Connecting You with the Truth

শরীয়তপুর-চাঁদপুর মহাসড়কের বেহালদশা

behal dosha Pic-1শেখ জাভেদ, শরীয়তপুর: শরীয়তপুর জেলার প্রধান রাস্তা সংস্কার না করায় শরীয়তপুর-চাঁদপুরের যোগাযোগ ব্যবস্থা একেবারেই ভেঙ্গে পড়েছে। এসব পাকা রাস্তা র্দীঘ দিন ধরে সংস্কার বিহীন থাকায় সব কার্পেটিং উঠে গিয়ে বড় বড় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে লোক চলাচলের জন্য এসব রাস্তায় এখন মানুষের জন্য পরিনত হয়েছে মরণ ফাঁদে। যা সামান্য কাজ হয়েছে তাও সাবেক ও বর্তমান প্রকৌশলী কর্মকর্তা, অফিসের হিসাব সহকারী ও ঠিকাদারদের পকেট ভারি হওয়ায় রাস্তা তেমন সংস্কার করা হয়নি। প্রশাসনের এসব দেখার জন্য যেন কেউ নেই।
শরীয়তপুর-চাঁদপুর মহাসড়কের একটি মাত্র রাস্তায় ৪টি উপজেলার ৪০টি ইউনিয়ন ও ৪টি পৌরসভার প্রায় ১৫ লক্ষ মানুষের বসবাস। তৎকালীন পানি সম্পদমন্ত্রী আব্দুল রাজ্জাকের ১৯৯৬ সালে প্রায় ৪০ কিলোমিটার শরীয়তপুর-চাঁদপুর মহাসড়কের রাস্তাটি নির্মাণ করা হলে, বৃহত্তর ফরিদপুর অঞ্চলের ও বৃহত্তর বরিশাল অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর থানার ইব্রাহিমপুর ফেরী ঘাট দিয়ে চাঁদপুর, লক্ষীপুর, রায়পুর, নোয়াখালী, ফেনী, কুমিল­া ও চট্রগ্রাম জেলা সহ রাজধানী’র সাথে সরাসরী যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপিত হয়। এছাড়া এই শরীয়তপুর মহাসড়ক গুলো দিয়ে অল্প সময়ের জন্য রাজধানীতে কৃষিপন্য ও ব্যবসা বানিজ্য সহ মানুষের নিত্য দিনের কাজ গুলো দূরুত করার জন্য এই রাস্তটি ব্যবহার করা হয়।
উপজেলা গুলোর উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মহা-সড়কটির রাস্তা এতটাই খারপ যে, কেউ রাস্তা দিয়ে একবার গেলে দ্বিতীয় বার আর যেতে চান না। কিন্তু বিভিন্ন জেলা থেকে ছেড়ে আসা পরিবহন ও মালবাহী ট্রাকগুলো বাধ্য হয়ে এই রাস্তা দিয়ে যেতে হয়। এতে করে প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনা ঘটছে। তবে নিত্যদিনের যারা চাকুরি জীবী, অফিস গামী ও ছাত্র-ছাত্রীদের বিকল্প কোন রাস্তা না থাকায় এ রাস্তাটিই ব্যবহার করতে হয়, তবে ভুক্তভোগি ছাড়া বোঝার কারো উপায় নাই। তাদের মুখে শুধু হতাশার চিত্র ফুটে উঠে। এমপির এলাকা হলেও ভেঙ্গে পড়া খনা-খন্দে ভরা পাকা রাস্তাটি কবে সংস্কার করা হবে তা কেউ জানে না।
সরোজমিন ঘুরে দেখা যায়, আংগারিয়া বাজার, মনোহর বাজার, রুদ্রকর, বালার বাজার, আমিন বাজার, বুড়িরহাট, পাপরাইল, সাজনপুর, ভেদরগঞ্জ, কাশেমপুর, নারায়ণপুর, মোল­ার হাট, ডি-এম খালী, সখিপুর বালারবাজার সহ বিভিন্ন রাস্তায় দেখা যায় খনা-খন্দে ভরা পাকা রাস্তাটি।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে, এই একমাত্র চলাচলের রাস্তাটি সংস্কারের অভাবে বোঝার কোন উপায় নাই যে, এখানে কোন পাকা রাস্তা ছিল না কাঁচা রাস্তা ছিল।
উলে­খ্য, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক পানি সম্পদমন্ত্রী আব্দুল রাজ্জাক ১৯৯৬ সালে এই রাস্তাটি চলাচলের জন্য উদ্বোধন করেন। পরবর্তীতে বিএনপি’র সময়ে ২০০১-০৬ সাল পর্যন্ত নামে মাত্র কাজ হয়েছিল। এরপর আওয়ামীলীগের ১ মেয়াদে এসে রাস্তাটি সংস্কারের কাজ করা হয়েছিল। কিন্তু বর্তমান আবারও সরকারের সময়ে যে নাম মাত্র সামান্য কাজ হয়েছে তাও ঠিকমত সংস্কার না করে সংশ্লিষ্ট সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের প্রকোশলী কর্মকর্তা ও ঠিকাদারদের পকেট ভরার উন্নয়ন হয়েছে। ফলে মহাসড়কটির সংস্কার বেশি দিন টিকেনি। কিন্তু অতি দুঃখের বিষয় দীর্ঘ দিনেও ভাল ভাবে এক মাত্র এই মহাসড়কটির কোন সংস্কার কাজ না হওয়ায় আজ বেহাল দশা হয়ে মরণ ফাঁদে পরিনত হয়েছে।
এ ব্যপারে শরীয়তপুর নির্বাহী প্রকৌশলী (স ও জ) সড়ক বিভাগের কর্মকতা মিন্টু রঞ্জন দেবনাথ বলেন, ইতিমধ্যে এ রাস্তার জন্য বরাদ্দ এসেছে সুতরাং অতি দ্রুত মেরামতের কাজ শুরু করা হবে। সাবেক প্রকৌশলী কর্মকর্তা, অফিসের হিসাব সহকারী ও ঠিকাদারদের পকেট ভারি হওয়ার কারণে রাস্তার কাজ ভাল হয়নি এ বিষয়টি জানতে চাওয়া হলে তিনি উক্ত বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।

Comments
Loading...