Connecting You with the Truth

তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল রূপান্তরের আগে হবে মহাপরিকল্পনা-মন্ত্রীসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ

স্টাফ রিপোর্টার:
তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকাকে শিল্পের পাশাপাশি বাণিজ্যিক ও আবাসিক এলাকা হিসাবে গড়ে তোলার আগে একটি মহাপরিকল্পনা করবে সরকার। এতে শিল্পাঞ্চল তেজগাওকে বাণিজ্যিকের পাশাপাশি আবাসিক এলাকা হিসেবেও গড়ে তোলার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গতকাল সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার এক বৈঠকে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকাকে রূপান্তরের প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়ে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বৈঠকের পর মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা সাংবাদিকদের বলেন, “তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলকে রূপান্তরের আগে একটি মহাপরিকল্পনা নেয়া হবে। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রীর নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটি ওই মহাপরিকল্পনা পর্যালোচনা করে তা অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করবেন।” প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের পরেই তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকাকে শিল্পের পাশাপাশি বাণিজ্যিক ও আবাসিক এলাকা হিসাবে রূপান্তর করার কাজ শুরু হবে বলে জানান তিনি। মোশাররাফ হোসাইন আরো জানান, নবম সংসদের গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের প্রধান সড়কসহ অন্য সড়কের পাশের প্লটগুলোকে শিল্পের পাশাপাশি বাণিজ্যিক প্লটে রূপান্তরের এই সুপারিশ করে। ওই সুপারিশসহ স্থানীয় সাংসদ এবং তেজগাঁও শিল্প মালিক কল্যাণ সমিতির আবেদন পর্যালোচনা করতে গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীর নেতৃত্বে ৭ সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছিল। ওই কমিটির সুপারিশসহ আরো একটি কমিটির মতামত নিয়ে ১৩টি শর্তে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলকে শিল্পের পাশাপাশি বাণিজ্যিক এলাকা ঘোষণার জন্য মন্ত্রিসভায় সিদ্ধান্ত চায় পূর্ত মন্ত্রণালয়। মোশাররাফ জানান, এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলে ভারি ও শ্রমঘন শিল্প কারখানা থাকবে না। “প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, অবশ্যই এটা পরিকল্পিতভাবে করতে হবে, নইলে কাঙ্খিত ফল পাওয়া যাবে না।” এ সময় সচিব জানান, রূপান্তরিত এলাকায় কতটুকু আবাসিক এলাকা হবে তাও মহাপরিকল্পনায় থাকবে। ঢাকার জলাশয় রক্ষায় তৈরি ‘ডিটেইল এরিয়া প্ল্যান’ যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে বিষয়টিও দেখা হবে। সেখানে এমন সব শিল্প থাকবে যেন সব মিলিয়ে সহাবস্থান সম্ভব হয়।
উল্লেখ্য ১৯৫০ এর দশকে জমি অধিগ্রহণ করে ৫০০ একর ২০ শতাংশ জায়গার ওপর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল গড়ে তোলা হয়। সেখানে বর্তমানে ৪৩০টি প্লট থাকলেও ভারি শিল্প প্রতিষ্ঠান নেই। পরিবর্তনশীল অবস্থার প্রেক্ষাপটে ১৯৯৮ সালে তেজগাঁও-গুলশান সংযোগ সড়ককে ‘বাণিজ্যিক সড়ক’ ঘোষণা করে সরকার

Comments
Loading...