Connecting You with the Truth

কাউনিয়ায় অবৈধ অর্ধশত ছ’মিল : বৈধতা আছে মাত্র একটির


মিজান,কাউনিয়া প্রতিনিধিঃ রংপুরের কাউনিয়ায় অবৈধ ভাবে গড়ে উঠেছে ৫০টিরও বেশী ছ’মিল। কর্তৃপক্ষের অবহেলা ও নজরদারী না থাকায় উপজেলার যত্রতত্র গড়ে উঠেছে এসব ছ’মিল। তথ্য অনুসন্ধানে দেখাগেছে, ছ’মিল গুলো চলছে শ্যালো মেশিনের ইঞ্জিন নতুবা ইলেক্ট্রিক মর্টার দিয়ে। এসব ছ’মিল চালানোর নিয়মনীতি মানা তো দূরের কথা মিলের মালিক ও কর্মচারীরা জানেই না ছ’মিল চালানোর আবার নিয়ম-কানুন আছে।
ছ’মিল স্থাপনের বিধিমালা সম্পর্কে উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের চৌরাস্তা এলাকার ছ’মিল মালিক হোসেন আলী’র কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, নিয়ম-টিয়ম জানিনা তবে লাইসেন্স সম্পর্কে একদিন একজন এসে বলেছিলো কিন্তু তারপর আর তার পাত্তা পাই নাই। কোথায় যাব কি ভাবে লাইসেন্স করবো সেটা আমরা জানিনা। বর্তমানে তার ছ’মিলে কাজ করেন তিনজন কর্মচারী কিন্তু তাদের কি পোশাক পরে কাজ করতে হবে সে বিষয়ে কেউ কোনো দিন কিছু বলেনি।
উপজেলার বেইলীব্রীজ বাজারের ছ’মিলের এক কর্মচারী বলেন, “হামার নাম পেপারোত ন্যাখেন না বাহে, হামরা পেটের দায়ে কাম করি খাই, সরকারের কি আইন আছে তা হামাক কাঁয়ো কয়ো (বলে) নাই, আর হামরা সেটা জানিও না।”
আরেক ছ’মিল মালিক উপজেলার তকিপল হাটের রাশেদুল ইসলাম জানান, তিনি কয়েক বছর আগে লাইসেন্স করেছিলেন কিন্ত কর্তৃপক্ষের তেমন কোনো চাপ না থাকায় লাইসেন্সটি নবায়ন করা হয়নি, বর্তমানে লাইসেন্সটির মেয়াদ নাই।
উপজেলায় কয়টি ছ’মিল আছে এ প্রশ্নের উত্তরে উপজেলা বন কর্মকর্তা আলতাফ হোসেন বলেন, আমি পীরগঞ্জ ও পীরগাছা এবং কাউনিয়াসহ তিনটি উপজেলার দায়িত্বে আছি তাই এই মুহূর্তে বলতে পারছিনা কাউনিয়ায় মোট ছ’মিল কয়টি তবে ৪০/৫০টির মতো হবে। বৈধ লাইসেন্স কয়টি মিলের রয়েছে এবিষয়ে তিনি জানান, এ উপজেলায় মাত্র একটি ছ’মিলের বৈধ লাইসেন্স রয়েছে। বাকী ছ’মিল গুলোর লাইসেন্স করার জন্য শীঘ্রই নোটিশ দেয়া হবে।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম নাজিয়া সুলতানা বলেন, এবিষয়টি আমি তেমন ভালো জানিনা তবে বন কর্মকর্তার সাথে বিষয়টি নিয়ে কালকেই কথা বলবো।

Comments