এরশাদের রাডার ক্রয় মামলায় যুক্তিতর্ক পিছিয়ে ১৯ মার্চ
স্টাফ রিপোর্টার:
সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের বিরুদ্ধে রাডার ক্রয় সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলার যুক্তিতর্ক শুনানির জন্য আগামী ১৯ মার্চ দিন পুনর্র্নিধারণ করেছেন আদালত।
গত কাল যুক্তিতর্ক শুনানির দিন ধার্য থাকলেও সময়ের আবেদন জানান রাষ্ট্রপক্ষ। শুনানি শেষে ঢাকার ভারপ্রাপ্ত মহানগর দায়রা জজ ইমরুল কায়েস আগামী ১৯ মার্চ দিন পুনর্র্নিধারণ করেন।
গত ১১ জুন মামলার যুক্তি-তর্ক শুনানিতে বিব্রত বোধ করেছিলেন ঢাকার বিভাগীয় জজ আদালতের বিচারক আব্দুর রশিদ। এরপর মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলি করা হয়।
গত ১৫ মে আত্মপক্ষ সমর্থন করে রাডার ক্রয়ে দুর্নীতির কথা অস্বীকার করেন এরশাদ। মামলার অপর দুই আসামি বিমান বাহিনীর সাবেক সহকারী প্রধান মমতাজ উদ্দিন আহমেদ এবং সুলতান মাহমুদও দুর্নীতিতে জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেন। এ মামলার আসামি একেএম মুসা শুরু থেকেই পলাতক। মামলাটি নিষ্পত্তিতে মোট ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। ১৯৯২ সালের ৪ মে তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরো মামলাটি দায়েরের পর ১৯৯৪ সালের ২৭ অক্টোবর আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। ১৯৯৫ সালের ১২ আগস্ট মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করেন আদালত।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, তৎকালীন বিমান বাহিনী প্রধান সদর উদ্দিন আহমেদ তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কাছে বাহিনীর জন্য যুগোপযোগী রাডার ক্রয়ের আবেদন করেন। জিয়াউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় ফ্রান্সের থমসন সিএসএফ কোম্পানির নির্মিত অত্যাধুনিক একটি হাই পাওয়ার রাডার ও দু’টি লো-লেভেল রাডার ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। কিন্তু তৎকালীন রাষ্ট্রপতি এরশাদসহ অপর আসামিরা পরস্পরের যোগসাজশে আর্থিক সুবিধা নিয়ে ফ্রান্সের থমসন সিএসএফ কোম্পানির অত্যাধুনিক রাডার না কিনে বেশি দামে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্টিং কোম্পানির রাডার কেনেন।
এতে সরকারের ৬৪ কোটি ৪ লাখ ৪২ হাজার ৯১৮ টাকা আর্থিক ক্ষতি হয়েছিল বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।