ফাইনালে হিঙ্গিস এক যুগ পর
স্পোর্টস ডেস্ক:
২০০২ সালে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের দ্বৈতে ফাইনালে উঠেছিলেন মার্টিনা হিঙ্গিস। সেবার চ্যাম্পিয়নও হয়েছিলেন সুইজারল্যান্ডের এই টেনিস তারকা। দীর্ঘ এক যুগ পর আরেকটি গ্র্যান্ড¯¬াম টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠলেন ৩৩ বছর বয়সী মার্টিনা হিঙ্গিস। বৃহস্পতিবার মৌসুমের শেষ গ্র্যান্ড¯¬াম টুর্নামেন্ট ইউএস ওপেনের দ্বৈতে ফাইনালে উঠেন তিনি। এই ইভেন্টে তার সঙ্গী ছিলেন ইতালিয়ান টেনিস তারকা ফ্লাভিয়া পেনেত্তা। সেমিফাইনালে হিঙ্গিস-পেনেত্তা জুটি ৬-৩ এবং ৬-৪ গেমে হারিয়েছেন ভারতের সানিয়া মির্জা এবং জিম্বাবুয়ের কারা ব্ল্যাক জুটিকে। টেনিস বিশ্বের অন্যতম সেরা তারকা মার্টিনা হিঙ্গিস। পেশিবহুল মস্ত শরীর দিয়ে নয় বরং প্রখর ধীশক্তি দিয়েই টেনিস কোর্টে সফল হয়েছেন তিনি। ২০০৩ সালে প্রথম এবং ২০০৬ সালে দ্বিতীয়বারের মতো টেনিস থেকে অবসর গ্রহন করলেও আবারও টেনিস কোর্টে ফিরেন তিনি। এবং বয়সে তেত্রিশকে ছাড়িয়ে গেলেও কোর্টে দারুণভাবেই লড়াই করে যাচ্ছেন মার্টিনা হিঙ্গিস। ইউএস ওপেনের ফাইনালে উঠে দারুণ সন্তুষ্ট এই সুইস তারকা বলেন, ‘এখানে আসাটা আমার কাছে সবসময়ই দারুণ। প্রতিটি সেকন্ডই খুব উপভোগ করছি। এখানকার জনাকীর্ণতাও আমাকে অনুপ্রেরণা জোগায়।’ চেকসেøাভাকিয়ায় জন্ম গ্রহণের পর শৈশবেই হিঙ্গিস চলে আসেন সুইজারল্যান্ডে। তার পেশাদার টেনিস খেলোয়াড় মা তখনকার সেরা তারকা মাটিনা নাভ্রাতিলোভার নাম অনুসারে মেয়ের নামকরণ করেছিলেন মার্টিনা হিঙ্গিস।