স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে চায় নবাবগঞ্জের চার মাদকসেবী
নবাবগঞ্জে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে মাদক সেবনের অপরাধে চার যুবকের ৬ মাস সশ্রম কারাদন্ড।
রুহুল আমিন প্রধান, নবাবগঞ্জ: দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ, বিরামপুর, হাকিমপুর ও ঘোড়াঘাট উপজেলায় আজও গড়ে উঠেনি কোন মাদক নিরাময় কেন্দ্র। যার কারণে মাদকসেবী নারী-পুরুষ স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসে সংশোধনের সুযোগ পাচ্ছে না। সরকারি বে-সরকারি অনেক সংস্থা মাদক নিয়ন্ত্রণে কাজ করে গেলেও এ উদ্যোগ নেয়নি কেউ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চার উপজেলার মধ্যে হাকিমপুর সীমান্তবর্তী হওয়ায় সহজেই মাদক হাতে পাচ্ছে সেবীরা। বে-সরকারি সংস্থা, এনজিও ডোনারদের নিকট থেকে অর্থ বরাদ্দ নিতে গেলে মাদকের উপর বিভিন্ন কর্মশালা, অবহিত করণ সভা, গণপ্রচারণা চালানোর জন্য গ্রহণ করে কর্মসূচি। আবার কেউ কেউ নাটক-নাটিকা প্রজেক্টরের মাধ্যমে প্রদর্শন করে থাকে। একজন মাদকসেবীর স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে প্রয়োজন মাদক নিরাময় কেন্দ্র।
নবাবগঞ্জ উপজেলার পুটিমারা ইউনিয়নে ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. মাহাফুজার রহমান জানান, তার এলাকায় মাদকসেবী বেড়েই চলছে। মরণ নেশা সংগ্রহের জন্য টাকার প্রয়োজনের কারণে অনেকেই বাড়ির স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি করে মাদকের টাকা যোগান দিতে গিয়ে পথে বসেছে। অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে পরিবারের লোকজন ও প্রতিবেশীরা। চুরিই তাদের প্রতিদিনের সঙ্গী।
আজ মঙ্গলবার নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. বজলুর রশীদ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে মাদক সেবনের অপরাধে চার যুবকের ৬ মাস করে সশ্রম সাজা দিয়েছেন। এরা হলো- ৫নং পুটিমারা ইউনিয়নের বুজরুক হরিনা গ্রামের আব্দুল কাদেরের পুত্র মহিদুল (৪০), সায়েদ আলীর পুত্র জাহাঙ্গীর (৩৫), আব্দুল আজিজের পুত্র আইনুল হক (৩০), পাশ্ববর্তী বয়রা গ্রামের শাহাবুদ্দিনের পুত্র আশেক আলী (২৫)।
মাদক সেবীরা জানায়, মাদক নিরাময়ের চিকিৎসা পেয়ে তারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে চায়।