দুর্নীতি দমন আইনের খসড়া মন্ত্রিসভায় অনুমোদন
মন্ত্রিসভা দুর্নীতি দমন আইনের প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনার একটি প্রস্তাব নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বাংলাদেশ সচিবালয়ে আজ অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররফ হোসাইন ভূইয়া বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে বলেন, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ দুর্নীতি দমন কমিশন (এসিসি) (সংশোধনী) আইনের তফসিল থেকে ৪২০ ধারা তুলে দিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের সাথে আলোচনা করে একটি সংশোধনী প্রস্তাব আনে। মোশাররফ হোসাইন ভূইয়া বলেন, ২০১৩ সালে সৎ উদ্দেশ্যে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সুপারিশে এসিসি আইনে একটি সংশোধনী আনা হয়। তিনি বলেন, তবে আইনটি কার্যকর করার ক্ষেত্রে বাস্তবতা ছিল ভিন্ন।
তিনি বলেন, আইনটি পাস হওয়ার পর পুলিশ ৪২০ ধারায় প্রতারণার মামলা করতে অস্বীকার করে। বিচার পেতে ভুক্তভোগীকে এসিসিতে যাবার পরামর্শ দেয়। প্রতিদিন সারাদেশে এ ধরনের হাজার হাজার মামলা হচ্ছে এবং এ সকল মামলার তদন্ত করতে দেয়া হচ্ছে। এতো অধিকসংখ্যক মামলা পরিচালনা করা এসিসি’র জন্য মুশকিল হয়ে পড়েছে। এ কারণে প্রতিদিন এ ধরনের মামলার সংখ্যা বাড়ছে এবং ভুক্তভোগীদের বিচার পেতে অহেতুক বিলম্ব হচ্ছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সংশোধিত আইন অনুযায়ী দুর্নীতি দমন কমিশন (এসিসি) শুধুমাত্র সরকারি সম্পত্তি এবং বেসরকারি কর্মচারী ও ব্যাংক কর্মচারীদের দায়িত্ব পালন সংক্রান্ত কোন প্রতারণা অথবা জালিয়াতির মামলা করবে। পুলিশ পেনালকোডের ৪২০ ধারায় অন্য মামলাগুলো করবে। মন্ত্রিসভা জাতীয় পুষ্টি নীতির খসড়া অনুমোদন এবং বিমান পরিবহন সংক্রান্ত কানাডার সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষরের খসড়া অনুমোদন করেছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সকল নাগরিকের পুষ্টি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বর্তমান সরকারের নেয়া ভিশন-২০২১ এর আলোকে এই নীতি প্রণীত হয়েছে।
নীতিতে মা, কিশোরী এবং শিশুর পুষ্টি নিশ্চিত করার বিষয়ে অধিক গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। জনগণের জীবনমান উন্নয়নের মাধ্যমে অপুষ্টি নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ ও জাতীয় উন্নয়নে এটি কার্যকর করা হবে। নীতি অনুযায়ী ন্যাশনাল নিউট্রিশন কাউন্সিলের পরিবর্তে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ‘ন্যাশনাল নিউট্রিশন কো-অর্ডিনেশন কাউন্সিল’ গঠিত হবে। কাউন্সিল নীতি বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা দেবে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বাংলাদেশ ও কানাডার মধ্যে স্বাক্ষরিত এয়ার সার্ভিস চুক্তিতে দু’দেশের মধ্যে যাত্রী ও পরিবহন বিমান চলাচলে সুবিধা হবে। এই চুক্তির ফলে প্রতি সপ্তাহে দু’দেশের মধ্যে তিনটি যাত্রীবাহী বিমান ও তিনটি পরিবহন বিমান চলাচল করবে।