গাইবান্ধা কোর্ট ইন্সপেক্টর (সিএসআই) আবদুল মজিদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, পৌর মেয়র আবদুল্লাহ্-আল-মামুনসহ ৩৭ জন স্ব-শরীরে আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবির মাধ্যমে জামিন আবেদন করলে বিচারক শুনানী শেষে তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। তবে জামিন বৃদ্ধির পরবর্তীর আদেশের তারিখ তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেননি তিনি। এর আগে, গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন বাদি হয়ে মঞ্চ, তোরণ, ব্যানার-প্যানা ও চেয়ার-টেবিল ভাংচুরের অভিযোগে পৌর মেয়র আবদুল্লাহ্-আল-মামুনসহ ৩৭ জন নামীয় ও আরও ৪০-৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে ১৯ ফেব্রæয়ারী রাতে সুন্দরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। উল্লেখ্য, গত ১৮ ফেব্রæয়ারি সুন্দরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন ও কাউন্সিল ডি-ডবিøউ ডিগ্রী কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনের প্রথম পর্ব শেষে কেন্দ্রীয় ও জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ মধ্যাহ্ন ভোজের বিরতি দিয়ে সম্মেলনস্থল ত্যাগ করেন। এ সময় প্যান্ডেলে থাকা সুন্দরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের একাংশের নেতাকর্মী ও কাউন্সিলররা কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দসহ জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ ফিরে না আসার সংবাদ শুনে উত্তেজিত হয়ে সম্মেলনস্থলের মঞ্চ, চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর ও এমপি লিটনের ছবি সম্বলিত তোরণ-ব্যানার ছিড়ে ফেলেন।