পঞ্চগড় আটোয়াীতে হতভাগা মায়ের কানের দুল খুলে নিলেন কথিত সাংবাদিক
পঞ্চগড় প্রতিনিধি: পঞ্চগড়ের আটোয়ারীতে এক হতভাগা মায়ের স্বর্ণের এক জোড়া কানের দুল খুলে নিলেন কথিত সাংবাদিক। অভিযোগে জানা যায়, গত শুক্রবার (২০ মার্চ) উপজেলার তোড়িয়া ইউনিয়নের মুন্সিপাড়া গ্রামের সাহেব আলীর ছেলে আক্তারুল ইসলামের সাথে একই ইউনিয়নের সুখ্যাতি (বোয়ালমারী) গ্রামের জনৈক মন্তাজুলের ষোড়শী কন্যার বিয়ের দিন ধার্য ছিল। যথারীতি বরপক্ষ কনের বাড়ীতে সন্ধ্যায় পৌছলে ছেলের (বর) অন্যত্র বিয়ে হয়েছে মর্মে উড়ো খবরকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের মাঝে দ্বন্দ্ব দেখা দেয় এবং এক পর্যায়ে বিয়ে ভেঙ্গে যায়। খবর পেয়ে সুখ্যাতি গ্রামের জনৈক আব্দুর রশিদের পুত্র আমির হোসেন নিজেকে “দৈনিক প্রতিভা” পত্রিকার সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে বর পক্ষের নিকট ২০ হাজার টাকা দাবী করে নগদ ৫ হাজার টাকা গ্রহণ করে। দাবীকৃত অবশিষ্ট টাকার জন্য চাপ দিলে উপায়ন্ত না পেয়ে বরের মা মর্জিনা বেগম(৪৫) ছেলেকে কথিত সাংবাদিকের রোষানল থেকে উদ্ধার করতে নিজের কানের দুল খুলে দিয়ে রেহাই পায়। পরদিন বরের মা মর্জিনা বেগম আটোয়ারী প্রেসক্লাবে ওই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করলে তাৎক্ষনিক প্রেসক্লাব কর্তৃপক্ষ আমির হোসেন নামের কথিত ঐ সাংবাদিককে ডেকে নেন। আমির হোসেন নিজেকে আজকের প্রতিভা পত্রিকার সাংবাদিক বলে দাবী করে এবং ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। এব্যাপারে প্রেসক্লাব কর্তৃপক্ষ সংশি¬ষ্ট পত্রিকায় মোবাইল ফোনে আমির হোসেন সর্ম্পকে জানতে চাইলে আজকের প্রতিভার সম্পাদক আবু সাঈদ আহাম্মেদ কুমার জানান, আমির হোসেন নামে আমাদের আটোয়ারী প্রতিনিধি নেই। এঅবস্থায় আমির হোসেন গ্রহণকৃত টাকা ও কানের দুল ফেরৎ দিয়ে নিজেকে দোষী স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করে। উদ্ধারকৃত টাকা ও স্বর্ণের এক জোড়া কানের দুল উপজেলা রিপোটার্স ইউনিটের সভাপতি জিল¬ুর হোসেন সরকার মর্জিনার হাতে তুলে দেন। এসময় আটোয়ারী প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ আনিসুর রহমান, সহ-সভাপতি শরীফ সরকার, সম্পাদক হাসিবুর রহমান, উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ ইউসুফ আলী, প্রেসক্লাবের সাধাঃ সম্পাদক মনোজ রায় হিরু, সাংবাদিক মোশারফ হোসেন ও শাহীন আহসান পিন্টু উপস্থিত ছিলেন। উক্ত কানের দুল ও টাকা আমির হোসের নিকট হতে ফেরত নিয়ে হতভাগা মায়ের হাতে তুলে দেন। উলে¬খ যে, সম্প্রতি উপজেলার সর্বত্রই হলুদ সাংবাদিকের ছড়া-ছড়ি দেখা দিয়েছে। এদের দাপটে উপজেলার বিভিন্ন অফিস-আদালত সহ সাধারণ মানুষ দিশেহারা হয়ে পরেছে । যাদের সংবাদ লেখা বা সমাজের কল্যাণে কাজ করা নেশা নয়, বরং সাংবাদিকতা সাইন বোর্ড কোমরে গুঁজে অথবা গলায় ঝুলিয়ে সাধারণ নিরীহ মানুষকে জিম্মি করে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নেয়াই প্রধান লক্ষ্য।