প্রকৃত ইসলামের হেযাব নারী-স্বাধীনতার অন্তরায় নয়
মনে রাখতে হবে ইসলামের প্রত্যেকটা নীতিই কল্যাণকর। এই কল্যাণ তখনই পূর্ণরূপে পাওয়া যাবে যখন ইসলাম নামক জীবনব্যবস্থাটি আমাদের ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জীবনে প্রতিষ্ঠা করা যাবে। বর্তমানে আমাদের জীবনের সকল অঙ্গনে চলছে পাশ্চাত্য ইহুদি-খ্রিষ্টানদের তৈরি করা জীবনব্যবস্থা। সুদভিত্তিক পুঁজিবাদী অর্থনীতি, মানবরচিত আইন-বিধান, হানাহানির রাজনীতি, চরম ভোগবাদী জীবনদর্শন, অশ্লীল ও নোংরা সমাজব্যবস্থা এক কথায় জাতীয়-আন্তর্জাতিক ও সামাজিক সকল অঙ্গনে চলছে পাশ্চাত্যদের প্রতারণামূলক এক জীবনব্যবস্থা যা আমাদের ব্যক্তিগত জীবনকেও প্রভাবিত করছে প্রতিনিয়ত। অন্যদিকে ব্যক্তিগত জীবনের একটা ক্ষুদ্র পরিসরে আমরা কিছু আচার-ব্যবহারকেই ধর্মজ্ঞান করে তা পালন করে চলেছি। এই ক্ষুদ্র পরিসরেও যে রীতি-রেওয়াজগুলো পালন করছি তাও আবার অতি বাড়াবাড়ি করে বিকৃত করে ফেলা হয়েছে।
.
এমতাবস্থায় মুক্তির জন্য আমাদের প্রথমত এই বিকৃতিগুলো দূর করে ইসলামের প্রকৃত রূপটি ফিরিয়ে আনতে হবে, এরপর সেই প্রকৃত রূপটি সংগ্রামের মাধ্যমে মানবসমাজে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আল্লাহর রহম মহান আল্লাহ টাঙ্গাইলের ঐতিহ্যবাহী পন্নী পরিবারের সন্তান এমামুয্যামান জনাব মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নীকে ইসলামের সেই সঠিক রূপটি বুঝিয়ে দিয়েছেন। তিনি আমাদেরকে সেই রূপটি বুঝিয়ে দিয়ে আল্লাহর সান্নিধ্যে চলে গেছেন। এখন আমরা সংগ্রাম করে যাচ্ছি প্রকৃত ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য। এখানে কেবল হেযাব কীভাবে আমাদের সমাজকে ধর্ষণ, ব্যাভিচার, ইভটিজিং জাতীয় নারী নির্যাতনমূলক অপরাধ থেকে মুক্তি দিতে পারে সেটাই তুলে ধরব।
.
যে কোনো অপরাধ দূর করতে হলে ভারসাম্যপূর্ণ বিধান লাগে। চুরি বন্ধ করতে হলে প্রথমে মানুষের অভাব দূর করতে হবে যেন কেউ চুরি করতে বাধ্য না হয়। এরপর আত্মিকভাবে প্রত্যেককে চুরি না করার শিক্ষা দিতে হবে, যেন ভেতর থেকে প্রতিটা মানুষের আত্মা চুরি করার ব্যাপারে বাধা সৃষ্টি করে। এরপরও চুর করলে তার উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। – এই হলো ভারসাম্য।
.
একইভাবে সমাজ থেকে ব্যাভিচার, ধর্ষণ, ইভটিজিং জাতীয় অপরাধ দূর করতে হলে-
১. প্রথমত- যারা বিবাহের উপযুক্ত হয়েছে তাদের বিবাহ দিয়ে দিতে হবে এবং বিবাহ-পদ্ধতি সহজ করতে হবে যেন জৈবিক চাহিদা পূরণের জন্য কেউ অন্যায় পন্থা বেছে নিতে বাধ্য না হয়। এজন্য মহান আল্লাহ হেযাবের নির্দেশ দিয়ে পরবর্তী আয়াতেই বলেছেন, “তোমাদের মধ্যে যারা বিবাহহীন, তাদের বিবাহ সম্পাদন করে দাও এবং তোমাদের দাস ও দাসীদের মধ্যে যারা সৎকর্মপরায়ণ, তাদেরও। তারা যদি নিঃস্ব হয়, তবে আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে সচ্ছল করে দেবেন। আল্লাহ প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ (সুরা নুর- ৩২)। প্রকৃত ইসলামে বিবাহ-পদ্ধতি ছিল অত্যন্ত সহজ। কেউ কাউকে পছন্দ করলে বিনা দ্বিধায় প্রস্তাব করতে পারত। পরস্পর রাজি থাকলে একাধিক স্বাক্ষীর সামনে মোহরানা পরিশোধ করে বিবাহ সম্পন্ন করে ফেলত। এমনও হয়েছে যে, একে অপরকে পছন্দ করেছে কিন্তু পাত্রের কাছে মোহরানা দেবার মতো কিছুই নেই, তখন রসুলাল্লাহ (সা.) কেবল কয়েকটি সুরা মুখস্থ করিয়ে দেবার শর্তে বিয়ের অনুমোদন দিয়েছেন। বিবাহ পড়ানোর জন্য কোনো কাজী ভাড়া করে আনা লাগত না, কাউকে টাকা দিতে হতো না। এর চেয়ে সহজ বিবাহ-পদ্ধতি আর কী হতে পারে?
.
২. দ্বিতীয়ত নারী-পুরুষ উভয়কে কামরিপু নিয়ন্ত্রণের জন্য নৈতিক শিক্ষা দিতে হবে। এই শিক্ষাই মহান আল্লাহ দিয়েছেন এই নির্দেশের মাধ্যমে যে, “যারা বিবাহে সামর্থ নয়, তারা যেন সংযম অবলম্বন করে যে পর্যন্ত না আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে অভাবমুক্ত করে দেন” (সুরা নুর- ৩৩)। “…তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে সংযত রাখে, যৌনাঙ্গের হেফাজত করে, তাদের কাপড়কে বুকের উপর টেনে নেয়…ইত্যাদি।” (সুরা নুর: ৩০-৩১)।
একজন মানুষ ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে এই স্বাক্ষ্য দিয়ে যে, “আমি আল্লাহর হুকুম ছাড়া কারো হুকুম মানব না।” কাজেই একজন মো’মেন, মুসলিমের জন্য আল্লাহর এই নির্দেশ যথেষ্ট হবে কামরিপু নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে।
.
৩. তৃতীয়ত- এর পরও যারা সীমালঙ্ঘন করবে তাদের জন্য আখেরাতে তো ভয়ঙ্কর শাস্তি আছেই তবে দুনিয়াতেও কঠিন শাস্তির বিধান রয়েছে। মহান আল্লাহ বলেন, “ব্যভিচারিণী নারী ব্যভিচারী পুরুষ; তাদের প্রত্যেককে একশ’ করে বেত্রাঘাত করো। আল্লাহর বিধান কার্যকর করতে গিয়ে তাদের প্রতি যেন তোমাদের মনে দয়ার উদ্রেক না হয়, যদি তোমরা আল্লাহর প্রতি ও পরকালের প্রতি বিশ্বাসী হয়ে থাক। মুসলমানদের একটি দল যেন তাদের শাস্তি প্রত্যক্ষ করে।” (সুরা নুর- ২)।
.
এই ভারসাম্যপূর্ণ বিধান যে সমাজে প্রতিষ্ঠা করা যাবে সেখানে আর এই অন্যায়গুলো হবে না। এভাবে প্রতিটা অন্যায়, অপরাধের জন্যই ইসলামে ভারসাম্যপূর্ণ বিধান রয়েছে। প্রকৃত ইসলাম হলো ভারসাম্যপূর্ণ জীবনব্যবস্থা (দীনুল ওয়াসাতা)। ইসলামের সঠিক শিক্ষাই পারে সমস্ত অন্যায়, অবিচার দূর করতে।
.
যারা পাশ্চাত্যদের আলোর ঝলকানিতে আর নারী-স্বাধীনতা, নারী-অধিকার জাতীয় প্রতারণামূলক শব্দগুচ্ছের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে ইসলাম থেকে দূরে সরে যাচ্ছেন তাদের জ্ঞাতার্থে বলছি- আপনাদের মুক্তি ওখানে নেই। নারীদের প্রকৃত সম্মান, প্রকৃত মর্যাদা, সত্যিকারের মুক্তি দিয়েছে ইসলাম।
.
পাশ্চাত্যদের কাছে আত্মিক শিক্ষার কোনো গুরুত্ব নেই (তারা আত্মায় বিশ্বাসী না)। বিয়ে ব্যবস্থা তারা প্রায় বিলুপ্ত করে ফেলেছে। এবার অবাধ করে দিয়েছে যৌন সম্পর্ক। তাদের ধারণা- যেহেতু যৌন চাহিদা মিটানোর জন্য মানুষ অন্যের উপর জোর-জবরদস্তি করে তাই এটাকে অবাধ করে দিলে মানুষ আর কারো উপর জবরদস্তি করবে না, সুতরাং ধর্ষণও হবে না। আসলে রিপুগুলো এমন নয় বরং ঠিক এর উল্টো। প্রাপ্তিতে লালসা আরও বৃদ্ধি পায়, নিয়ন্ত্রণে তা কমে। কিন্তু শুধুই নিয়ন্ত্রণ অপ্রাকৃতিক, তাই ভারসাম্যপূর্ণভাবে অভাবও মেটাতে হবে। পাশ্চাত্যদের ঐ ধারণা যে ভুল এবং তাদের ঐ কার্যের ফল যে উল্টো হচ্ছে তা নিম্নের এই পরিসংখ্যানই প্রমাণ করে-
.
ভারতের নাম করা নিউজ পোর্টাল ২৪ঘণ্টা গত ২৫ অক্টোবর ২০১৬ একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে যা বাংলাদেশের দৈনিক যুগান্তর, বাংলাদেশ প্রতিদিনসহ প্রায় সবকটি জাতীয় দৈনিকে পরের দিন প্রকাশিত হয়েছিল। প্রতিবেদনটি নিম্নে তুলে ধরা হলো।
.
বিশ্বে সবচেয়ে বেশি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে আমেরিকায়। আমেরিকার ব্যুরো অব জাসটিস স্ট্যাটিস্টিক অনুযায়ী আমেরিকায় ধর্ষণের শিকার নারীর পরিসংখ্যান ৯১% এবং ৮% পুরুষ। ন্যাশনাল ভায়োলেন্স এগেইনস্ট উইম্যানের সার্ভে অনুযায়ী আমেরিকার প্রতি ৬ জন মহিলার মধ্যে ১ জন ধর্ষণের শিকার। পুরুষদের ক্ষেত্রে পরিসংখ্যানটা ৩৩ জনে ১ জন ধর্ষণের শিকার। এই দেশে ১৪ বছর বয়স থেকেই ধর্ষণের মতো অপরাধের প্রবণতা তৈরি হয় শিশু মননে।
সন্তান এবং শিশুদের ওপর যৌন নির্যাতনের বিষয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা গোটা পৃথিবীর মধ্যে দ্বিতীয়। এই দেশে ধর্ষণের শাস্তি মাত্র দুই বছরের জেল। ইউরোপের সুইডেনেই সবচেয়ে বেশি (৫৮%) ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। তালিকায় তৃতীয় স্থনে আছে সুইডেন।
তালিকায় চার নাম্বারে আছে ভারত। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরো অনুযায়ী ২০১২ সালে ভারতে ধর্ষণের অভিযোগ জমা পড়ে ২৪ হাজার ৯২৩টি। দেশটিতে ধর্ষণের শিকার হওয়া ১০০ জন নারীর মধ্যে ৯৮ জনই আত্মহত্যা করেন। প্রতি ২২ মিনিটে ভারতে একটি করে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হয়।
তালিকার পাঁচ নাম্বারে আছে ব্রিটেন। দেশটিতে চার লাখ মানুষ প্রতিবছর ধর্ষণের মতো ঘটনার শিকার হন এদেশে। প্রতি পাঁচ জন মহিলার মধ্যে একজন করে ধর্ষণের শিকার হন।
তালিকায় ষষ্ঠ স্থানে থাকা জার্মানিতে এখন পর্যন্ত ধর্ষণের শিকার হয়ে দুই লাখ ৪০ হাজার নারীর মৃত্যু হয়েছে। প্রতি বছর জার্মানিতে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হয় ৬৫ লাখ ৭ হাজার, ৩৯৪।
সপ্তম স্থানে আছে ফ্রান্স। ১৯৮০ সাল পর্যন্ত ধর্ষণের মতো ঘটনা ফ্রান্সে অপরাধ বলেই মানা হতো না। সরকারি গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতি বছরে এই দেশে ধর্ষণের শিকার হন অন্তত ৭৫ হাজার নারী।
তালিকায় অষ্টম স্থানে থাকা কানাডায় এখনও পর্যন্ত লিখিত অভিযোগের সংখ্যা ২৫ লাখ ১৬ হাজার ৯১৮টি। প্রতি ১৭ জনের মধ্যে এক জন নারী এই দেশে ধর্ষণের শিকার হন।
নবম স্থানে থাকা শ্রীলংকায় অপরাধের শতাংশের বিচারে ১৪.৫ শতাংশ অপরাধ সংগঠিত হয় ধর্ষণের। ধর্ষণে অভিযুক্তদের ৬৫.৮% ধর্ষণের মতো নারকীয় কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থেকেও কোনও প্রকার অনুশোচনা তাদের মধ্যে হয় না।
১০ নম্বরে থাকা ইথিওপিয়ায় ৬০% নারীই ধর্ষণের শিকার।
.
পরিশিষ্ট:
নারীর প্রতিভা আছে, মেধা আছে, সমাজে অবদান রাখার যোগ্যতা আছে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার সাহস আছে; কিন্তু আজকের সমাজে তার সেই গুণগুলোর কোনো মূল্যায়ন নেই, কোনো স্বীকৃতি নেই। সে তার মেধা ও যোগ্যতাকে কাজে লাগানোর সুযোগ পাচ্ছে না। তাকে ধর্মের নাম করে, তার উপর সামাজিক বিধিনিষেধ আরোপ করে অবদমিত করে রাখা হচ্ছে, তাকে বিকশিত হতে দিচ্ছে না। সে এই অন্যায় অবস্থা, এই জাহেলিয়াতের কারাগার থেকে মুক্ত হওয়ার পথ খুঁজে পাচ্ছে না, কোনো উদ্ধাকারীর সন্ধানও তার জানা নেই। এজন্য নারীরা আজ নীরবে কাঁদে।
.
চৌদ্দশ বছর আগের আরবে নারীর এই একই অবস্থা ছিল। সেই কান্না থেকে তাদেরকে মুক্তি দিয়েছিলেন আল্লাহর রসুল। নারীরা কান্নাকাটি রেখে বীরাঙ্গনা হয়েছিলেন। যে হাতে নারী রুটি বানাতো, সেই হাতকে রসুলাল্লাহ এত বলিষ্ঠ করে তুললেন যে তারাই বল্লম আর তলোয়ার চালিয়ে শত্রুর মনে ত্রাস সৃষ্টি করে ফেলেছে। রসুল তাদের মুখে ভাষা দিলেন, তাদের প্রাপ্য মর্যাদা দিলেন, শক্তি দিলেন। তারা তাদের মেধা যোগ্যতার প্রমাণ রাখল। সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে পুরুষদের পাশাপাশি নারীরাও অবদান রাখল। হাসপাতাল ব্যবস্থাপনায়, উপার্জনে, বাজার ব্যবস্থাপনায়, যুদ্ধে, মসজিদে এক কথায় জাতীয় জীবনের সর্ব অঙ্গনে তাদের অবাধ বিচরণ রসুল নিশ্চিত করলেন।
.
আজ আবারও নারী নীরবে কাঁদছে। অলিখিত সিস্টেম, আচার-বিচার-কুসংস্কার ও প্রথাগুলো নারীদের অগ্রগতির জন্য বিরাট বাধা। যেমন আজ যদি গ্রামের কোনো নারীকে চিকিৎসক প্রতিদিন সকালে দৌড়ানোর পরামর্শ দেন তাহলে সে বিকৃত ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গির কারণে তা করতে পারবে না। কিন্তু আল্লাহ-রসুলের ইসলাম তো তাকে এক্ষেত্রে কোনো নিষেধাজ্ঞা দেয় নি। আমরা হেযবুত তওহীদ তাদেরকে ফতোয়ার বেড়াজাল থেকে মুক্ত করার জন্য প্রকৃত ইসলামের শিক্ষাগুলো তাদের সামনে তুলে ধরছি। কেবল শহরের সুবিধাপ্রাপ্ত নারীদেরকেই নয়, প্রত্যন্ত গ্রামের অশিক্ষিত অর্ধ-শিক্ষিত গৃহবধুকেও হেযবুত তওহীদ সামাজিক ও জাতীয় অঙ্গনে শক্তিশালী ভূমিকা রাখার যোগ্য করে গড়ে তুলতে চেষ্টা করছে। তাদেরকে আর নীরবে কাঁদতে হবে না যদি তারা হেযবুত তওহীদের কথা শোনে। একদিকে যেমন তাদেরকে গৃহে বন্দী থাকতে হবে না অপর দিকে তাকে পাশ্চাত্য দর্শনের অনুকরণ করে নগ্ন, অশ্লীলভাবেও চলার সুযোগ থাকবে না। এতে তারা দুনিয়াতেও যেমন মুক্তি পাবে, সমৃদ্ধ হবে তেমনি আখেরাতেও তারা জান্নাতে যাবার সৌভাগ্য অর্জন করতে পারবে।
উম্মেহানী ইসলাম
-লেখক কলামিস্ট