সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন: মেয়র-কাউন্সিলর পদে ১৫৮৬ জনের মনোনয়ন, বাদ পড়লো ২৫০
নিজস্ব প্রতিনিধি: ঢাকা উত্তর, দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ শেষ হয়েছে গতকাল । দু’দিনের বাছাইয়ে তিন সিটিতে ৬ মেয়র প্রার্থী, ১৮১ জন কাউন্সিলর প্রার্থী ও ৬৩ সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী বাদ পড়েছেন। মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া ২৫০ জন তিনদিনের মধ্যে আপিলের সুযোগ পাবেন। তিন সিটির তিন পদে সর্বমোট এক হাজার ৮৩৩ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। এছাড়া গতকাল উচ্চ আদালতের নির্দেশে ঢাকার দুই সিটিতে আরো ১৩ কাউন্সিলর প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা নেয়া হয়েছে। রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
ঢাকা উত্তরে দুইজন মেয়র প্রার্থী, ৪৭ জন কাউন্সিলর এবং ২২ নারী কাউন্সিলর প্রার্থী বাদ পড়েছেন। এই সিটিতে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন মেয়র পদে ২১ জন, কাউন্সিলর পদে ৪৯৪ জন ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ১৩৫ জন। বাছাইয়ের পরে টিকেছেন ১৯ মেয়র প্রার্থী, ৪৪৬ কাউন্সিলর ও ৪৭ জন সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থী।
ঢাকা দক্ষিণে তিনজন মেয়র প্রার্থী, ১০৩ কাউন্সিলর এবং ৩১ মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী বাদ পড়েছেন। এই সিটিতে মেয়র পদে ২৬ জন, কাউন্সিলর পদে ৬৩৬ জন ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ১৫৩ জন মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন। এদের মধ্যে টিকেছেন ২৩ মেয়র, ৫৩৩ কাউন্সিলর ও ৯৯ সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী।
চট্টগ্রামে মেয়র পদে বাদ পড়েছেন একজন, কাউন্সিলর পদে ৩১ জন ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ১০ জন। এই সিটিতে মেয়র পদে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন ১৩ জন, কাউন্সিলর পদে ২৮৮ জন এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৭১ জন।
রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে ঢাকা দক্ষিণ সিটি রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার কাউন্সিলরদের মনোনয়নপত্র বাছাই করা হয়। আগের দিনই বাছাই করা হয়েছিল মেয়র প্রার্থীদের আবেদন।
মামলা, ঋণখেলাপী, সিটি করপোরেশনের তালিকাভুক্ত ঠিকাদার, ভুল তথ্য, ভুল ফরম পূরণের কারণে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দক্ষিণের রিটার্নিং কর্মকর্তা মিহির সরওয়ার মোর্শেদ। রিটার্নিং কর্মকর্তা জানান, যাদের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে তারা আগামী তিনদিনের মধ্যে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার ও আপিল কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানাতে পারবেন। সকাল নয়টা থেকে বশির উদ্দিন মিলনায়তনে কাউন্সিলর প্রার্থীদের মনোনয়ন বাছাই শুরু হয়। শেষ হয় রাত সাড়ে আটটায়। প্রার্থীদের আপত্তি শোনা হয়। প্রাথমিকভাবে বাতিল করা ১২ প্রার্থী তাত্ক্ষণিকভাবে প্রার্থিতা ফিরে পান।