হাঙ্গেরি সীমান্তে শরণার্থীদের ওপর টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ
সার্বিয়া-হাঙ্গেরি সীমান্ত থেকে শরণার্থীদের সরিয়ে দিতে তাদের ওপর টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ ও জলকামান ব্যবহার করেছে হাঙ্গেরির দাঙ্গা পুলিশ। এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে শরণার্থীদের সঙ্গে সম্মানজনক আচরণের পাশাপাশি তাদের মানবাধিকার রক্ষার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন।
এদিকে, হাঙ্গেরি সীমান্ত বন্ধের পর শরণার্থী প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে ক্রোয়েশিয়া।
বুধবার, সার্বিয়ার সীমান্তবর্তী শহর হোরগোসের কাছে একটি বর্ডারে শত শত শরণার্থী জড়ো হলে তাদেরকে সরিয়ে দিতে এভাবেই টিয়ার গ্যাস ও জল কামান ব্যবহার করে হাঙ্গেরির দাঙ্গা পুলিশ।
এ সময়, শরণার্থীরাও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ও পানির বোতল ছুড়তে থাকলে মুহূর্তেই রণক্ষেত্রে পরিণত হয় পুরো এলাকা। তীব্র আকার ধারণ করে সংঘর্ষ। এতে গুরুতর আহত হন বেশ কয়েকজন শরণার্থী। এছাড়াও, সংঘর্ষে অন্তত ২০ পুলিশ সদস্য আহত হন বলেও জানায় দেশটির সরকার।
এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে শরণার্থীদের সঙ্গে এমন আচরণ কোনভাবেই মেনে নেয়া যায়না বলে মন্তব্য করেছেন সার্বিয়ার শ্রম ও কর্মসংস্থানমন্ত্রী আলেকজান্ডার ভুলিন। সেইসঙ্গে, হাঙ্গেরি সরকার আগামী এক মাসের জন্য সার্বিয়ার সঙ্গে সবধরনের সীমান্তপথ বন্ধ করে দিয়েছে বলেও জানান তিনি।
সার্বিয়ার শ্রম ও কর্মসংস্থানমন্ত্রী আলেকজান্ডার ভুলিন বলেন, আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। কারণ এটি আন্তর্জাতিক আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন। আমাদের সীমান্ত এলাকায় শরণার্থীদের ওপর এভাবে টিয়ার গ্যাস ও জলকামান নিক্ষেপ করার অধিকার কারো নেই।’
এ ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করে শরণার্থীদের যথাযথ সম্মান দেয়ার আহবান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন।
জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন বলেন, ‘শরণার্থীদের সঙ্গে অবশ্যই সম্মানজনক আচরণ করতে হবে কারণ জীবন বাচাতেই তারা তাদের দেশ ছেড়ে শরণার্থী হয়েছেন। আর তাই যেকোনো মূল্যে তাদের মানবাধিকার রক্ষার জন্যই ইউরোপীয় দেশগুলোর নেতাদের প্রতি আমি আহ্বান জানাচ্ছি।’
এদিকে বুধবার, প্রথমবারের মত শরণার্থী প্রবেশে অনুমতি দিয়েছে ক্রোয়েশিয়া সরকার। হাঙ্গেরি সরকার সীমান্ত বন্ধ করে দেয়ার পর এখন ক্রোয়েশিয়া হয়ে উত্তর ইউরোপের দেশগুলোতে প্রবেশের চেষ্টা করছেন অনেক শরণার্থী। এছাড়া, হাঙ্গেরি সীমান্তে অপেক্ষমাণ আরও অনেকে পায়ে হেঁটে রওনা হয়েছেন ক্রোয়েশিয়ার পথে।