ঠাকুরগাঁও
পরীক্ষায় ফেল করার লজ্জায় শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

Published
2 months agoon

রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি:
ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে এইচএসসি পরীক্ষায় ফেল করার লজ্জা ঢাকতে আরফিন আক্তার (১৮) নামে এক শিক্ষার্থী গলায় উড়না পেঁচিয়ে বাঁশের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে। গতকাল বুধবার বিকালে উপজেলার গেদুরা ইউনিয়নের আটঘরিয়া গ্রামে নিজ বাড়িতে আত্মহত্যার এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আরফিন আক্তার উপজেলার গেদুরা ইউনিয়নের আটঘরিয়া গ্রামের কৃষক জবেদ আলীর মেয়ে। ৫ বোন এক ভাইয়ের মধ্যে সে চতুর্থ। এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় সে রাণীশংকৈল উপজেলার ডিকে ধর্মগড় (কাশিপুর) মহাবিদ্যালয় থেকে মানবিক বিভাগে অংশ নেয়। এতে ইংরেজি বিষয়ে কম নাম্বার পেয়ে অকৃতকার্য হন।
পুলিশ ও স্বজনদের সূত্রে জানা গেছে, নিহত ওই শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ার পর থেকে ভীষণ কান্নাকাটি করতে দেখে প্রতিবেশী ও স্বজনরা সান্ত্বনা দেন। পরীক্ষায় ফেল করার লজ্জা আর নিজের ওপর অভিমান করে গতকাল বুধবার বিকেলে সবার অজান্তে মেয়েটি নিজ শয়ন কক্ষের বাঁশের সঙ্গে রশি দিয়ে আত্মহত্যা করে।
গেদুড়া ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মুঞ্জুর হক বলেন, ‘মেয়েটির মা বাড়িতে নামাজ পড়ছিল। তার বাবা বাসায় ছিল না। সে রেজাল্ট শোনার পর বাসায় এসে গলায় উড়না দিয়ে বাশের সাথে ফাঁস দেয়। পরে তার ছোট বোন গোসল করে রুমে গিয়ে দেখে সে ছটফট করে। তাকে নামানোর পর সে মারা যায়। পরে স্থানীয়রা হরিপুর থানা পুলিশকে খবর দেন। খবর পেয়ে হরিপুর থানার তদন্ত ওসি মো আনারুল ইসলাম ঘটনাস্থলে এসে মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে। তিনি জানান এবিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
হরিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম আত্মহত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পরীক্ষায় ফেল করা নিয়ে পরিবারের মধ্যে কথাবার্তা হওয়ার একপর্যায়ে বেলী অভিমান করে আত্মহত্যা করে।
You may like

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
ঠাকুরগাঁও জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ফসলের মাঠে গমের সবুজ সমারোহ। গেল বছর ভালো দাম পাওয়ায় এ বছর আরও বেশি জমিতে চাষাবাদ করেছেন কৃষকরা। আবহাওয়া অনুকূল থাকায় বাম্পার ফলনের প্রত্যাশা তাদের।
ঠাকুরগাঁও জেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে এ ঠাকুরগাঁও জেলায় ৩৬ হাজার ৬শ’ ৫৭ হেক্টর জমিতে গম চাষ করা হয়েছে। সরেজমিনে, ঠাকুরগাঁও জেলার পাঁচটি উপজেলা ঘুরে দেখা যায়, এ বছর মাঠে মাঠে চোখ জুড়ানো সবুজ ক্ষেতের সমারোহ। সবুজে চোখ রাখলে তা ফেরানো যায় না। ঠাকুরগাঁও জেলার সদর উপজেলার দেবীপুর গ্রামের কৃষক আশরাফুল ইসলাম জানান, গম চাষাবাদ খুব সহজ এবং স্বল্প সময়ে অধিক লাভজনক ফসল। তিনি এ বছর ৫০ শতক জমিতে গমের আবাদ করেছেন। গত বছরের তুলনায় এ বছর ভালো ফলন হবে বলে তিনি আশা করছেন। হরিপুর উপজেলার ডাঙ্গীপাড়া গ্রামের চন্দ্র মোহন বলেন, গম চাষাবাদে খরচ এবং রোগ বালাই খুব কম হয়। এ বছর আমি দুই একর জমিতে চাষ করেছি, ফলন ভাল হয়েছে।
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বড়বাড়ি কাশিডাঙ্গা গ্রামের হুমায়ুন কবির জানান, এক বিঘা মাটিতে গম চাষে ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা খরচ হয়। প্রতি বিঘা মাটিতে কমপক্ষে ১৬ থেকে ১৮ মণ গম উৎপাদন হয়। গত বছরের মতো এ বছরো গমের মূল্য প্রতি মণ ১ হাজার টাকা হলে বিঘা প্রতি লাভ হবে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা।
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা সুবোধ চন্দ্র রায় জানান, কৃষি অফিস থেকে কৃষকদের সব ধরনের সহযোগিতা ও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
রানীশংকৈল উপজেলার হাড়িয়া গ্রামের কৃষক আমিরুল ইসলাম বলেন, আমি ২ একর জমিতে গম চাষ করেছি বাম্পার ফলনের আশা করি এবার লাভ হতে পারে। পীরগঞ্জ উপজেলার কৌশানিগঞ্জ নাককাটি গ্রামের মোশারুল ইসলাম বলেন, আমাদের এলাকায় প্রচুর গম আবাদ হয়েছে। কিন্তু কৃষকরা ভালো দাম পায় তাহলে তাদের মুখে হাসি ফুটবে তাই এবার গমের ফলন বাম্পার হয়েছে।
ঠাকুরগাঁও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সুত্র থেকে বলেন, ‘এ ঠাকুরগাঁও জেলার মাটি গম চাষের জন্য উপযোগী। আবহাওয়া অনুকূল থাকায় এ বছরও গমের বাম্পার ফলন হবে’।

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
ঠাকুরগাঁওয়ে বিরল প্রজাতির একটি গন্ধগোকুল উদ্ধার করা হয়। সোমবার পৌর শহরের ডিসি বস্তির শুভ নামে এক যুবক সেটিকে বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করেন।
জানা যায়, রোববার সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের পল্লিবিদ্যুৎ নামক স্থানে কয়েকজন শিশু কাঠবিড়ালী ভেবে অসুস্থ অবস্থায় গন্ধগোকুলটিকে আটক করে। বিষয়টি শুভ জানার পর কাঠবিড়ালী হিসেবে সেটিকে বাসায় নিয়ে আসেন। বাসায় বিভিন্ন ধরনের খাবার দিলেও গন্ধগোকুলটি কিছু না খাওয়ায় বিষয়টি স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান। সাংবাদিকেরা প্রাণীটির ছবি তুলে ঠাকুরগাঁও বন বিভাগের কর্মকর্তাদের পাঠান। পরে বন বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয় এটি একটি বিরল প্রজাতির নিশাচর প্রাণী। এটি সাধারণত কোলাহলমুক্ত পরিবেশে ঘুরে বেড়ায়; তাই দ্রুত এটিকে বনে ছেড়ে দেওয়া প্রয়োজন। শুভ এটি জানার পর গন্ধগোকুলটি নিয়ে ঠাকুরগাঁও বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করেন।
ঠাকুরগাঁও বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সফিউল আলম মণ্ডল বলেন, ধারনা করা হচ্ছে এটি একটি গন্ধগোকুল। এটি মাঝারি আকারের স্তন্যপায়ী, নিশাচর প্রাণী। গাছ, বন-জঙ্গল কমে যাওয়ায় এদের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। আফ্রিকা, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াসহ বিভিন্ন স্থানে এ প্রাণীটির বাস। এরা মূলত কীটপতঙ্গ, শামুক, ডিম-বাচ্চা, পাখি, ছোট প্রাণী, তাল-খেজুরের রস খেয়ে থাকলেও খাদ্যের অভাবে মুরগি, কবুতর ও ফল চুরি করে। ফল ও ফসলের ক্ষতিকর পোকামাকড় খেয়ে কৃষকের উপকারও করে থাকে এরা। ঠাকুরগাঁও বনবিভাগ কার্যালয়ের পাশ্ববর্তী জঙ্গলে এটিকে অবমুক্ত করা হয়েছে।

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
ঠাকুরগাঁওয়ে পিতাকে হত্যার পর থানায় আত্মসমর্পণ করে ছেলে গোলাম আজম (২৯)। সোমবার দিবাগত রাতে পৌর শহরের শান্তিনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গোলাম আজম রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) এ সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়াশুনা করেছেন। পারিবারিক বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে বাবা-ছেলের মধ্যে মাঝে মধ্যে বাক-বিতণ্ডা হতো।
পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার পূর্বে সাংবাদিকেরা হত্যার বিষয়ে জানতে চাইলে গোলাম আজম বলেন, আমার নামের সমস্যা। নাম গোলাম আজম হওয়ায় কোথায় চাকুরি হয় নি। সবখানেই নাম পরিবর্তন করতে বললে বিষয়টি আমার বাবাকে বারবার জানালেও তিনি নাম পরিবর্তন করতে দেননি। রাজশাহীতে ছাত্র থাকাবস্থায় নামের কারণে ২ বার জেল হাজতেও যেতে হয়েছে। আমি সুস্থ, আমাকে মানসিক রোগী বানিয়ে বিভিন্ন অত্যাচার-নির্যাতন করা হয়েছে। আমি মানুষিক রোগী নই; বিষয়টি বারবার বোঝানোর চেষ্টা করলেও আমার বাবা বিষয়টি গুরুত্ব দেননি। এ অবস্থায় ৩ মাসের শিশু নিয়ে আমার স্ত্রী পিত্রালয়ে চলে যায়। সবকিছু মিলিয়ে আমি হতাশাগ্রস্থ হয়ে পরি।
পুলিশ জানায়, ওই মহল্লার গোলাম আজম রাতে থানায় গিয়ে জানায়- সে তার পিতা ফজলে হক (৬৯) কে কুপিয়ে হত্যা করেছে। দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা দ্ররুত্ব ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনালে হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। পরে গোলাম আজমকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়। পরিবারের লোকজন দুরে থাকায় হত্যার ঘটনাটি কেউ জানতে পারেননি বলে জানায় গোলাম আজম।
প্রতিবেশী সূত্রে জানা যায়, গোলাম আজম নাম নিয়ে সে নানারকম নির্যাতনের শিকার হয়ে আসছিল। চাকুরি না পাওয়াসহ বিভিন্ন কারণে নাম পরিবর্তন নিয়ে তার বাবার সাথে মাঝে-মধ্যেই বাক-বিতণ্ডা হতো। এরই জের ধরে ঘরের ভেতরে থাকা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা তাদের।
ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. কামাল হোসেন বলেন, গোলাম আজম নিজেই তার পিতাকে হত্যা করেছে বলে স্বীকার করেছে। এ বিষয়ে গোলাম আজমের মা রমিশা বানু বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। তদন্ত শেষে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।
-
আন্তর্জাতিক8 years ago
গ্রিস প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের ঘোষণা
-
আন্তর্জাতিক8 years ago
যুক্তরাষ্ট্রে দুটি বিমানের সংঘর্ষে ৪ জনের মৃত্যু
-
স্বাস্থ্য7 years ago
গলা ব্যথার কারণ ও চিকিৎসা
-
দেশজুড়ে8 years ago
আজ চন্দ্র গ্রহন সন্ধা ৬টা ১২ মিনিট থেকে রাত ৮ টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত
-
বিবিধ9 years ago
আর অটো রিক্সা নয় এবার অবিশ্বাস্য কম দামের গাড়ি!
-
জাতীয়7 years ago
আন্তর্জাতিক নারী দিবস আজ
-
জাতীয়8 years ago
স্বাধীনতা যুদ্ধের পটভূমি ও মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চেতনা
-
ফিচার8 years ago
বাংলাদেশের ৬৪ জেলার নামকরণের ইতিহাস