নীরব সাধনায় ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কমিশনার: দায়িত্বশীলতার মূল্যায়নে আমাদের কদর
আশিকুর রহমান:
এখনো কি আমরা মূল্যায়ন করতে পারছি দায়িত্বশীল ব্যক্তিত্বদের? একটি দেশের গণমাধ্যমকর্মী হিসেবে আমরা কীভাবে দায়িত্বশীল ও সদ্ভাবপূর্ণ ব্যক্তিত্বদের যথাযথ মূল্যায়ন করছি? বাস্তবতা হলো, আমাদের দেশের পরিস্থিতি এমন এক সময়ে দাঁড়িয়ে, যেখানে কিছু সৎ ও পেশাদার ব্যক্তি দেশের মানুষের নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। কিন্তু আমরা কি সত্যিই তাদের যথাযথভাবে কদর করছি, নাকি আমাদের মূল্যবোধগুলো এমনভাবে চাপা পড়ে যাচ্ছে যে, তারা চুপিসারে তাদের সঠিক মূল্যায়ন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে?
আজকাল আমরা সহজেই ভুলে যাই, যে সমস্ত ব্যক্তিত্ব দেশের স্বার্থে নিজেদের জীবন ও ক্যারিয়ার বিলিয়ে দিচ্ছেন, তাদের উদাহরণগুলো আমাদের সমাজে আলোচিত ও প্রশংসিত হওয়া উচিত। এই দায়িত্বশীলদের নীরব সাধনা কখনোই অবমূল্যায়ন হওয়া উচিত নয়। বিশেষ করে যখন তারা নিজেদের কর্তব্যে অবিচল থেকে, উদ্ভট এবং সংকটময় পরিস্থিতিতেও দেশের সেবায় আত্মনিয়োগ করছেন।
গাজীপুর মেট্রোপলিটনের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কমিশনার:
চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ড. নাজমুল করিম খানকে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল ইসলামের আদেশে ঢাকায় পুলিশ সদর দপ্তরে বদলি করা হয়। একই আদেশে, গাজীপুর মেট্রোপলিটনের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন জিএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ জাহিদুল হাসান।
বর্তমানে গাজীপুর মেট্রোপলিটনের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কমিশনার হিসেবে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ জাহিদুল হাসান অত্যন্ত দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করছেন। তার জীবনচরিত আমাদের জন্য একটি অনুপ্রেরণা; একসময় নিজেও তিনি ছিলেন কর্মজীবনে নিয়মিত সুবিধাবঞ্চিত এবং বৈষম্যের শিকার। কিন্তু রাষ্ট্রের কল্যাণে তার অতীত কখনোই তাকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। তার মধ্যে দেশের প্রতি নিবেদিত দায়িত্ববোধ এবং নিষ্ঠা অত্যন্ত স্পষ্ট।
গাজীপুর মেট্রোপলিটনের নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি:
বর্তমান সময়ে দেশের পরিস্থিতি বেশ অশান্ত এবং কিছুটা অনিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়েছে। বিশেষত গাজীপুর মেট্রোপলিটনে ১৪ লাখ ১৮ হাজার ১০৬ জন পুরুষ এবং ১২ লাখ ৫৯ হাজার ২৯৮ জন নারী- মোট ২৬ লাখ ৭৭ হাজার ৪০৪ জনের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ জাহিদুল হাসান যে প্রাণপণ ও অবিচল প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, তা কেবলমাত্র সূক্ষ্মদৃষ্টি এবং গভীর চিন্তা-ভাবনার অধিকারী ব্যক্তিরাই প্রকৃতভাবে উপলব্ধি করতে সক্ষম। তার অবিরাম পরিশ্রম, দৃষ্টিভঙ্গি এবং বুদ্ধিমত্তা পরিস্থিতি উন্নত করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ জাহিদুল হাসানের জনকল্যাণমূলক পদক্ষেপ:
গাজীপুর মেট্রোপলিটনের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ জাহিদুল হাসান তার অফিসকে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের জন্য সর্বদা উন্মুক্ত রেখেছেন। তার এই উদারতা এবং স্বচ্ছতা কেবল কথার মাধ্যমে নয়, বাস্তবে তার কার্যকলাপের মাধ্যমে প্রতিভাত হচ্ছে। তিনি জনগণের নিকট এমন একজন কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত, যিনি সবসময় সৎ, নিরপেক্ষ, এবং জনগণের সাথে সরাসরি সম্পর্ক স্থাপন করেন।
তাঁর কাছে গেলে, যে কোনো জটিল সমস্যা মুহূর্তের মধ্যে সহজ হয়ে ওঠে। এটি কেবল একটি গল্প নয়; এটি একটি বাস্তবতা, যা যদি কেউ স্বশরীরে পরিদর্শন না করে, তবে সহজে বিশ্বাস করা কঠিন। তার বিচক্ষণতা এবং একাগ্রতার প্রতি জনগণের আস্থা ও ভালোবাসা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ব্যক্তিত্বের মূল্যায়ন ও সম্মান:
মোহাম্মদ জাহিদুল হাসান যেভাবে তার দায়িত্ব পালন করছেন, তা নিঃসন্দেহে আমাদের দেশ ও সমাজের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ। আমাদের উচিত তাদের এই নিরলস পরিশ্রম এবং সৎ মনোভাবের মূল্যায়ন করা এবং তা জনসাধারণের কাছে তুলে ধরা। কারণ, সমাজের উজ্জ্বলতম ব্যক্তিত্বদের সম্মান এবং তাদের অবদান মূল্যায়ন করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। আসুন, আমরা সকলে একযোগে তাদের শ্রদ্ধা করি, যারা আমাদের নিরাপত্তা এবং শান্তির জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।