Connecting You with the Truth

প্রচণ্ড গরমে সুস্থ থাকবেন যেভাবে

imagesজলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সারা বিশ্বেই আজ তাপমাত্রার এলোমেলো ভাব অনুভূত হচ্ছে৷ এই গরম, এই ঠাণ্ডা, তো এই বৃষ্টি! গ্রীষ্মকালে প্রচণ্ড গরমে তাপমাত্রার ওঠা-নামা শরীরের জন্য যখন অসহনীয় হয়ে উঠে, তখন সুস্থ থাকার কিছু উপায় জেনে নিন৷

হালকা পোশাক
সুতি কাপড়ের হালকা পোশাক পরা উচিত কারণ সুতি কাপড় সূর্যের কিরণ থেকে রক্ষা করে এবং ঘামকে জমতে দেয় না৷ তবে ঘাড় এবং মাথা হালকা কাপড়ে ঢেকে রাখা ভালো যেন সূর্যের তাপ না লাগে৷ এই পরামর্শ জার্মানির ডা. আনেটে রোমেলের৷

এয়ারকন্ডিশনিং
বাইরে প্রচণ্ড গরম আর ঘরের ভেতরে অর্থাৎ অফিস বা বাড়িতে প্রচণ্ড ঠাণ্ডা, যার ফলাফল ‘ঠাণ্ডা লাগা’৷ আর এই পরিস্থিতিতে যদি পানি কম পান করা হয় তাহলে ফলাফল হতে পারে আরো খারাপ৷ কাজেই এক্ষেত্রে ডা. রোমেলের পরামর্শ, ‘‘বাহির ও ভেতরের তাপমাত্রার পার্থক্য যেন পাঁচ-ছয় ডিগ্রির বেশি না হয়৷’’

ব্যায়াম করে ফিট থাকুন
সকালবেলায় খানিকটা হাঁটাহাঁটি বা সাইকেল চালানো খুবই ভালো৷ দুপুরবেলা বা যখন সূর্যের তাপ খুব বেশি থাকে তখন কোনো ধরণের ব্যায়াম করা উচিত নয়৷ দুপুরের রোদে ওজনের মাত্রা থাকে সবচেয়ে বেশি৷ সূর্যের তাপ এবং অতিরিক্ত মাত্রার ওজন – দুটো একসাথে হলে শরীরের উপর তা খুবই প্রভাব ফেলে৷ তবে এয়ারকন্ডিশনিং পরিবেশে হালকা ব্যায়াম করা যেতে পারে৷

ভ্রমণ
ট্রেন বা গাড়িতে যাতায়াতের সময় খোলা জানালার বাতাস প্রথমে খুবই আরাম লাগে সেকথা ঠিক, তবে তা খুবই ভয়ঙ্কর৷ এতে নাকের ঝিল্লি দিয়ে রক্ত চলাচলের সমস্যা সৃষ্টি করে৷ যার ফলে সহজে যেকোনো ভাইরাস ইনফেকশন হতে পারে৷ আর যদি জানালা খোলা রাখতেই হয় তাহলে হালকা সিল্ক বা সুতি ওড়না দিয়ে গলা এবং মাথা পেচিয়ে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন ডা. রোমেল৷

শান্ত থাকুন
হঠাৎ করে তাপমাত্রার ওঠা-নামার কারণে বিশেষ করে প্রবীণ এবং শিশুদের শরীরের ওপর প্রচণ্ড চাপ পড়ে৷ মিউনিখের চিকিৎসক আলেক্সান্ডার শ্নাইডার বলেন,‘‘হঠাৎ করে তাপমাত্রা বেশি হলে সবকিছুই খুব আস্তে আস্তে করে শরীরকে অভ্যস্ত করতে হবে৷ কারণ বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গেছে হঠাৎ করে বাইরের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় অনেক হার্টের রোগীদের সমস্যা বেড়ে গেছে এবং অনেক রোগী মারাও গেছে৷ তাই অতিরিক্ত গরমে অতিরিক্ত কোনো চাপ নয়!’’

সুস্থ থাকতে যথেষ্ট পানি পান করুন
ঘামের মধ্য দিয়ে শরীর থেকে মিনারেল, বিশেষ করে লবণ, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালসিয়াম ইত্যাদি বেরিয়ে যায়৷ একজন মানুষের প্রয়োজন দিনে দুই থেকে তিন লিটার পানি পান করা৷ তাছাড়া তা নির্ভর করে কে কতটা শারিরীক পরিশ্রম করে বা এয়ারকন্ডিশনিং ঘরে থাকে কি না তার ওপর৷ সবচেয়ে ভালো হয় দুই বা তিনটি পানির বোতল টেবিলে রেখে দিন, তাহলে হিসেব রাখা সুবিধা হবে৷ বাড়ির প্রবীণরা যথেষ্ট পানি পান করছেন কিনা সেদিকেও লক্ষ্য রাখুন৷

ব্লাডপ্রেশার নিয়ন্ত্রণে রাখুন
প্রচণ্ড গরমে অনেকের মাথা ঘোরে এবং বমিভাব হয়৷ এর প্রধান কারণ হলো পানি কম পান করায় ধমনির রক্ত চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়৷ ফলে রক্তের চাপ থাকে অস্থির বা অস্থিতিশীল৷ ডা. রোমেলের ভাষায়, ‘‘একবারে বেশি পানি পান না করে বরং প্রতি আধঘণ্টা পরপর অল্প অল্প করে পানি পান করুন৷ পানির সাথে লেবুর রস, পুদিনা পাতা বা আদা মেশানো যেতে পারে৷’’

গরমকালের খাবার
বাইরে তাপমাত্রা বেশি হলে স্বাভাবিকভাবেই খাওয়ার রুচি কমে যায়৷ তাছাড়া গরমে চর্বিজাতীয় বা অতিরিক্ত মসলা খেলে শরীরে আরো বেশি ঘাম হয়৷ তাই বেশি করে তরমুজ, বিভিন্ন ফল, শষা, টমেটো ইত্যাদি খাওয়া উচিত৷ কারণ এসবে রয়েছে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন, আঁশ ও মিনারেল৷

বাংলাদেশেরপত্র.কম/এডি/আর

Comments
Loading...