লক্ষ্মীপুরে বৃক্ষ সেজেছে আমের মুকুলে
রুবেল হোসেন, লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরে নারিকেল, সুপারী ও সয়াবিনে বিখ্যাত জেলা বলা হলেও এবার মৌসুমে আমের মুকুলে সাঝিঁ”য়ে আছে বৃক্ষক। চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছে এই মুকুলের পাগল করা ঘ্রাণ। এখানকার বাতাস এখন আমের মুকুলের মৌ মৌ গন্ধে ভরপুর। যে গন্ধ মানুষের মন ও প্রাণকে বিমোহিত করে। শহর থেকে গ্রাম-গঞ্জে সর্বত্র আম গাছগুলো তার মুকুল নিয়ে হলদে রঙ ধারণ করে সেঁজেছে এক অপরুপ সাঁজে। এই আম নিয়ে পল্লীকবি জসীম উদ্দিনের ‘মামার বাড়ি’ কবিতার পংক্তিগুলো বাস্তব পেতে বাকি রয়েছে আর হাতে গনা কয়েক মাস।
জেলা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্রে জানা যায়, জেলা সদরে ৪৭০ হেক্টর , রায়পুরে ৯৭ হেক্টর, রামগঞ্জ ১৫৫ হেক্টর, রাগতি ১০ হেক্টর ও কমলনগর উপজেলায় ৭০৫ হেক্টর জমিতে আমের আবাদ করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় মুকুলে মুকুলে ছেয়ে আছে গাছের প্রতিটি ডাল-পালা। আমের মুকুল গুলোকে পোকা-মাকড় থেকে রক্ষা করতে জেলায় প্রায় শতাদিক কৃষকদের ফুট পাম্প ব্যবহার করা পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
সদর উপজেলার ভবানিগঞ্জ ,লাহার কান্দি,দালাল বাজার,হামছাদি ও মান্দারি ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে, বাড়ির আশ-পাশে বিভিন্ন জাতের আম গাছ গুলোতে মুকুল আসা শুরু হয়েছে। মৌসুমের শুরুতে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় মুকুলে ভরে গেছে আম গাছগুলোতে। তবে বড় আকারের চেয়ে ছোট ও মাঝারি আকারের গাছে বেশি মুকুল ফুটেছে। সেই মুকুলের মৌ মৌ গন্ধে মানুষের চোখে ভাসছে স্বপ্ন।এদিকে জেলা শরহ আবির নগর এলাকায় ও গুরে দেখা যায় আম গাছে মুকুলের সমহার ।
লক্ষ্মীপুর কৃষি সম্পসারণ অধিপ্তরের উপ-পরিচালক গোলাম মোস্তফা জানান, জেলায় এবার ১৪০০ হেক্টর জমিতে আমের বাগান আছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ব্যপক আমের মুকুল এসেছে। মুকুল গুলোকে রক্ষার জন্য কৃষকদের বালায় নাশক ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে এবং ফুট পাম্পের সুবিধাও সরকারি ভাবে পাচ্ছে। তিনি আশা করেন, এই জেলায় এবার আমের বাম্পার ফলন হবে।