জঙ্গিবাদ নির্মূলের একমাত্র উপায় ধর্মবিশ্বাসের সঠিক প্রয়োগ
জাতীয় প্রেসক্লাবে হেযবুত তওহীদের উদ্যোগে বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান
নিজস্ব প্রতিবেদক:
জঙ্গিবাদ বা টেরোরিজম বর্তমান বিশ্বের এক করুণ বাস্তবতা। সারা পৃথিবী আজ জঙ্গিবাদ নামক ভয়াবহ অভিশাপের অনলে জ্বলছে। এ মানবসৃষ্ট মহামারি দিনদিন অপ্রতিরোধ্য হয়ে দাঁড়াচ্ছে, ক্রমশই ভয়াবহ দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ছে পৃথিবীর প্রত্যেক প্রান্তে। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে সম্মিলতভাবে কাজ করার অঙ্গীকারের মধ্য দিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউন্সে হেযবুত তওহীদের এমাম হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম লিখিত “ধর্মব্যবসায়ী ও পশ্চিমা ষড়যন্ত্রের যোগফল: জঙ্গিবাদ-উত্তরণের একমাত্র পথ” বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও রাজশাহী-২ আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা এম.পি।
অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বইয়ের লেখক ও হেযবুত তওহীদের এমাম জনাব হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম- এর একটি ভিডিও বক্তব্য চালানো হয়। তিনি বলেন- সমস্ত পৃথিবীতে যখন জঙ্গিবাদ মহামারি আকার ধারণ করেছে, মানবজীবন ক্রমশই দুর্বিসহ হয়ে উঠছে তখন হেযবুত তওহীদ হাজির হয়েছে মুক্তির পথ নিয়ে। আমরা কেন বইটি লিখলাম তা আপনাদের সামনে বলতে চাই।তিনি বলেন- এ দেশের শতকরা নব্বই ভাগ মানুষ ইসলাম ধর্মের অনুসারী। তারা আল্লাহ, আল্লাহর রসুল তথা ইসলামকে প্রাণের চেয়ে বেশি ভালোবাসে। কিন্তু তাদের সেই ধর্মীয় সেন্টিমেন্টকে স্বার্থবাদী ধর্মব্যবসায়ী শ্রেণি ভুল পথে পরিচালিত করছে। তারা মানবতার কল্যাণে আসা ধর্মকে মানবতার অকল্যাণের পথে কাজে লাগাচ্ছে। ধর্মব্যবসায়ীদের ব্যাপারে সতর্ক করে তিনি বলেন- তিনটি শ্রেণির কথা আমি বিশেষভাবে বলতে চাই যারা মানুষের ধর্মবিশ্বাসকে ভুল পথে পরিচালিত করে সমাজে হানাহানি, রক্তপাত, অশান্তি সৃষ্টি করছে। প্রথমত জঙ্গিবাদী গোষ্ঠী। এরা ইসলামের নাম করে মানুষকে সহিংসতার পথে পরিচালিত করছে, সমাজে সন্ত্রাস সৃষ্টি করছে। দ্বিতীয়ত ধর্ম নিয়ে যারা রাজনীতি করে তারা বিভিন্ন রাজনৈতিক ইস্যুকে ধর্মীয় রূপ দান করে সাধারণ ধর্মপ্রাণ মানুষকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। আর তৃতীয় শ্রেণিটি হলো ওইসব স্বার্থবাদীরা যারা মানুষের ধর্মীয় সেন্টিমেন্টকে কাজে লাগিয়ে অর্থ-সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলছে। এসব কারণে মানবতার কল্যাণে আসা ধর্ম এখন মানবতার জন্য হুমকি হিসেবে প্রতিপন্ন হচ্ছে। তাই এ থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে মানুষের ধর্মবিশ্বাসকে সঠিক পথে কাজে লাগানোর কোনো বিকল্প নেই। মানুষ যদি তাদের প্রকৃত এবাদত কী, জেহাদ কী ইত্যাদি বিষয়গুলো সম্পর্কে সঠিক ধারণা পায় তাহলে তারা আর স্বার্থবাদীদের দ্বারা ব্যবহৃত হবে না।মানুষের ধর্মবিশ্বাসকে অবজ্ঞা করার অসারতা তুলে ধরে তিনি আরও বলেন- পশ্চিমা বিশ্ব যুগ যুগ ধরে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে মানুষের ধর্মবিশ্বাসকে মুছে ফেলতে। কিন্তু ব্যর্থ হয়েছে। মানুষের ধর্মবিশ্বাস মুছে ফেলার বিষয় নয়। মাথা ব্যথা হলে যেমন মাথা কেটে ফেলা কোনো সমাধান নয় তেমনি ধর্মের অপব্যবহার রোধ করতে ধর্মবিশ্বাস মুছে ফেলাও উপযুক্ত সমাধান হতে পারে না। সমাধান একটাই- মানুষের ধর্মবিশ্বাসকে সঠিক পথে প্রবাহিত করা। মানুষকে এ কথা বোঝাতে হবে যে, মানুষের পরম ধর্ম হলো মানবতা। মানুষের কল্যাণে কাজ করাই হচ্ছে মানুষের আসল এবাদত। সমাজে অশান্তি, অন্যায়, অবিচার, সহিংসতা, হানাহানি ইত্যাদি চলতে দিয়ে যতই নামাজ-রোজা, উপাসনা-প্রার্থনা করা হোক সেগুলো আল্লাহ গ্রহণ করবেন না। সন্ত্রাস-সহিংসতা করা জেহাদ নয়, সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠার সংগ্রামই হচ্ছে আসল জেহাদ।হেযবুত তওহীদের এমাম আরও বলেন- আমরা অবাক হচ্ছি এই কারণে যে, এখনও আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার বন্ধ হয় নি। একটি শ্রেণি এখনও আমাদের বিরুদ্ধে বিবিধ অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। আগে অপপ্রচার চালাত ধর্মব্যবসায়ী শ্রেণি। এখন আর তাদের অপপ্রচার মানুষ বিশ্বাস করে না। ইনশা’আল্লাহ কোনো অপপ্রচারই মানবতার কল্যাণে ধর্মব্যবসা ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আমাদের সংগ্রামকে রুদ্ধ করতে পারবে না।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি রাজশাহী-২ আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা এম.পি আয়োজিত অনুষ্ঠানটিকে মহতী উদ্যোগ আখ্যা দিয়ে তার প্রশংসা করে বলেন- হেযবুত তওহীদ একটি পবিত্র কাজ করছে, মহৎ কাজ করছে। যারা শান্তি প্রতিষ্ঠার কাজ করছেন শুধু তাদের জন্য নয় অন্য সকলের জন্যও। হেযবুত তওহীদের মধ্যে আমি সত্য খুঁজে পেয়েছি। হেযবুত তওহীদের সদস্যদের আমি খুব কাছ থেকে দেখেছি। তাদের নেতৃবৃন্দের সাথে দফায় দফায় কথা হয়েছে, রুফায়দাহ পন্নীর সাথেও কথা হয়েছে। তারা এই প্রতিকূল সময়ে যে ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন তা সত্যিই প্রশংসনীয়। বইটিতে যে দৃষ্টিভঙ্গি ব্যক্ত করা হয়েছে তার সঙ্গে সহমত পোষণ করে তিনি আরও বলেন- ধর্মবিশ্বাসীদের মধ্যে জঙ্গিবাদ উস্কে দেওয়া সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। জঙ্গিবাদের মূল লক্ষ্য হলো রাজনীতি, এর সাথে ধর্মের কোন সংস্পর্শ আছে বলে আমি মনে করি না। পেট্রোল বোমার আঘাতে অগ্নিদগ্ধ দুই বছরের বাচ্চামেয়ের কথা উল্লেখ করে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি আরও বলেন, পৃথিবীতে পরিচিত হওয়ার আগেই পেট্রোল বোমার আঘাতে শিশুটির কচি দেহ কালো হয়ে গেল। মাত্র ২ বছর বয়সে সে এই জঙ্গিবাদের সঙ্গে পরিচিত হল। এটা অমানবিক। একটি আদর্শের বিরুদ্ধে পাল্টা আদর্শ না থাকলে সফলতা আসবে না। সঠিক আদর্শ দিয়েই এই বিকৃত আদর্শকে প্রতিহত করতে হবে। তবে মানুষের নিরাপত্তার জন্য যতটুকু শক্তি প্রয়োগ দরকার তা করার প্রয়োজন রয়েছে।
‘জঙ্গিবাদ: উত্তরণের একমাত্র পথ’ বইটির লেখক হেযবুত তওহীদের এমাম জনাব হোসাইন মোহাম্মদ সেলিমকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন- এই বইয়ের লেখক খুব স্পষ্ট ভাষায় লিখেছেন। আফগানিস্তানের জেহাদে মুসলিমদের কোনো লাভ হয় নি, ওটা প্রকৃতপক্ষে জেহাদ ছিল না, ওটা ছিল পরাশক্তি আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ উদ্ধারের কৌশলমাত্র। মোসলেম জনগোষ্ঠীকে জেহাদের কথা বলে তাদের ঈমানকে ভুল পথে প্রবাহিত করে সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হয়েছিল। কথিত ওই জেহাদ থেকে মুসলিমরা সামান্য পরিমাণ লাভবান তো হয়ই নি, উপরন্তু জঙ্গিবাদ নামক অভিশাপ উপহার পেয়েছিল।
তিনি বলেন- আজ তালেবানরা গভীর সংকটে পড়েছে। তাদেরকে একের পর এক ফাঁসি দেওয়া হচ্ছে। যারা তাদের তৈরি করেছে তাদের হাতেই মরতে হচ্ছে। পাকিস্তানিরাও তাদের একের পর এক ফাঁসি দিচ্ছে। কিন্তু সমস্যার সমাধান কি এসেছে? আসেনি, বরং দিনদিন পরিস্থিতি আরও জটিল আকার ধারণ করছে। পশ্চিমারা ড্রয়িং রুমে বসে চলচ্চিত্র দেখার মতো করে সবকিছু উপভোগ করছে, আর ওদিকে সাধারণ নিরীহ মানুষগুলো যুদ্ধের বিভীষিকাময় পরিস্থিতিতে পতিত হয়ে প্রাণ হারাচ্ছে, বাস্তুভিটা হারিয়ে উ™£ান্তের মতো ঘুরছে। এই স্বার্থবাদীদের সম্পর্কে সজাগ হতে হবে, সতর্ক হতে হবে। তাদেরকে আমি এক মুহূর্তের জন্যও বিশ্বাস করতে পারি না। সবশেষে তিনি মানবতার কল্যাণে হেযবুত তওহীদের সাথে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন- আমি যতটুকু জেনেছি, শুনেছি ততটুকু কথার সঙ্গে আমি একমত। ইনশা’আল্লাহ আমরা এখন থেকে এক সঙ্গে কাজ করব।এরপর দৈনিক বজ্রশক্তির সাহিত্য সম্পাদক রিয়াদুল হাসান বলেন- যে কোনো আদর্শ থেকে সম্পাদিত সন্ত্রাসই জঙ্গিবাদ, তা ধর্ম দিয়ে উদ্বুদ্ধ হয়েই করা হোক, আর কথিত গণতন্ত্রের জন্যই করা হোক। আমরা পাঁচ বছর পর পর ভোট দিয়ে একটি সরকার নির্বাচন করেই নিশ্চিন্ত হয়ে যাই যে, সরকার আমাদেরকে রক্ষা করবে, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী আমাদেরকে নিরাপত্তা দেবে, কিন্তু এত বড় দায়িত্ব কি শুধুই সরকার ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী পালন করতে সক্ষম? এটা তো আমাদের সকলের দায়িত্ব। নিজেরা স্বার্থবাদী হলে কোনোভাবেই এ সমস্যার সমাধান আসবে না। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর দ্বারা প্রতি ইঞ্চি ভূমি পাহারা দেওয়া সম্ভব নয়, যৌক্তিকও নয়। আমাদেরকে বুঝতে হবে যে, এই দায়িত্ব আমাদের সকলের। তিনি উদাহরণ টেনে বলেন- আপনি অসুস্থ হলে স্বাভাবিকভাবেই আপনার পরিবার-আত্মীয় স্বজন আপনাকে সুস্থ করে তুলতে নিবেদিত হয়, সর্বাত্মকভাবে প্রচেষ্টা চালায়। আজ আমাদের সম্পূর্ণ জাতি অসুস্থ, হানাহানি-সহিংসতা নামক মহামারিতে জর্জরিত। তাহলে জাতিকে বাঁচাবে কে? অবশ্যই আমাদেরকেই এগিয়ে আসতে হবে। এই দেশ আমাদের মা, আর আমার মা আজ অসুস্থ, তাকে সুস্থ করে তোলা তাই প্রতিটি সন্তানের কর্তব্য, সামাজিক ও ধর্মীয় উভয় দিক থেকেই এ দায়িত্ব অবশ্য পালনীয়।জঙ্গিদের প্রসঙ্গে জনাব রিয়াদুল হাসান আরও বলেন- জঙ্গিরা ইসলাম ধর্ম দ্বারা প্রভাবিত, তাই তাদেরকে বোঝাতে হলে ইসলাম ধর্ম দিয়েই বোঝাতে হবে, কোর’আন-হাদীস, যুক্তি-প্রমাণ দিয়ে তাদের ভ্রান্ততা পরিষ্কার করে তুলে ধরতে হবে। ইনশাআল্লাহ সেটা করার সামর্থ্য একমাত্র হেযবুত তওহীদের কাছেই আছে।এরপর অনুষ্ঠানের সভাপতি রূফায়দাহ পন্নী তার সংক্ষিপ্ত আলোচনায় বলেন- জঙ্গিবাদ শুধু আমাদের দেশের নয়, সারাবিশ্বের অন্যতম আলোচিত ইস্যু। পৃথিবীর রাষ্ট্রনায়কদের মাথাব্যথার কারণ। কোনো সমাধানের পথ না পেয়ে তাই রাষ্ট্রনায়করা শক্তি প্রয়োগের দিকেই ধাবিত হচ্ছে। ফলে মরছে জঙ্গি, কিন্তু বেঁচে থাকছে জঙ্গিবাদ। এই বইটি পড়লে ইনশাআল্লাহ সকলের দৃষ্টি খুলে যাবে, সবকিছু পরিষ্কার হয়ে যাবে এবং জঙ্গিবাদ নামক বৃহৎ সমস্যার সহজ সমাধান পাওয়া যাবে।এছাড়া তিনি নারীদের প্রসঙ্গ টেনে বলেন- আজকে নারীদেরকে ধর্মের অজুহাত দিয়ে গৃহবন্দী করে রাখা হয়। কিন্তু ইসলামের কোথায় আছে নারীরা বাইরে যেতে পারবে না, অর্থ উপার্জনে পুরুষদের সাথে শরীক হতে পারবে না? নারীরা জাতির প্রায় অর্ধেক। কাজেই নারীদেরকে ঘরে বন্দী করে রেখে জাতির উন্নতি সম্ভব নয়। নারীদেরকে জানতে হবে ইসলাম তাদেরকে কতটা স্বাধীনতা দিয়েছে, কত সুযোগ-সুবিধা দিয়েছে। নারীরা রসুলের সামনাসামনি বসে আলোচনা শুনেছেন, মসজিদে গিয়ে সালাহ কায়েম করেছেন। এ সময় নারী ও পুরুষদের মধ্যে কোনো পর্দা টাঙানো ছিল বলে জানা যায় না। রসুলাল্লাহর সময় নারীরা পুরুষদের সঙ্গে যুদ্ধ পর্যন্ত করেছেন। মসজিদে নববীর পাশে যুদ্ধাহত সৈনিক
দের চিকিৎসার জন্য একটি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল যার প্রধান ছিলেন একজন নারী। তাহলে ইসলাম কোথায় নারীদেরকে অধিকার থেকে বঞ্ছিত করল? আসলে সলাম নারীদেরকে অধিকার, সম্মান ও মর্যাদা দিয়েছে ঠিকই, কিন্তু সেটা কেড়ে নিয়েছে ধর্মব্যবসায়ীরা। নারীদেরকে তাই আরও সচেতন হতে হবে।তিনি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার কাজে হেযবুত তওহীদের নারীদের ভূমিকা তুলে ধরে বলেন- হেযবুত তওহীদের নারীরা পুরুষদের সঙ্গে থেকে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার কাজে অংশ নিচ্ছেন। আমি নিজেও দৈনিক দেশেরপত্রের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক থাকাকালীন এবং এখন দৈনিক বজ্রশক্তির উপদেষ্টা থাকা অবস্থায় দেশের প্রায় প্রতিটি জেলায় গিয়েছি, সেমিনার করেছি, কিন্তু আমাকে তো কেউ বাধা দেয় নি। আমাকে তো কেউ ধর্মের কথা বলে গৃহের অভ্যন্তরে থাকার কথা বলে নি। কারণ, আমরা যামানার এমামের কাছ থেকে যে ইসলাম শিখেছি সেটা ধর্মব্যবসায়ী কূপমন্ডূকদের বিকৃত ইসলাম নয়, আমরা প্রকৃত সেই ইসলাম শিখেছি যেটা আজ থেকে ১৪০০ বছর আগে পৃথিবীতে এসেছিল।জঙ্গিবাদের প্রসঙ্গে পশ্চিমাদের ষড়যন্ত্রের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে পশ্চিমারাই জঙ্গিবাদ জিইয়ে রাখতে চায়। কারণ এর দ্বারা পশ্চিমারাই সর্বাধিক উপকৃত হয়। আমাদের দেশের অর্থনীতি যেমন কৃষিভিত্তিক তেমন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি হচ্ছে যুদ্ধভিত্তিক। কাজেই তাদের অর্থনীতি বাঁচিয়ে রাখার জন্যই তারা জঙ্গিবাদকে অজুহাত করে পৃথিবীর বুকে একের পর এক যুদ্ধের দামামা বাজিয়ে চলছে।এছাড়াও অনুষ্ঠানে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন বইটির প্রকাশক এস.এম. সামসুল হুদা, মুক্তিযুদ্ধ জনতা পুনর্বাসন ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান জনাব মো. শের আলী, বঙ্গবন্ধু জাতীয় যুবপরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রাণ ও পুনর্বাসন সম্পাদক চন্দন কুমার শীল, বাংলাদেশ কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কবি ও সাংবাদিক আলহাজ্ব মো. মোশাররফ হোসেন আলমগীর প্রমুখ।অনুষ্ঠানে অতিথিবৃন্দের আলোচনা ছাড়াও ‘একজাতি একদেশ ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশ’, ‘এক নজরে মাননীয় এমামুয্যামান ও হেযবুত তওহীদ’ ও ‘ধর্মব্যবসায়ী ও পশ্চিমাদের ষড়যন্ত্রের যোগফল জঙ্গিবাদ- উত্তরণের একমাত্র পথ’ শীর্ষক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন তানজীদ এমাম তিতুমীর এবং সভাপতিত্ব করেন দৈনিক দেশেরপত্রের সাবেক সম্পাদক ও দৈনিক বজ্রশক্তির উপদেষ্টা রুফায়দাহ পন্নী।