বিবিধ
পতাকা বিছিয়ে নামাজ নিয়ে ফেইসবুকে আলোচনা
ডেস্ক : জাতীয় পতাকা বিছিয়ে তার উপরে নামাজ পড়ার একটি ছবি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেইসবুকে বেশ আলোচনা চলছে। ছবিটি কোথায় তোলা হয়েছে এ বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া না গেলেও কয়েকজনের ধারণা, চট্টগ্রামে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচ চলাকালে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম থেকে ছবিটি তোলা হয়েছে।
শরদিন্দু চক্রবর্তী নামের একটি আইডি থেকে ছবিটি ফেইসবুকে শেয়ার করা হয়েছে। ছবিটি শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, “জাতীয় পতাকা জায়েনামাজে উত্তীর্ণ। পতাকার মর্যাদা বাড়ালোই ! কী বলেন, ভাইলোগ।” এরপর অনেকেই এ ছবি শেয়ার করেন।
সাংবাদিক সুপ্রীতি ধর তার ফেইসবুকে ছবিটি শেয়ার করে লিখেছেন, “জাতীয় পতাকা মাটিতে, জায়নামাজ বানিয়ে নামাজ আদায়ৃ..আমার কিন্তু গা শির শির করছে এর ওপর পা দিতে দেখেৃ”
আতিক শুভ নামে একজন লিখেছেন, “এটা কিছু না.. এটা বাঙালের অফুরন্ত হুর পাইবার লোভৃ !!! এদের ঘৃণা ছাড়া আর কি করব ভেবে পাচ্ছি নাৃ”
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি আক্কু চৌধুরী লিখেছেন, “খুব দুঃখ লাগলো এ ধরনের আইএস মানসিকতা দেখে। কখনো চিন্তাও করিনি যে এ রকম একটি বিষয় দেখতে হবে।”
রেজওয়ানা আফরোজ রিশা মন্তব্যে লিখেছেন, “ফাইযলামি ছাড়া আর কিছু না। থাপড়ায় দাঁত ভাইঙ্গা দেওয়া উচিৎ। কোন দিক থেকে ধর্মের সম্মান করছে সে নিজেই জানে না। ফাউল।”
মঞ্জুলি কাজী লিখেছেন, “জাতীয় পতাকা কখনোই জায়নামাজ হতে পারে না । যে কাজটি করেছে সে দেশকে অপমান করেছে।বলা জায় না পাকিপন্থি হতে পারে সে।”
অনেকে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানালেও এতে দোষ দেখছেন না কেউ কেউ। জাতীয় পতাকা ও জায়নামাজ দুটোই ‘পবিত্র’ হওয়ায় এতে কোনো সমস্যা নেই বলে যুক্তি দিচ্ছেন তারা।
সৈয়দা দিলরুবা দৃষ্টি নামে একজন সুপ্রীতি ধরের শেয়ার করা ছবিতে মন্তব্য করেছেন, “পতাকা পবিত্র, তাই পতাকাকে জায়নামাজ বানিয়ে নামাজ পড়ছেন উনি। কারণ জায়নামাজও পবিত্র। আপনার ক্ষেত্রে সেটা অবশ্য ভিন্ন লাগতে পারে।”
নিজের বক্তব্যের পক্ষে দৃষ্টান্ত হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ভারতের জাতীয় পতাকা দিয়ে তৈরি করা বিভিন্ন ধরনের পোশাক, জুতা ও মোজার ছবি শেয়ার করেছেন দৃষ্টি।
এ সব পোস্টের প্রেক্ষিতে তুষার কান্তি সরকার নামে একজন লিখেছেন, “তার মানে কি আপনি জাতীয় পতাকা দিয়ে পেন্টি বানানোর ব্যাপারটাকে প্রমোট করলেন এই সুযোগে? আমেরিকার জাতীয় পতাকার প্রতি অন্য দেশ থেকে আসা ইমিগ্র্যান্টদের বিভিন্নভাবে বিভিন্ন সময়ে যেমন শ্রদ্ধা জানাতে দেখা যায়, তেমনি চরম অসম্মান করতেও দেখা যায়।”
“কিন্তু আমাদের (বাংলাদেশের) জাতীয় পতাকা দিয়ে এখনো কেও এমনটি করেছেন কি না জানা নেই। আপনার এই ছবিটা এখানে নিতান্তই বেমানান এবং একটা গঠনমূলক আলোচনার মাঝে বিকৃত রুচির বহিঃপ্রকাশ ছাড়া আর কিছুই না।”
মো. আই কে সজিব নামে একজন লিখেছেন, “পতাকা যে জায়নামাজ হতে পেরেছে এতে পতাকার মান বেড়েছে দ্বিগুণ বিন্দুমাত্র কমে নাই, আলহামদুলিল্লাহ।”
২০১০ সালের জাতীয় পতাকা বিধিমালা অনুযায়ী বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা ব্যবহারের সুনির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে।এর ব্যত্যয় হলে কারান্ড ও অর্থদন্ডের বিধান রয়েছে।