Connecting You with the Truth

লালারচক সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে আবারও কিশোরী নিহত

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার লালারচক সীমান্ত এলাকায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে স্কুলছাত্রী স্বর্ণা দাস (১৪) এর মরদেহ বাংলাদেশের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতীয় পুলিশ। আলোচিত ফেলানি হত্যার পরে আবারও আরেকজন কিশোরী হত্যার ঘটনা ঘটলো সীমান্তে।

মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকালে ২৭ ঘন্টার পর চালতাপুর চেকপোস্ট দিয়ে ভারতীয় পুলিশ বাংলাদেশ পুলিশের কাছে স্বর্ণার মরদেহ হস্তান্তর করে।

এর আগে, রোববার রাতে উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের লালারচক সীমান্ত এলাকায় ঘটনাটি ঘটলেও একদিন পর সোমবার রাতে বিষয়টি জানাজানি হয়। কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিনয় ভূষন রায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

স্বর্ণা জেলার জুড়ী উপজেলার পশ্চিম জুড়ী ইউনিয়নের কালনীগড় গ্রামের বাসিন্দা পরেন্দ্র দাসের মেয়ে। স্বর্ণা অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।

স্বর্ণার বাবা পরেন্দ্র দাস জানান, ভারতের ত্রিপুরায় তার বড় ছেলে থাকেন। তাকে দেখতে স্বর্ণা ও তার মা রোববার রাতে স্থানীয় দুই দালালের সহযোগিতায় লালারচক সীমান্ত দিয়ে চোরাইপথে ভারতে যাওয়ার চেষ্টা করেন। রাত ৯টার দিকে ভারতের কাঁটাতারের বেড়ার কাছে পৌঁছালে বিএসএফ তাদের লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি চালালে স্বর্ণা ঘটনাস্থলে মারা গেলেও ভাগ্যক্রমে স্বর্ণার মা বেঁচে যান।

তিনি জানান, সোমবার রাতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) একটি দল বাড়িতে এসে খবরটি জানায়।

ওসি বিনয় ভূষন রায় বলেন, মঙ্গলবার বিকেলে চালতাপুর চেকপোস্ট দিয়ে ভারতীয় পুলিশ বাংলাদেশ পুলিশের কাছে স্বর্ণার মরদেহ হস্তান্তর করে। পরে স্বর্ণার পরিবারের কাছে মরদেহ বুঝিয়ে দেয়া হয়।

২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ি উপজেলার অনন্তপুর সীমান্তে ভারতীয় রক্ষী বাহিনী-বিএসএফের গুলিতে নিহত হয়েছিল ১৪ বছরের কিশোরী ফেলানি খাতুন। এই ঘটনা দুইদেশের সীমান্ত ইস্যুতে বহুল আলোচিত হত্যাকাণ্ড।

Comments
Loading...