নিখোঁজের ৪ দিন পর ঘর থেকে স্ত্রী-ছেলের মরদেহ উদ্ধার, স্বামী আটক
গাজীপুরের শ্রীপুরে নিখোঁজের ৪ দিন পর তালাবদ্ধ ঘর থেকে মা ও ছেলের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এদিকে নিহতের স্বামীকে পুলিশ হেফাজতে রেখেছেন।
শনিবার (৭ জানুয়ারি) বিকেলে শ্রীপুর পৌরসভার মাওনা চৌরাস্তা এলাকার কেওয়া পশ্চিম খণ্ড গ্রামের এসিআই গেইটের পেছনে নিজ বাড়ি থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহতরা হল- শ্রীপুর পৌরসভার মাওনা চৌরাস্তা এলাকার কেওয়া পশ্চিম খণ্ড গ্রামের সিরাজ মিয়ার মেয়ে রুবিনা (২২) ও রুবিনার ছেলে জিহাদ (৪)। নিহত রুবিনা ঝুমন মিয়া স্হানীয় একটি ওয়াকর্রসপ কাজ করে তার বাড়ি মুন্সীগঞ্জে।
নিহত রুবিনার বাবা সিরাজ মিয়া জানান, প্রায় সাড়ে পাঁচ বছর আগে ঝুমন ও রুবিনার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তারা একসঙ্গে রুবিনার বাবার দেওয়া নিজ বাড়িতে বসবাস করে আসছে। চার দিন আগে হঠাৎ রুবিনা ও তার ছেলে নিখোঁজ হয়ে যায়। স্বজনরা তাদের খোঁজ করলে বাড়ির মূল ফটকে এবং বসত ঘরে তালাবদ্ধ অবস্থায় পায়। অন্যত্র বেড়াতে যেতে পারে এ ধারনায় তারা ঘরের তালা ভাঙ্গেনি। সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজাখুঁজির পর না পেয়ে রুবিনার বোন সেলিনা আক্তার শনিবার বিকেলে রুবিনার বাড়ির মূল ফটক ও বসত ঘরের তালা ভেঙে মা ও ছেলের মরদেহ দেখতে পায়। এসময় তার ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে পুলিশকে খবর দেন।
বোন সেলিনা আরো জানান, নিহত রুবিনা স্বামীর সাথে পারিবারিক কলহের কারনে স্বামী বেশ কয়েকদিন যাবৎ বাড়ির বাহিরে থাকতো। ৫/৬দিন আগে তার ভগ্নিপতি সুমন মিয়া বোনের বাড়িতে আসেন। তার ধারনা পারিবারিক ঝগড়া-ঝাটির কারণেই তার বোন রুবিনা ও তার সন্তানকে হত্যা করেছে।
শ্রীপুর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আমজাদ হোসেন জানান, স্বজনদের দেওয়া তথ্য মতে ঘটনাস্থলে এসে বসত ঘর থেকে মা-ছেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে । লাশ অর্ধগলিত হয়ে গেছে শরীরে আঘাতের কোন চিহৃ পাওয়া যাইনি।ঘটনাস্থল থেকে নিহত রুবিনার স্বামী ঝুমন মিয়াকে পুলিশী হেফাজতে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।