপুর সিটির ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর। দুজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে রংপুর মেডিকেল কলেজের সর্দার আব্দুল জলিল ও মিজানুর রহমান মিজান ইত্তেফাককে জানিয়েছেন, দুজনের লাশ তারা পেয়েছেন, তবে করো নাম পরিচয় জানা যায়নি।
মাগুরায় ৩ জন:
মাগুরা শহরের ঢাকা রোড়ে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক মেহেদী হাসান রাব্বী নিহত হন। এ সময় ফরহাদ হোসেন (২৩)। তার বাবা রাম গোলাম রসুল। ফরহাদ শ্রীপুরের রায়নগর এলাকার বাসিন্দা। এ সময় রোববার সকাল ১১টার দিকে এ সংঘর্ষে আহত হয়েছেন তিন পুলিশ সদস্যসহ ১০ জন।
পাবনা ২:
পাবনায় কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহতদের বিচার ও সরকারের পদত্যাগ দাবিতে শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচিতে গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুইজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অনেকেই। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। রোববার বেলা ১টার দিকে পাবনা শহরের ট্রাফিক মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট পাবনা জেনারেল হাসপাতালে সহকারী পরিচালক ডা. রফিকুল ইসলাম রিমন নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহতরা হলেন- পাবনা সদরের চর বলরামপুরের জাহিদুল ইসলাম (১৮) ও পাবনা শহরের আরিফপুর হাজীরহাট এলাকার মাহিবুল হোসন (১৬)।
কুমিল্লায় ১ জন:
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে দেবিদ্বারে একজন নিহত হয়েছেন। আজ রোববার দুপুর দেড়টার দিকে দেবিদ্বার পৌর এলাকার বানিয়াপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত ওই ব্যক্তির নাম আবদুল্লা রুবেল (৩৩)। তিনি পেশায় গাড়িচালক। তিনি বারেরা এলাকার ইউনুছ মিয়ার ছেলে।
সিলেটে গুলিতে নিহত ২:
সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলায় গুলিতে দুজন নিহত হয়েছেন। রোববার (৪ আগস্ট) দুপুর ২টার দিকে গোলাপগঞ্জ পৌর এলাকার ধারাবহরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত দুজন হলেন- ধারাবাহর গ্রামের মো. মকবুল আলীর ছেলে ব্যবসায়ী তাজ উদ্দিন (৪৩) ও উপজেলার শিলঘাটের বাসিন্দা সানি আহমদ (১৮)। গুলিতে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোলাপগঞ্জ উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা সুদর্শন সেন। তিনি বলেন, তারা দুজনই মারা গেছেন। একজনের পেটে গুলি লেগেছে। আরেকজনের কোথায় গুলি লেগেছে সেটা নিশ্চিত করতে পারছি না। কারণ আমি অন্যজনকে চিকিৎসা সেবা দিতে ব্যস্ত ছিলাম। সিলেট জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সম্রাট তালুকদার বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই।
জয়পুরহাটে নিহত ১:
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অসহযোগ আন্দোলনের প্রথম দিন রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে জয়পুরহাট শহর। পুলিশ ও শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন মেহেদী হাসান নামে এক আন্দোলনকারী। এছাড়া আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, আন্দোলনকারী ও সাংবাদিকসহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছে। রোববার বেলা ১১টায় বিভিন্ন স্থান থেকে মিছিল নিয়ে শহরের জিরো পয়েন্টে অবস্থান নেয় আন্দোলনকারীরা। এরপর সেখানে বিক্ষোভ সমাবেশ করে তারা। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে আগুন লাগানো হয়। ওই সময় অফিসে থাকা স্থানীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সামছুল আলম দুদুসহ আওয়ামী লীগের অন্তত ২০ জন আহত হন। এরপর আগুন দেয়া হয় ছাত্রলীগ অফিসে, ভাঙচুর করা হয় শ্রমিক লীগ অফিস। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করলে আহত হয় শিক্ষার্থী ও পথচারীসহ আরো ৩০ জন। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে আহত একজনকে বগুড়া নেয়ার পথে মৃত্যু হয়।
বরিশালে নিহত ১:
বরিশালে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে টুটুল চৌধুরী (৬২) নামে এক আওয়ামী লীগ নেতা নিহত হয়েছেন। রবিবার দুপুরের দিকে নগরীর সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজের পাশে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে প্রাণ হারান তিনি। নিহত টুটুল চৌধুরী বরিশাল সিটি করপোরেশনের ১২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ছিলেন। মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম জাহাঙ্গীর এ তথ্য নিশ্চিত করেন। জানা গেছে, সকাল থেকেই আন্দোলনকারীরা নগরীর সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজের চৌমাথায় অবস্থান নেন। এর পাশেই পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীমের বাসা। ওই সময় আন্দোলনকারীরা প্রতিমন্ত্রীর বাসায় হামলা চালালে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তা প্রতিহত করতে যান। এ সময় উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে প্রাণ হারান টুটুল চৌধুরী।
ঢাকায় নিহত ২:
রাজধানীর উত্তরায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের দফায় দফায় পাল্টাপাল্টি ধাওয়া চলছে। এতে আন্দোলনকারীদের মধ্যে একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় নিহত হয়ে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখা গেছে। এ ছাড়া কয়েকজনকে গুলিবিদ্ধসহ শরীরে বিভিন্ন স্থানে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে হাসপাতালে নিয়ে যেতে দেখা যায়। এর আগে রোববার বেলা ১১টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের রাজলক্ষ্মী থেকে বিএনএস সেন্টার পর্যন্ত অবস্থান নেয় আন্দোলনকারীরা।
অপরদিকে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সরকার সমর্থকদের সংঘর্ষে রোববার দুপুরে ধানমণ্ডির জিগাতলা এলাকায় আবদুল্লাহ সিদ্দিক নামে একজন নিহত হয়েছেন। আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত মি. সিদ্দিক ঢাকার হাবীবুল্লাহ্ বাহার কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী বলে জানা যাচ্ছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আরও শতাধিক মানুষ আহত অবস্থায় চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের অনেকেই গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এসেছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
লক্ষ্মীপুরে নিহত ২
লক্ষ্মীপুরে আওয়ামী লীগ ও আন্দোলনকারীদের মধ্যকার সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে অন্তত ২ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া গুলিবিদ্ধ ও অন্যান্য কারণে আহত হয়েছেন আরও অন্তত শতাধিক। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা গুলি ছুড়েছে। আজ রোববার সকাল ১১টার দিকে লক্ষ্মীপুর সদরের চকবাজার, বাগবাড়ি ও উত্তর ত্রিমোহিনী এলাকায় জমায়েত হয়ে আন্দোলন শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। অপরদিকে, আওয়ামী লীগের ঘোষিত কর্মসূচি অনুসারে আজ সারা দেশের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে জমায়েত ছিল। অবধারিতভাবেই দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. অরূপ পাল দুজন নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহত দুজনের নাম আফনান ও কাউসার। এ ছাড়া, এই সংঘর্ষে অন্তত ১০০ জনের বেশি আহত হয়েছেন।