ইরাকে সেনা মোতায়েন করতে যাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন ইসলামিক স্টেট (আইএস) বিরোধী চলমান কৌশল ব্যর্থ হলে জঙ্গিগোষ্ঠীটির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের স্থলসেনা মোতায়েন করা হতে পারে।
বিবিসি বলছে, মঙ্গলবার মার্কিন সিনেটের ডিফেন্স আর্মড কমিটির সামনে এক শুনানিকালে এ কথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর প্রধান জেনারেল মার্টিন ডেম্পসি।
এ সময় তার পাশে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী চাক হেগেলও উপস্থিত ছিলেন।
জেনারেল ডেম্পসি বলেছেন, তিনি বিশ্বাস করেন আইএস’র বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক জোটকে নিয়ে “এগিয়ে যাওয়াই সবচেয়ে উপযুক্ত পথ”।
তবে তিনি এও বলেছেন, “যদি এটির ব্যর্থতা বাস্তব হয়ে উঠে এবং যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে হুমকি রয়ে যায়, তবে আমি অবশ্যই প্রেসিডেন্টের কাছে ফিরে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের স্থলবাহিনী ব্যবহার করা যেতে পারে বলে সুপারিশ করবো।”
চলতি পরিকল্পনার অধীনে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক উপদেষ্টারা আইএস বিরুদ্ধে হামলা পরিকল্পনায় ইরাকি সেনাবাহিনীকে সাহায্য করছে বলে শুনানিকালে নিশ্চিত করেন তিনি।
তিনি এও বলেন, পরিস্থিতি দাবি করলে যুক্তরাষ্ট্রের উপদেষ্টারা ইরাকি সেনাদের সঙ্গেও থাকতে পারে।
তিনি বলেন, “পরিষ্কার হওয়ার জন্য বলছি, আমরা যদি এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হই যে আমার মনে হয় আইএসআইএল’র (ইসলামিক স্টেট) নির্দিষ্ট লক্ষ্যের বিরুদ্ধে আমাদের উপদেষ্টাদের ইরাকি বাহিনীর সঙ্গে থাকা উচিত, তাহলে আমি তা প্রেসিডেন্টের কাছে সুপারিশ করবো।”
“আগ্রহী আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক মিত্রদের নিয়ে একটি সক্ষম জোট গঠনের মাধ্যমে, আমি বিশ্বাস করি আমরা আইএসআইএল’কে ইরাকে ধ্বংস করে দিতে পারবো, ইরাক-সিরিয়া সীমান্ত পুনঃস্থাপন করতে পারবো এবং সিরিয়ায় আইএসআইএল’কে বিপর্যস্ত করে দিতে পারবো,” যোগ করেন তিনি।
এরপর প্রতিরক্ষামন্ত্রী হেগেল আইএস’র মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রের নেয়া কৌশলের বিস্তারিত কমিটির সামনে তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, “আমরা আল কায়েদার মতো আইএসআইএল’র সঙ্গেও যুদ্ধে আছি।”
তিনি বলেন, “এই পরিকল্পনায় সিরিয়ায় আইএসআইএল’র নিরাপদ স্বর্গের লক্ষস্থলগুলোতে হামলার পাশাপাশি তাদের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ, কৌশলগত সামর্থ্য এবং অবকাঠামোতেও হামলার লক্ষ্য স্থির করা হয়েছে।”
তাদের দুজনের বক্তব্যের সময়ই সিনেটের যুদ্ধবিরোধী সদস্যরা বারবার বাধার সৃষ্টি করেন।