Connecting You with the Truth

পঞ্চগড়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চাঁদা দাবী, মামলায় শ্রীঘরে অভিযুক্ত

পঞ্চগড় : পঞ্চগড় সদর উপজেলার বোর্ড বাজার এলাকার মেঘদূত ক্যাবল নেটওয়ার্ক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং একটি চা বাগানকে জিম্মি করে চাঁদা দাবীর অভিযোগ এনে করা মামলায় প্রধান আসামী মনিরুজ্জামান মনিরকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) পঞ্চগড় চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক হুমায়ুন কবির বিপ্লব তার জামিন না মঞ্জুর করেন। মনিরুজ্জামান মনিরের বাড়ি সদর উপজেলার ডাঙ্গাপাড়া এলাকায়। সে জামাল উদ্দীনের ছেলে।

এরআগে গত ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর মনিরুজ্জামান মনিরসহ ৮ জনের নামে আদালতে মামলাটি করেন খালিদ হোসেন নামের এক ব্যক্তি। আদালত মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ঠাকুরগাঁও জেলাকে। পিবিআই তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন চলতি বছরের ৪ এপ্রিল।

মামলার অন্য আসামীরা হলেন- মনিরের ভাই মাহবুব আলম মিন্টু ও আলমগীর হোসেন, তার বাবা জামাল উদ্দীন ও চাচা এনামুল হক, একই এলাকার জালাল উদ্দীনের ছেলে নিজাম উদ্দীন, আব্দুল মান্নানের ছেলে রফিকুল ইসলাম এবং আব্দুল আজিজের ছেলে আবু বক্কর সিদ্দিক।

মামলায় উল্লেখ করা হয় খালিদ হোসেন নামের ওই ব্যক্তি বোর্ড বাজার এলাকায় ২০০৫ সালে একটি চা বাগান এবং ২০১০ সালে মেঘদূত নামে ক্যাবল নেটওয়ার্ক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান শুরু করেন। এটাকে কেন্দ্র করে তখন থেকেই বিভিন্ন সময় আসামীরা ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবীসহ হুমকি দিতো খালিদকে। সেই ধারাবাহিকতায় গত ২০২০ সালের ১১ ডিসেম্বর আসামীরা ক্যাবল নেটওয়ার্কের ব্যবসা প্রধান আসামী মনিরের নামে লিখে দিতে খালিদকে চাপ দেয়। অন্যথায় ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করেন। খালিদ অস্বীকৃতি জানালে প্রাণ নাশের ভয় দেখায় এবং মারধর করে। পরে স্থানীয়রা খালিদকে সেখান থেকে উদ্ধার করে।

তদন্ত প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, খালিদের স্থানীয় ঠিকানা ঢাকায়। মামলার ৪নং বিবাদী জামাল উদ্দীন তার পূর্ব পরিচিত হওয়ায় ২০০৫ সালে এখানে চা বাগান করতে আসেন তিনি। এক পর্যায়ে জামাল উদ্দীনের ছেলে মামলার প্রধান আসামী মনিরসহ অন্যদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে উঠে তার। চা বাগানের পাশাপাশি ২০১০ সালে মেঘদূত নামে ক্যাবল নেটওয়ার্ক ব্যবসা চালু করেন। এটা দেখভালের জন্য মনিরকে নিয়োগ দেয়া হয়। আর বাদী খালিদ বেশি সময় ঢাকায় থাকতেন। এই সুযোগে মনির ব্যবসাটি নিজের নামে নেয়ার জন্য বিভিন্ন ষড়যন্ত্র শুরু করেন।

বাদী পক্ষের আইনজীবি এ্যাডভোকেট মকবুল হোসেন বলেন, মামলার ধার্য্য তারিখ ছিলো গত বুধবার (১ সেপ্টেম্ব)। বিবাদীরা সেদিন উপস্থিত না হওয়ায় আদালত গ্রেফতারি পরওয়ানা জারি করে। পরে বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) তারা আদালতে জামিন আবেদন করলে আদালত ৬ জনকে জামিন দিলেও প্রধান আসামী মনিরের আবেদন না মঞ্জুর করে আদালতে পাঠান।

আসাদুজ্জামান আপেল/বিডিপি

Comments
Loading...