Connecting You with the Truth

ভূমিদস্যুদের কুনজরে জাকের হোসেনের সম্পত্তি

নিজস্ব প্রতিনিধি :

‎ষড়যন্ত্র করে ভূমি দখল ও স্থানীয়দের নির্যাতনের প্রতিবাদে চট্টগ্রামের হাটহাজারী দেওয়াননগর এলাকায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে জাকের হোসেনসহ এলাকাবাসী।

‎রবিবার বেলা ১১টার দিকে দেওয়ান নগর এলাকায় মালিকানা জায়গার উপরে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে দুই শতাধিক লোকজন অংশ নেয়। মানববন্ধন শেষে স্থানীয়রা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে।

‎মানববন্ধনে ভুক্তভোগী জাকের হোসেনসহ, মোহাম্মদ আলমগীর, মোহাম্মদ জমির, মোহাম্মদ শামসু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

‎জাকের হোসেন বলেন জি.আর ১৩২/২০১১ সালে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল হাজতে নিয়ে যাই এবং ২৭/০৮/২০১০ ইং জুমার নামাজের সময় আলী আজম ও তার বাহিনীরা রমজান মাস শুক্রবার জুমার নামাজের পরপর মসজিদের ভিতরে এবং বাহিরে দা চুরি ও রঢ দিয়ে গুরুতর আহত করে প্রায় ১৫ জন মিলে।

‎আমি এবং আমার পিতাসহ জন সাধারণের চলাচলের জন্য বারি পাড়ার পশ্চিম পাশে আমি ও আমার পরিবারের সবাই মিলে ২টি রাস্তা করে দিই। খেরুপাড়া, মলবি পাড়া, মেয়াজি পাড়া, সুজনাগর, সন্দীপ পাড়া ও মেখল্লেগুনায় আমার খরিদা সম্পত্তি ও আমাদের খরিদা পারিবারিক জায়াগার প্রায় সাড়ে ৩ হাজার ফুট লম্বা পাশে ১২ফুট রাস্তা চলাচলের জন্য দিয়েছি জন সাধারণের জন্য। আমাদের বাড়ির সামনে হাজী মকবুল আহম্মেদ কমিউনিটির ক্লিনিক এর জন্য জায়গা দিয়েছি যার মুল্য প্রায় ৭৫ লক্ষ টাকা। বাড়ির উপর দিয়ে এবং বাড়ির পাশ দিয়ে কয়েকশো পরিবার এর জন্য রাস্তা দিয়েছি।
‎যে জায়গার উপর রাস্তা নির্মাণের চেষ্টা করতেছ এর পশ্চিম পাশে ২২৮ দাগে আমার ক্রয় করা জায়গার উপর মানুষ চলাচল করিতেছে। যেখানে রাস্তা করার চেস্টা করিতেছে এখানে আগে ও রাস্তা ছিলো না বর্তমানেও নেই। জায়গা টি ১নং ওয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত যাহা রাস্তার সিডিউলে লেখা আছ আধা কিলোমিটার দূরে এটি আই এর নামে এবং ২ নং ওয়ার্ডের উক্ত জায়গা হয়তে ২ কিলোমিটার দক্ষিণে ২নং নম্বর ওয়ার্ড লেখা আছে। কিভাবে অন্য জায়গার টেন্ডার দেওয়া রাস্তা এখানে কিভাবে হবে।

‎মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, হাটহাজারী উপজেলার দেওয়ান নগর এলাকার আলী আজম ও তার বাহিনি কিছু সহযোগীসহ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় ভূমি দখলসহ বিভিন্ন অপকর্ম করে আসছে। তার অপকর্মের প্রতিবাদ করায় অনেকেই তার ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলার শিকার হয়েছেন।

‎বক্তারা আরও বলেন, এরা জমি দখলসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজে জড়িত হয়ে কালো টাকার মালিক হয়েছে। সম্প্রতি অবৈধভাবে জমি দখলে বাধা দেওয়ায় তার হয়রানিমূলক মামলার শিকার হয়েছেন স্থানীয় কয়েকজন। জমি দখলে বাধা দেওয়া কয়েকজন তাদের হামলারও শিকার হন। আলী আজম বাহিনী হামলা করে উল্টো তাদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে।
‎হাজী মকবুল আহমদ এর পুত্র জাকের হোসেন অনেক সম্পত্তির মালিক হওয়াতে তার উপর ভূমিধস্যদের কুনজর পড়ে। জাকের হোসেন প্রানে বেচে থাকার জন্য এলাকার জনসাধারণ চলাচলের জন্য ২টি রাস্তার জন্য জায়গা ছেড়ে দেন। এই রাস্তা গুলো দিয়ে কয়েক হাজার লোক চলাচল করে। এমতাবস্থায় জোরপূর্বক প্রশাসন কে হাতে রেখে জাকের হোসেন এর জায়গার উপর আরেকটি রাস্তা করার পায়তারা করে। কিন্তু জাকের হোসেন আদালতের আশ্রয় নেন। আদালতে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও খাস জমি বলে রাস্তা করার চেস্টা করে। জাকের হোসেন এর জায়গার উপর টিনসেড ঘর করা আছে। এটা ভেঙে দেওয়ার হুমকি দেন। ভূমি অফিসের রিপোর্ট থাকা সত্ত্বেও এরা উপজেলা দপ্তরের কিছু অফিসারের সাথে হাত করে রাস্তা করবেন বলে জানান। একটি দৈনিক পত্রিকার প্রতিবেদনে জানা পারি হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এই জায়গার উপর রাস্তা করে দিবেন বলে আশ্বস্ত করেন। হাটহাজারী ভূমি অফিসের সাবেক ভূমি কর্মকর্তা রমিজ উদ্দিনের এই জায়গার উপর পক্ষে রিপোর্ট দিয়েছেন। তাতে জমির সমস্থ রেকর্ড উল্লেখ আছে।


‎ ০২/০২/২০২৫ ইং চট্টগ্রাম হাটহাজারী সদর ইউনিয়ন ভুমি সহকারী কর্মকর্তা রমিজ আহমেদ এর তদন্ত রিপোর্ট এ যে তথ্য দেয়া হয় তাহাতে জমির মালিক জাকের হোসেন অন্যায় না করে ক্রয়সম্পত্তি ভূমিদস্যদের হাত থেকে রক্ষার জন্য আদালতের দুয়ারে দুয়ারে দীর্ঘদিন যাবৎ ঘুরেন। এতে মালিকানা জমি প্রকাশ পায়।
‎উপযুক্ত বিষয়ের আলোকে জানানো যাচ্ছে যে মোঃ জাকির হোসেন পিতা মৃত হাজী মকবুল আহমদ, গ্রাম দেওয়াননগর কর্তৃক উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাটহাজারী মহোদয় বরাবর অভিযোগের অবদান করিলে অত্র প্রতিবেদনের সূত্রপাত হয়।

‎অত্র অফিসের রেকর্ড পত্র পর্যালোচনায় দেখা যায় দেওয়াননগর মোজার বিএস ২২৭ দাগে ০.১২ একর জমি পাউন্ডি শ্রেণি হিসেবে বাংলাদেশ সরকার পক্ষে ডেপুটি কমিশনার, চট্টগ্রাম নামে ১ নং খতিয়ান, বি এস ২২৬ দাগে ০.৬৩ একর জমি পাউন্ডি হিসেবে হাজী মকবুল আহমদ এর নামে ১১০১ নং খতিয়ান ও বি এস ২২৮ দাগে ০.০৭ একর জমি পাউন্ডি শ্রেনি হিসেবে তফজল আহমদ গং এর নামে ৭৫৮ নং খতিয়ান জরিপ প্রচার আছে। রেকর্ড পত্র পর্যালোচনায় আরো দেখা যায় বি ১ নং খাস খতিয়ান হতে স্থায়ী বন্দোবস্ত মামলা নং ০৯/৯৪ মুলে বন্দোবস্ত প্রধান করা হলে বন্দোস্থকারীনি নুরজাহান বেগম, স্বামী মৃত মুন্সীমিয়া, সাং দেওয়াননগর এর নামে অন্যান্য দাগ সহ ২২৭ দাগে ০.১২ একর জমি নামজারী মামলা নং ১৪৪/৯৬-৯৭ মুলে ১৬৮৩ নং খতিয়ান সৃজন করা হয়। সৃজিত ১৬৮৩ নম্বর খতিয়ান হতে নামজারী মামলা নং গ১৫০৮/১৪ মুলে ২২৭ দাগে ০.১২ একর জমি আলহাজ্ব মোহাম্মদ জাকের হোসেন এর নামে ৪৩১৭ নং খতিয়ান সৃজন করা হয়। এবং তৎপরবর্তীতে বিবিধ মামলা নং ৫৯/১৫ মুলে ২২৭ দাগের ০.১২ একর জমি কর্তন করে ১৬৮৩ নং খতিয়ানে পূর্ণবহল করা হয়। ১৬৮৩ নং খতিয়ান হতে পুনরায় নামজারী মামলা নং গ ১০৭/১৯ মুলে ২২৭ দাগে ০.১২ একর জমি নিয়ে মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম গং এর নামে ৪৯৫৬ নং খতিয়ান সৃজন করেন। বি এস ১১০১ নং খতিয়ান পর্যালোচনায় দেখা যায় নামজারী মামলা নং ৬১৪/০৭ মুলে ২২৬ দাগে ০.৬৩ একর জমি নিয়ে মোহাম্মদ জাকের হোসেন, পিতা হাজী মকবুল আহমদ এর নামে ২৩২২ নং খতিয়ান সৃজন করান এবং বি এস ৭৫৮ নং খতিয়ান হতে বিএস দাগের বিভিন্ন নামজারী মামলা মুলে সর্বমোট ০.০৫ একর জমি কর্তন করে ২৭৫৩, ২৯৪০, ৩৮০৪ নং খতিয়ান সৃজন করেন এবং অবশিষ্ট ০.০২ একর মুল খতিয়া

Leave A Reply

Your email address will not be published.