Connect with us

খুলনা বিভাগ

যশোরের শার্শা উলাশী পার্কে অবাদে চলছে দেহব্যবস

Avatar photo

Published

on

    যশোরের শার্শার উলাশি ও ঝিকরগাছার মির্জাপুরে গড়ে উঠা নীলকুঠির ফ্যামিলি পার্কে চলছে নানা অসামাজিক কার্যকলাপ। দিবালোকে এ অসামাজিক কাজ চললেও অজ্ঞাত কারণে নীরব প্রশাসন। পার্কে যারা ঘুরতে আসে তাদের অধিকাংশই স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী। অসামাজিক কার্যক্রম দেখে উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা। দাবি উঠেছে, অবিলম্বে পার্কটি বন্ধ করার। যশোর শহর থেকে ২৫-২৬ কিলোমিটার দূরে, ১২ বছর আগে ১০ বিঘা জমি নিয়ে নীলকুঠি ফ্যামিলি পার্ক তৈরী করা হয় এলাকাবাসীর বিনোদনের জন্য। প্রথমে ভালভাবে চললেও বছর ঘুরতে না ঘুরতেই সেখানে শুরু হয় অসামাজিক কার্যকলাপ,চলে ঝুঁকিমুক্ত ভাবে দেহব্যবসা। সরেজমিনে দেখা যায়, জোড়ায় জোড়ায় ছেলে-মেয়ে পার্কে বসে আছে।প্রবাদে আছে মানুষ একাকি বসবাস করতে পারে না। আর সে কথা ভেবেই যেন পার্কে আসা সবাই জোড়ায় জোড়ায় বসে গেছে। সেখানে রয়েছে ছেলে-মেয়েদের একান্তে সময় কাটানোর জন্য ছোট ছোট টোল বা বেদেনী ঘর। প্রতি ঘরের ভাড়া নেওয়া হয় ঘণ্টায় এক থেকে দুই হাজার টাকা। আর সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত এক ঘরের ভাড়া চার হাজার টাকা। এবার ভাবুন? আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হতে কতক্ষণ। পার্কের ভিতরে গিয়ে দেখা গেল স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা ড্রেস পরা অবস্থায় অবাদে ঘুরাফিরা করছে যেন এই পার্ক নামের সুখের দোযকে ওরা ছাড়া আর কেউ নেই।(ডোনমাইন্ড) পার্কের এক কর্মচারী জানান, বোঝেন তো পার্ক হচ্ছে বিনোদনের জায়গা। পার্কে একটু এদিক-সেদিক কাজ না হলে চলবে কি করে। পার্কের মালিক মিলন মেম্বর বলেন, ‘ আমার পার্কে কোনো অসামাজিক কার্যকলাপ হয় না। আর আপনাদের যদি কেউ তথ্য দিয়ে থাকে তাহলে আমার সুনামক্ষুন্য করার জন্য দিয়েছে। আর মাঝে মাঝে স্কুল-কলেজের ছেলে-মেয়েরা পার্কে এসে একটু গল্প-গুজব করে। এতে দোষের কি?’তাছাড়া আমিও সাংবাদিক তোমরা আমার কিছুই করতে পারবে না। আমার উপর মহলে হাত আছে ও সব আমি ম্যানেজ করে নেব। পরিচয় পত্র দেখতে চাইলে তিনি আনন্দ টিভির একটা কার্ড দেখায়। তারপর বোঝেন তো? যা হওয়ার কিছুক্ষন হল!
ঝিকরগাছার ইউএনও জাহিদুল ইসলাম জানান, বিষয়টি শুনে জেলা প্রশাসকের কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ করেছি। নির্দেশনা পাওয়ামাত্র দূরুত্ব পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এছাড়া কোনো স্কুল কলেজগামী যাতে ক্লাসের সময়ে পার্কে না যায় সেজন্য প্রধান শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন,ওসিকে বলেছি, পার্কে কোনো অনৈতিক কাজ হলে তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে।তবে এবিষয়ে সচেতন মহলের দাবি পার্কের নামে এ সব অনৈতিক কার্যকলাপ বন্ধ করা হোক। উলাশি মির্জাপুর গ্রামের আনসার মিয়া এ প্রতিনিধিকে বলেন,আপনারা ওর কিছুই করতে পারবেন না। এ পর্যন্ত জাতীয় পত্রিকা বাংলাদেশ প্রতিদিনসহ স্থানিক প্রজন্মের ভাবনা, সমাজের কথা,লোকসমাজ এর মত অসংখ্য প্রিন্টিং অনলাইন মিডিয়ায় নিউজ প্রচার হইছে তবু এখনো তো বন্ধ হল না। দেখেন প্রশাষন আবার টাকা খেয়ে তার সুযোগ দেচ্ছে কিনা? এ বিষয়ে ডিসি ও পুলিশ সুপারসহ উর্দ্ধাতন কর্মকর্তাদের দূরুত্ব হস্তক্ষেপ কামনা করছেন এলাকাবাসি।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কুষ্টিয়া

স্বামী-সন্তান ও সংসার ফিরে পেতে শাহানাজ পারভীনের সংবাদ সম্মেলন

Avatar photo

Published

on

কুষ্টিয়া: দৌলতপুর উপজেলার ৫ নং রামকৃষ্ণ পুর ইউনিয়ন পরিষদের আওতাধীন ভাগযোত বাজারে অবস্থিত আল মক্কা প্রাইভেট ক্লিনিকের মালিক জাহিদ হাসানের স্ত্রী শাহানাজ পারভিন সম্মেলনের মাধ্যমে সে তার স্বামী- সন্তান ও সংসার ফিরে পেতে চেয়েছে।

শুক্রবার বেলা ১১ টার দিকে দৌলতপুর প্রেসক্লাব ডিপিসিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যের মাধ্যমে শাহনাজ পারভীন জানান, ১৩ বছর আগে জাহিদ হাসানের সাথে ইসলামিক শরীয়া মোতাবেক আমার বিবাহ সম্পন্ন হয়। বিবাহ পরবর্তী আমাদের দাম্পত্য জীবনে একটি ছেলে সন্তান ও একটি মেয়ে সন্তান জন্মগ্রহণ করে। এমন অবস্থায় আমার স্বামী ও শাশুড়ি পরস্পর যোগসাজশে করে আমাকে ভরণপোষণ না দেওয়ার মন-মানসিকতায় মোটা অঙ্কের যৌতুক দাবি করে আমার বাবা-মার কাছ থেকে। এবং সেই মোটা অঙ্কের যৌতুক না পাওয়া পর্যন্ত আমার উপর চলতে থাকে অমানবিক নির্যাতন।

পরে নির্যাতনের বিষয়টি আমার বাবা-মাকে জানালে আমার সুখের কথা চিন্তা করে জমি-জায়গা বিক্রয় করে ৮ লক্ষ টাকা যৌতুক প্রদান পরে আমার স্বামী জাহিদকে। পরে কিছুদিন তারা ক্ষান্ত হলেও পুনরায় আবার আরে ৫ লক্ষ টাকা আমার বাবা মার কাছ থেকে এনে দেয়ার জন্য বলে । দাবীকৃত ৫ লক্ষ টাকা আমি এনে দিতে অক্ষমতা প্রকাশ করলে আমার উপর অত্যাচারের মাত্রা পূর্বের থেকে আরও দ্বিগুন বেড়ে যায়।

গত ১০/০৫/২০২৩ তারিখ রাতে আমার স্বামী জাহিদ হাসান তাহার বসত বাড়ির শয়ন কক্ষে আমার শাশুড়ি মাসুরা খাতুন এর সহযোগিতায় আমার উপর অমানবিক নির্যাতন চালায়। নির্যাতন চালানোর এক পর্যায়ে আমার স্বামী ও শাশুড়ি ঘর থেকে জোরপূর্বক বের করে একটি দুর্গন্ধযুক্ত বাথরুমের মধ্যে আটকায়ে রাখে।

আমার ডাক চিৎকারে স্থানীয় প্রতিবেশী ও লোকজন আগাইয়া আসিয়া আমাকে উদ্ধার করার চেষ্টা করেন। কিন্তু আমার স্বামী ও শাশুড়ি স্থানীয় লোকজনদের অপমান অপদস্ত করে যার কারণে বাধ্য হয় স্থানীয় লোকজন জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এ কল দিয়ে বিষয়টি প্রশাসন কে অবগত করে। পরে উক্ত ৯৯৯ এর সূত্র ধরে দৌলতপুর থানা পুলিশ সেখানে দ্রুত উপস্থিত হয়ে আমাকে দুর্গন্ধযুক্ত ঐ বাথরুম থেকে উদ্ধার করে।

শাহনাজ পারভীন আরো জানান, আমি আমার স্বামী সংসার ও ছেলেমেয়ে কে ফিরে পেতে চাই। আমার বাবার বসতভিটা শেষ সম্বলটুকু বিক্রি করে তাকে ইতিপূর্বে ৮ লক্ষ টাকা এনে দিয়েছি, এখন আর তাদের টাকা দেওয়ার মতো কোন সম্বল নেই। যার কারণে আমার উপর এমন অত্যাচার এর মাত্রা তাদের দিন দিন বেড়েই চলেছে। আমি এর সঠিক বিচার চাই।

Continue Reading

কুষ্টিয়া

দৌলতপুরে ২শ’ বছরের প্রাচীন নিলকুঠি এখন কালের স্বাক্ষী

Avatar photo

Published

on

দৌলতপুর প্রতিনিধি, কুষ্টিয়া:
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ২শ’ বছরের প্রাচীন বৃটিশদের নিলকুঠি এখন কালের স্বাক্ষী হয়ে সেবা দিচ্ছে জনসাধারনের। ব্রিটিশদের তৈরি এই প্রাচীন নিলকুঠি উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নের সোনাইকুন্ডি গ্রামে অবস্থিত ইউনিয়ন ভূমি (তপসিল) অফিস হিসাবে এখন পরিচিত। ১৮০০ সালে চুন শুড়কী দিয়ে নির্মিত ৬রুম বিশিষ্টি একতলা বাড়ি যার নাম নীলকুঠি, তার সাথে দাড়িয়ে আছে ৭টা বহু পুরানো দেবদার গাছ। এ ছাড়াও উপজেলার সদর ইউনিয়নের পচামাদিয়া গ্রামে এবং মথুরাপুর ইউনিয়নের হোসেনাবাদে নিলকুঠি তৈরি করেছিলেন ব্রিটিশ সরকার যা এখন নষ্ট হয়েগেছে।

জানা গেছে, ১৭৫৭ সালে নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে পলাশী যুদ্ধে হারানোর কয়েক বছর পরে, ইংল্যান্ডে বস্ত্রশিল্পে নীলের চাহিদা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায়। ১৭৭৭ সালের পরপরই অধিক লাভের আশায় বাংলায় নীলচাষের জন্য পাঠানো হয় কয়েকজন নীলকর। এর মধ্যে তৎকালীন পুর্ব বাংলার অংশ, বর্তমান কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলায় বেশ কয়েকটি নিলকুঠি স্থাপন করেন ব্রিটিশ সরকার এবং এ অঞ্চলের দায়িত্ব নিয়ে আসেন ইংরেজ টমাছ ভ্যান কেলি।

এখানকার মাটি নীলচাষের উপযোগী হওয়ায় সরল মানুষদের দিয়ে নীল চাষ করাতেন ইংরেজ টমাছ ভ্যান কেলি। কৃষকরা যদি নীল চাষ করতে না চাইতো তখন কৃষকদের ধরে নিয়ে অমানুষিক নির্যাতনের মাধ্যমে বাধ্য করা হতো নীলচাষে। বন্দি করে রাখা হতো এই নীলকুঠি ঘরে। বাঙ্গালীদের স্বাধীনতা ছিল শৃঙ্খলে বন্ধি। তাদের ছেলে মেয়েদের স্কুলে যেতে দেওয়া হতো না। সেই সময় বাঙালিরা ছিল বর্বর জাতি।

১৯৪৭ সালে বাংলা ও ভারতের পৃথকীকরণের মাধ্যমে আধুনিক বাংলাদেশের সীমানা প্রতিষ্ঠিত হয়, তখন উপমহাদেশে ব্রিটিশ শাসনের অবসানের ফলে এই অঞ্চলটি নবগঠিত পাকিস্তান রাষ্ট্রের অংশ হিসেবে পূর্ব পাকিস্তনে পরিণত হয়। পাকিস্তানীদের শাসন আমলে বিভাগ, জেলা, উপজেলায় ভাগ করা হয়। কর আদায়ের জন্য উপজেলা পর্যায়ে দুই জন কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়, সিও রেভ (রেভিনিউ কর্মকর্তা) ও সিও ডেব দৌলতপুর (কর্মকর্তা), উপজেলার এ অফিস (সিও অফিস) নামেও পরিচিত ছিল।

১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু সরকার এ নিয়ম বাতিল করে দুইজন কর্মকর্তার পদবীর নাম পরিবর্তন করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার ভুমি করেন। সিও অফিসের কার্যক্রম বিলুপ্তি ঘোষনা করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিয়োন্ত্রনে আনেন বঙ্গবন্ধু সরকার। এ নিল কুঠিবাড়ি প্রায় ৭ একর জায়গা নিয়ে এখন হোগলবাড়ীয়া ইউনিয়নের (ইউনিয়ন ভুমি) অফিস হিসাবে সেবা দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এ কুঠিবাড়ি দীর্ঘ ২শ বছর সেবা দিয়ে আসলেও ওয়াল গুলো সুরক্ষা থাকলেও উপরের ছাদ অকেজো হয়ে পড়েছে।

এ বিষয়ে বর্তমান ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মোঃ আনিছুর রহমান বলেন, ২শ’ বছরের পুরনো নিল কুঠির টালিছাদ দুর্বল হয়ে পড়ায় বৃষ্টি হলে কিছু জায়গায় পানি পড়ে। এর মুল কাঠামো ঠিকরেখে সংস্কার করলে প্রাচীন এই নিল কুঠিবাড়ী আরো অনেক দিন ইতিহাসের স্বাক্ষি হয়ে থাকবে।

উপজেলা নিবার্হী অফিসার মোঃ ওবাইদুল্লাহ বলেন, আমি কুঠিবাড়ীতে গিয়েছিলাম এখানে কাজ করার সুযোগ আছে, আমি চেষ্টা করবো বরাদ্দ নিয়ে সংস্কার। তিনি আরো বলেন, মাননীয় জেলা প্রসাশক জনাব আসলাম হোসেন উক্ত নিল কুঠিকে জাদুঘর ও ডিসি ইকো পার্ক করার জন্য প্রস্তাব রেখেছেন। খুব শিঘ্রই এই নিল কুঠি জাদুঘর ও ডিসি ইকো পার্ক দেখতে পাবে এলাকাবাসী।

Continue Reading

খুলনা বিভাগ

কলারোয়ায় এলএসডি উদ্ধার, আটক ১

Avatar photo

Published

on

কলারোয়া প্রতিনিধি, সাতক্ষীরা:
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় আবারও উদ্ধার করা হয়েছে ৪ বোতল ভয়ংকর মাদক এলএসডি (লাইসার্জিক অ্যাসিড ডাইইথ্যালামাইড) এবং এ ঘটনায় সাহেব আলী (৪৫) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে কলারোয়া থানা পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (১১ মে) রাত সাড়ে দশটার দিকে উপজেলার চন্দনপুর ইউনিয়নের কাঁদপুর গ্রাম থেকে তাকে আটক করা হয়। সে কাঁদপুর গ্রামের মৃত মান্দার মোড়লের ছেলে।

কলারোয়া থানার এসআই রাজীব মন্ডল জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাঁদপুর গ্রামে পরিচালিত অভিযানে মাদক ব্যবসায়ী সাহেব আলীকে আটক ও তার শয়ন কক্ষ থেকে চার বোতল ভারতীয় এলএসডি (প্রতি বোতলে ৫০ এমএল) উদ্ধার করা হয়েছে। যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ২ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা।

কলারোয়া থানার ওসি মো. মোস্তাফিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আটক আসামীর বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩৬(১) এর ২৯(ক)/৪১ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

Continue Reading