কুড়িগ্রামে বোরো ধান ক্ষেতে নেক ব্লাষ্ট রোগের আক্রমন
শাহ্ আলম, কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামের সর্বত্রই বোরো ধান ক্ষেতে নেক ব্লাস্ট রোগ ছড়িয়ে পরার আশংকা দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে জেলার কয়েকটি উপজেলায় এ রোগ ছড়িয়ে পরায় কুড়িগ্রাম সদর ও নাগেশ্বরী উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে ‘ধানের ব্লাস্ট রোগ দমনে কৃষক ভাইদের করনীয়’ শীর্ষক লিফলেট প্রচার করা হয়েছে।
নাগেশ্বরী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবীদ মাসুদুর রহমান জানান, নেক ব্লাস্ট ধানের একটি ছত্রাকজনিত রোগ। চারা অবস্থা থেকে ধান পাকার পুর্ব পর্যন্ত যে কোন সময় এরোগ দেখা দিতে পারে। এ রোগে আক্রান্ত ধান ৮০ভাগ পর্যন্ত ক্ষতি হয়। এ রোগের জীবানু বাতাস ও পোকামাকড়ের মাধ্যমে ছড়ায়। ব্লাস্ট রোগের লক্ষন হচ্ছে আক্রান্ত ধানের পাতা, গিট, গোড়া বা শাখা প্রশাখা এবং দানায় আক্রমন করে। আক্রান্ত পাতার রং ধুসর ও ভিজা দাগ দেখা দেয়। আস্তে আস্তে সাদা ও বাদামী রং ধারন করে। ধান পুষ্ট হওয়ার আগে রোগের আক্রমনের ফলে শীষের সব ধান চিটা হয় ও অনেক গাছ মারা যায়। ধানের শীষ বের হওয়ার সময় এবং শীষ বের হওয়ার পরে জমিতে ছত্রাক নাশক, ট্রপার, নাটিভো, ফিলিয়া, এমিস্টার টপ স্প্রে জাতীয় তরল কীট নাশক ব্যবহার করলে ধান ক্ষেত রক্ষা পাবে।
হাসনাবাদের কৃষক আবেদ আলী জানান, আমার ৪বিঘা জমিতে ব্লাস্ট রোগ সুচনা হয়েছে। কৃষি বিভাগের পরামর্শে ঔষুধ স্প্রে করে এখন স্থিতি আছে।
ভিতরবন্দ এলাকার কৃষক শফিউল আলম জানান, আমার ২৮জাতের এক একর জমির বোরো ধানে নেক ব্লাস্ট আক্রমনের আশংকায় কৃষি বিভাগের পরামর্শে ব্লাস্ট প্রতিরোধে ঔষুধ স্প্রে করে দিয়েছি।
কুড়িগ্রাম কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক কৃষিবীদ মকবুল হোসেন বলেন, জেলার দুই এক জায়গায় অল্প পরিসরে নেক ব্লাস্ট রোগ দেখা দিয়েছে তা আমরা নিয়ন্ত্রনে নিয়েছি। এ রোগ প্রতিরোধে কৃষকদের ছত্রাক নাশক স্প্রে করার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। জেলার সকল কর্মকর্তা সজাগ আছে ভয়ের কোন কারন নেই। বিডিপত্র/আমিরুল