সিলেটে দুই দফা বোমা বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬
সিলেটের দক্ষিণ সুরমার শিববাড়িতে জঙ্গি আস্তানার অদূরে দুই দফা বোমা বিস্ফোরণে দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ ছয়জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় সাংবাদিক, পুলিশ, র্যাব সদস্যসহ ৫০ জন আহত হয়েছেন। তবে নিহত ব্যক্তিদের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
সিলেটের এই হামলার দায় স্বীকার করেছে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)। এই গোষ্ঠীর কথিত বার্তা সংস্থা ‘আমাক’ এই খবর দিয়েছে বলে জানিয়েছে অনলাইনে জঙ্গিদের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণকারী যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান সাইট ইন্টেলিজেন্স গ্রুপ।
শনিবার সকাল পৌনে ৯টা থেকে সেনাবাহিনীর প্যারা কমান্ডোর নেতৃত্বে ‘আতিয়া মহলে’ অভিযান ‘অপারেশন টোয়াইলাইট’ শুরু হয়। দুপুর থেকে টানা কয়েক ঘণ্টা মুহুর্মুহু গুলিবর্ষণ এবং একাধিক শক্তিশালী বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
সন্ধ্যায় অভিযানের বিষয়ে সেনাবাহিনী প্রেস ব্রিফিং করে। ব্রিফিংয়ের পর পরই পাঠানপাড়া জামে মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় সন্ধ্যা ৬টা ৫৫ মিনিটে প্রথমে বিস্ফোরণ ঘটে। সেখানে পুলিশের একটি চৌকি ছিল।
এরপর কর্ডন করে রাখা এলাকা ‘ক্রাইম সিন’ করতে গেলে রাত ৮টার দিকে ঘটনাস্থলে পড়ে থাকা বস্তা সদৃশ্য একটি বস্তু পরীক্ষা করার সময় দ্বিতীয় দফায় বিস্ফোরণ ঘটে।
বিস্ফোরণে নিহত হন সিলেটে পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) পরিদর্শক চৌধুরী আবু মো. কয়সর, মদনমোহন কলেজের হিসাববিজ্ঞান দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ওয়াহিদুল ইসলাম অপু, সিলেটের দাড়িয়াপাড়ার বাসিন্দা শহীদুল ইসলাম, জালালাবাদ থানার ওসি (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা ছাত্রলীগের উপপরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক জান্নাতুল ফাহিম নিহত হয়েছেন। নিহত অন্যজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
আহত ব্যক্তিদের মধ্যে র্যাবে গোয়েন্দা শাখার প্রধান লে. কর্নেল আবুল কালাম আজাদের অবস্থা সংকটজনক। তাঁকে রাতেই হেলিকপ্টারে করে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) পাঠানো হয়েছে। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে আরও আছেন র্যাব সদর দপ্তরের মেজর আজাদ। রাতে তাকেও ঢাকায় নেয়া হয়েছে।
এছাড়া বিস্ফোরণে আহত হয়েছে অর্ধশতাধিক। এরমধ্যে ৪৪ জন সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।