Connecting You with the Truth

দর্শনাথীদের আনন্দ রাজ্য রংপুর পীরগঞ্জের আনন্দ নগর

Anandanagar Pirgonj Rangpur  (1)নিজস্ব প্রতিনিধি, রংপুর: রংপুর জেলাধীন পীরগঞ্জ উপজেলা হতে ৮কি.মি. দুরে মদনখালী ইউনিয়নে হাঁসারপাড়া গ্রামে বেসরকারী উদ্যোগে গড়ে উঠা সৌন্দর্যমন্ডিত সুবিশাল এক বিনোদন কেন্দ্র নাম “আনন্দনগর”। মৌসুমী বনভোজন, শিক্ষা সফর বিভিন্ন বিনোদনের জন্য তৈরী করা হয়েছে রংপুর অঞ্চলে পীরগঞ্জে। সাবেক সাংসদ বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মন্ডল তার নিরলস প্রচেষ্টা এবং স্বপনের রং তুলিতে আঁকা এই আনন্দ নগর। হাজারো বিনোদন পিপাসু মানুষের এক স্বপ্ন ভুমিতে পরিনত হয়েছে। রংপুর শহর হতে দুরে আধুনিক সুবিধা সমৃদ্ধ কোলাহল মুক্ত নয়নাভিরাম নৈসর্গিকতার একটি আদর্শ বিনোদন কেন্দ্র। সুবিশাল এলাকা নিয়ে পরিকল্পিত ভাবে স্বযত্নে গড়ে ওঠা সারিসারি বিভিন্ন প্রজাতির রং বেরং এর গাছগাছালি স্বচ্ছ রুপালি ঝিলের অপরুপ সৌন্দর্য শতশত ফুলের সমারহ ও নাম না জানা পাখিদের কলতানের এক হৃদয় ভুলানো নৈসর্গিক আবেদন আছে এখানে। পাশাপাশি আছে শৈল্পিক ছোঁয়ায় পাথওে নির্মিত নান্দনিক ভাস্কর্য। শ্রভ্র ডানাওয়ালা পরী হাতে রক্তিম ফুল নিয়ে অভ্যর্থনা জানানোসহ এসকতল ভাস্কার্যের মাধ্যমে বাংলার আবহমান সংস্কৃতিক এক জীবন্ত অপরুপ চিত্র। ঢেকিতে পাড় দেওয়া নববধুর রঙ্গিন স্বপ্নে ভরা দুচোখ স্বচ্ছলতার সুখের হাসি মুখে গোয়ালা-গোয়ালিনীর গাই দোহনের ভাস্কার্য। আছে শিয়াল সারির গাছ থেকে কাঁঠাল পেড়ে খাওয়ার শিল্প কর্ম, বক ধরার রোমাঞ্চকর দৃশ্য ছোটবেলায় বইয়ে পড়া বক ও বাঘের গল্পে বাঘের গলায় আটকে যাওয়া হাড় বের করার শিহরিত দৃশ্যপট। বেজী ও সাপের লড়াই, জমিদার বাড়ী এবং মিয়া বাড়ীর নিমন্ত্রন আপনাকে নিয়ে যাবে হারানো গ্রাম বাংলায়। আপনি ফিরে পাবেন আপনার ফেলে আসা অতীত। এখানে ঘুরতে ঘুরতে আজব গুহায় হারিয়ে যাবেন অবশেষে গরিলা এবং বিলুপ্ত অতিকার ডাইনোসর দেখতে দেখতে বাস্তবে ফিরে আসার শিহরণ অনুভব করবেন। ক্লান্তি দুর করতে রয়েছে চমৎকার বিশ্রামের স্থান, থরেথরে সাজানো দোকান পাট মসজিদ ও ওয়াশরুম। পিকনিকের জন্য সদলবলে চলে আসা বিনোদন পিপাসুদের জন্য রয়েছে আধুনিক পিকনিক স্পট। নিত্যদিনের ক্লান্তি ভুলতে ও নির্মল আনন্দ লাভের জন্য এখানে রয়েছে নাগরদোলা, মিনি ট্রেন, আইস ল্যান্ড, ওয়াটার হুইল, রোপ ওয়েল, টাইটানিক জাহাজে নৌ ভ্রমনসহ চা চক্র, প্লানেটরিয়ামসহ নানা আকষনীয় রাইড যা ছোট থেকে বড় সকলকেই আনন্দ দেয় সমানভাবে একাকী বা পরিবার পরিজন নিয়ে প্রতিদিন ঘুরতে আসা নারী পুরুষ শিশুসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রী অবিভাবক এখানে আসতে দেখা যায় তাদের জ্ঞান অর্জনের জন্য। এখানে রয়েছে আধুনিক কক্ষ ও পরিমিত ব্যায়ে সুস্বাদু খাবারের বৈচিত্র্যময় সমারহ। প্রতিদিন সকাল ৮টা হতে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আনন্দনগর তার হৃদয়ের দরজা খুলে দেয় সৌন্দর্য পিপাসু মানুষের জন্য। নৈসর্গিক সৌন্দর্যমন্ডিত উত্তর জনপদের এই বিনোদন স্থানটি হাজারো অভ্যগতদের পদভারে ধন্য।পরিবার পরিজনসহ সদলবলে ঢাকা রংপুর মহাসড়কের বড়দরগা অথবা পীরগঞ্জ উপজেলা সদর হতে আনন্দনগরে প্রতিদিন উত্তরবঙ্গের ১৬ জেলার বিনোদন পিপানু মানুষের আগমনে সৌন্দর্য ও ভালবাসা বিলিয়ে দিতে এই এলাকায় বদলে দিয়েছে চিত্র।

Comments